৮৩- অতপর তিনি পশু যবেহের স্থানে গেলেন। নিজ হাতে তেষট্টিটি ‘উট’[1] যবেহ করলেন।

৮৪- অতপর আলী রা. কে অবশিষ্টগুলো যবেহ করার দায়িত্ব দিলেন তিনি তাকে নিজের হাদীতে শরীক রাখলেন।

৮৫- এরপর প্রত্যেক যবেহকৃত জন্তু হতে এক টুকরো করে নিয়ে রান্না করতে হুকুম দিলেন। সবটুকরোগুলো এক পাতিলে রেখে রান্না করা হল। অতপর দুজনে মাংস খেলেন এবং শুরবা পান করলেন।

৮৬- এক বর্ণনায় এসেছে, ‘জাবের রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের স্ত্রীগণের পক্ষ হতে একটি গাভি যবেহ করেছেন।’[2]

৮৭- অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘তিনি সাত জনের পক্ষ হতে একটি উট যবেহ করেছেন। আর সাতজনের পক্ষ হতে একটি গাভি যবেহ করেছেন।’[3] ‘সুতরাং আমরা সাতজন উটে শরীক হলাম। একজন লোক রাসূলকে বললেন, আপনি কি মনে করেন, গাভিতেও শরীক হওয়া যাবে? তখন তিনি বললেন,

«مَا هِىَ إِلاَّ مِنَ الْبُدْنِ»

গাভিতো উটের (বিধানের) অন্তর্ভুক্ত।’[4]

৮৮- ‘জাবের রা. বলেন, আমরা মিনায় তিনদিন উটের মাংস খেয়ে বিরত রইলাম। অতপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে অনুমতি দিয়ে বললেন,

«كُلُوا وَتَزَوَّدُوا»

‘তোমরা খাও এবং পাথেয় হিসেবে রেখে দাও[5]’[6] ‘জাবের রা. বলেন, অতপর আমরা খেলাম এবং জমা করে রাখলাম।’[7] ‘এমনকি এগুলো নিয়ে আমরা মদীনায় পৌঁছলাম।’[8]

[1]. ইবন মাজাহ্‌।

[2]. মুসলিম।

[3]. মুসলিম।

[4]. বুখারী ফিত-তারিখ।

[5]. মুশরিকরা তাদের যবেহকৃত হাদীর গোশত ভক্ষণ করত না। তা তারা নিজেদের জন্য হারাম মনে করত। মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তা খাওয়ার আদেশ দেয়ার মাধ্যমে জাহেলী কুপ্রথার বিলুপ্তি ঘটালেন।

[6]. মুসনাদে আহমদ।

[7]. বুখারী, মুসনাদে আহমদ।

[8]. মুসনাদে আহমদ।