তালবিয়া হল,

«لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَك».

(লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি‘মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারীকা লাক)।

‘আমি হাযির, হে আল্লাহ, আমি হাযির। তোমার কোন শরীক নেই, আমি হাযির। নিশ্চয় যাবতীয় প্রশংসা ও নিয়ামত তোমার এবং রাজত্বও, তোমার কোন শরীক নেই।’[1]

উপর্যুক্ত তালবিয়াটিই ইবন উমর রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি আরো বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ-শব্দমালায় আর কিছু যোগ করতেন না।’[2]

পক্ষান্তরে, আবূ হুরায়রা রা. এর বর্ণনা মতে, তালবিয়ায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন لَبَّيْكَ إِلهَ اْلَحقِّ لَبَّيْكَ (লাব্বাইকা ইলাহাল হক্কি লাব্বাইক) ‘আমি হাযির, সত্য ইলাহ! আমি হাযির’।[3] বিদায় হজে কোনো কোনো সাহাবী উপর্যুক্ত তালবিয়ার পরে لَبَّيْكَ ذَا الْمَعَارِجِ (লাব্বাইকা যাল মা‘আরিজ) বলেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা শুনে কিছু বলেননি।[4] আবার ইবন উমর রা. থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলতেন,[5]

لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ بِيَدَيْكَ لَبَّيْكَ وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ وَالْعَمَلُ.

(লাব্বাইক আল্লহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা ওয়া সা‘দাইক, ওয়াল খইরু বিইয়াদাইক, লাব্বাইকা ওয়ার রগবাউ ইলাইকা ওয়াল আমল।)

‘আমি হাযির হে আল্লাহ আমি হাযির। আমি হাযির একমাত্র তোমারই সন্তুষ্টিকল্পে। কল্যাণ তোমার হাতে, আমল ও প্রেরণা তোমারই কাছে সমর্পিত।’

উপরোক্ত তালবিয়াগুলি পাঠ করাতে কোন সমস্যা নেই। তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবীদের ব্যবহৃত শব্দমালার বাইরে যাওয়া যাবে না।

[1]. বুখারী : ৫৪৬০।

[2]. বুখারী : ৫৯১৫।

[3]. ইবন মাজাহ্‌ : ২৯২০।

[4]. মুসনাদে আহমাদ : ১৪৪৪০।

[5]. মুসলিম : ১১৮৪।