কারো দাওয়াত পেলে খাওয়ার খুব আগেভাগে যাওয়া এবং খাওয়ার শেষে গল্প করতে থাকা বৈধ নয়। কারণ তাতে মেজবানের অসুবিধা হতে পারে। এই সুন্দর আদব বর্ণনা করে কুরআন বলে,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلَّا أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ إِلَى طَعَامٍ غَيْرَ نَاظِرِينَ إِنَاهُ وَلَكِنْ إِذَا دُعِيتُمْ فَادْخُلُوا فَإِذَا طَعِمْتُمْ فَانْتَشِرُوا وَلَا مُسْتَأْنِسِينَ لِحَدِيثٍ إِنَّ ذَلِكُمْ كَانَ يُؤْذِي النَّبِيَّ فَيَسْتَحْيِي مِنْكُمْ وَاللَّهُ لَا يَسْتَحْيِي مِنَ الْحَقِّ

অর্থাৎ, হে ঈমানদারগণ! তোমাদেরকে অনুমতি না দেওয়া হলে তোমরা আহার্য প্রস্ত্ততির জন্য অপেক্ষা না করে ভোজনের জন্য নবী গৃহে প্রবেশ করো না। তবে তোমাদেরকে আহবান করলে তোমরা প্রবেশ করো এবং ভোজন শেষে তোমরা চলে যেও; তোমরা (ভোজন পূর্বে ও পরে) কথাবার্তায় মশগুল হয়ে পড়ো না। কারণ, (অপ্রয়োজনীয় প্রতীক্ষা) নবীর জন্য কষ্টদায়ক, সে তোমাদেরকে (উঠে যাওয়ার জন্য বলতে) সংকোচ ও লজ্জাবোধ করে। কিন্তু আল্লাহ হক বলতে সংকোচবোধ করেন না।[1]

[1]. সূরা আহযাব-৩৩:৫৩