দাওয়াতের দিনে রোযা অবস্থায় থাকলেও দাওয়াতে উপস্থিত হওয়া জরুরী। রোযা ফরয হলে খাওয়া যাবে না। নফল হলে তার এখতিয়ার আছে। অবশ্য দাওয়াতদাতার মন ভাঙ্গার ভয় থাকলে নফল রোযা ভেঙ্গে খাওয়াই উত্তম। এ ব্যাপারে রাসুল (ﷺ)-এর নির্দেশ নিম্নরূপ

‘‘নফল রোযাদার নিজের আমীর। ইচ্ছা হলে সে রোযা থাকতে পারে, আবার ইচ্ছা না হলে সে তা ভাঙ্গতেও পারে।’’[1]

আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, একদা আমি আল্লাহর রাসুল (ﷺ)-এর জন্য খাবার তৈরী করলাম। তিনি তাঁর অন্যান্য সহচর সহ আমার বাড়িতে এলেন। অতঃপর যখন খাবার সামনে রাখা হল, তখন দলের মধ্যে একজন বলল, ‘আমার রোযা আছে।’ তা শুনে আল্লাহর রাসুল (ﷺ) বললেন, ‘‘তোমাদের ভাই তোমাদেরকে দাওয়াত দিয়ে খরচ (বা কষ্ট) করেছে।’’ অতঃপর তিনি তার উদ্দেশ্যে বললেন, ‘‘রোযা ভেঙ্গে দাও। আর চাইলে তার বিনিময়ে অন্য একদিন রোযা রাখ।’’[2]

প্রকাশ থাকে যে, এই ভাঙ্গা রোযা কাযা করা জরুরী নয়।[3]

[1]. আহমাদ ৬/৩৪১, তিরমিযী, হাকেম ১/৪৩৯, বাইহাক্বী ৪/২৭৬ প্রমুখ, সহীহুল জা’মে হা/৩৮৫৪

[2]. বাইহাক্বী ৪/২৭৯, ত্বাবারানী, ইরওয়াউল গালীল ১৯৫২

[3]. আদাবুয যিফাফ ১৫৯পৃঃ