কাউকে কুশলবাদ জিজ্ঞাসা করলে, রোগী হলেও তাকে সর্বাবস্থায় (আল-হামদু লিল্লাহ বলে) আল্লাহর প্রশংসা ও শুকরিয়া আদায় করা উচিত।

একদা শাদ্দাদ বিন আউস ও সুনাবিহী এক রোগীকে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আজ সকালে তুমি কেমন আছ?’ লোকটি বলল, ‘(আল্লাহর) নিয়ামতে আছি।’ শাদ্দাদ বললেন, ‘পাপসমূহ মাফ হয়ে যাওয়া এবং গোনাহসমূহ ঝরে যাওয়ার সুসংবাদ নাও। আমি আল্লাহর রসূল (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আল্লাহ আয্যা অজাল্লা বলেন, ‘‘আমি যখন আমার কোন মু’মিন বান্দাকে (রোগ-বালা দিয়ে) পরীক্ষা করি এবং সে ঐ রোগ-বালাতে আমার প্রশংসা করে, তখন সে তার ঐ বিছানা থেকে সেই দিনকার মত নিষ্পাপ হয়ে ওঠে, যেদিন তার মা তাকে ভূমিষ্ঠ করেছিল।’’ রব্ব তাবারাকা অতাআলা (কিরামান কাতেবীনকে) বলেন, ‘‘আমি আমার বান্দাকে (অনেক আমল থেকে) বিরত রেখেছি এবং রোগগ্রস্ত করেছি। সুতরাং তোমরা তার জন্য সেই আমলের সওয়াব লিখতে থাক, যে আমলের সওয়াব তার সুস্থ অবস্থায় লিখতে।’’[1]

একদা আল্লাহর রসূল (ﷺ) এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘‘আজ সকালে তুমি কেমন আছ হে অমুক?’’ লোকটি বলল, ‘আমি আপনার নিকট আল্লাহর প্রশংসা করি হে আল্লাহর রসূল!’ আল্লাহর রসূল (ﷺ) বললেন, ‘‘আমি তোমার নিকট থেকে এটাই চেয়েছিলাম।’’[2]

[1]. আহমাদ, সহীহ তারগীব ৩৪২৩

[2]. সিলসিলাহ সহীহাহ আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/২৯৫২