সাক্ষাতের যে নিষিদ্ধ সময় রয়েছে, সেই সময় ছাড়া অন্য সময়ে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে বের হন

কুরআন কারীমে তিন সময়ে নিজেদের খাদেম ও নাবালক শিশু-সন্তানদেরকেও খাস কক্ষে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। সুতরাং তারা ফজরের নামাযের পূর্বে, দুপুরের সময় এবং এশার নামাযের পরে কাছে আসতে চাইলে আগেই অনুমতি চেয়ে নিতে হবে। যেহেতু এই তিন সময় সাধারণতঃ বাহ্যিক লেবাস খুলে রাখার সময়, ঘুম ও আরামের সময়, স্বামী-স্ত্রীর প্রেমালাপ ও মিলনের সময়।

ঘরের লোকের জন্য যদি এই নিয়ম হয়, তাহলে বাহির থেকে অন্য লোকের জন্য অবশ্যই সে নিয়ম অধিক মান্য হবে। কেননা, তা পালন না করলে এবং ঠিক ঐ তিন সময়ে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে গেলে যাকে দেখা করার উদ্দেশ্যে যাবেন, তার ও তার বাড়ির লোকের সুখন্ডস্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাঘাত ঘটবে, তাদের আরাম ব্যায়রামে পরিণত হবে, বহু অসুবিধা ও বাধা সৃষ্টি হবে তাদের সাংসারিক কাজ-কর্মেও। আর এ সময়গুলিতে সাধারণতঃ কেউই চায় না যে, তার কাছে অন্য কেউ আসুক।

অবশ্য দূরের মেহমান অথবা আহূত অতিথি অথবা দুপুর বা রাতের খানার দাওয়াতপ্রাপ্ত কেউ হলে সে কথা ভিন্ন। সে ক্ষেত্রে বাড়ির লোককেও কষ্ট স্বীকার করে নিতে হয় এবং সবাই তাতে সওয়াবও পায়।

রাসুল (ﷺ) আবূ বাক্রের বাড়ি প্রায় সকাল অথবা সন্ধ্যায় যাতায়াত করতেন। হিজরতের সময় যখন তিনি যোহরের সময় আবূ বাক্রের কাছে এলেন, তখন আবূ বাক্র বুঝলেন যে, নিশ্চয় কোন অঘটন ঘটেছে।[1] আর তাঁর এই বুঝা এই কথারই দলীল যে, যোহরের সময় দেখা-সাক্ষাৎ করার সময় নয়।

ইলম-পিয়াসী ইবনে আব্বাস বলেন, ‘যখন আমার কাছে কোন লোকের হাদীস পৌঁছত, আমি তার নিকট এসে উপস্থিত হতাম। আর সেই (দুপুরের) সময় সে যদি আরাম করত, তাহলে আমি তার দরজায় নিজ চাদরকে বালিশ বানিয়ে বসে যেতাম। আর বাতাস এসে আমার মুখে মাটি ছড়িয়ে দিত![2]

[1]. বুখারী তাওহীদ পাবঃ হা/ ২১৩৮, আবূ দাঊদ ৪০৮৩

[2]. দারেমী আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/৫৭০