মাথা নেড়া করার বিভিন্ন অবস্থা ও মান রয়েছে। সুতরাং হজ্জ ও উমরাহতে চুল ছোট না করলে নেড়া করা ওয়াজেব। হজ্জ বা উমরাহ ছাড়া অন্য সময় করতে হয় বা করলে সওয়াব হয় মনে করে মাথা নেড়া করা হারাম বা বিদআত। অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করলে ঘন চুল নেড়া করা মুস্তাহাব। যেমন শিশুর বয়স সাত দিন হলে তার চুল নেড়া করে ফেলা মুস্তাহাব। আর মাথায় উকুন দূর করার জন্য অথবা ঘা চিকিৎসার জন্য অথবা মাথা হাল্কা করার জন্য চুল নেড়া করা বৈধ।

মাথা নেড়া করার সময় মাথার কিছু অংশ নেড়া করা এবং কিছু অংশের চুল অবশিষ্ট রাখা বৈধ নয়। বরং নেড়া করলে সম্পূর্ণভাবে নেড়া করতে হয়।[1] সুতরাং শিশুর মাথা নেড়া করার সময় ফিতে বাঁধার জন্যেও তার মাথার সামনে কিছু চুল ছেড়ে (লোটন) রাখা বৈধ নয়।

বৈধ নয় মাঝে-ফাঁকে মাথার বিভিন্ন জায়গা মুণ্ডন করা এবং বাকী জায়গায় চুল রাখা। বৈধ নয় মাথার সামনের অংশ নেড়া করা এবং পিছনের অংশে চুল রাখা। বৈধ নয় মাথার পিছনের অংশ নেড়া করা এবং সামনের অংশে চুল রাখা। বৈধ নয় মাথার চারিপাশ নেড়া করা এবং মাঝের অংশে চুল রাখা। বৈধ নয় মাথার মাঝের অংশ নেড়া করা এবং চারিপাশের অংশে চুল রাখা। যেহেতু এ সবে রয়েছে বিজাতির অন্ধানুকরণ।

অবশ্য চুল কামানোর সময় মাথার ধারের চুল (ভিত) কামানো এর পর্যায়ভুক্ত নয়।

চুল কাটা বা নেড়া করার সময় যার চুল কাটা বা নেড়া করা হবে তার ডান দিক থেকে শুরু করতে হবে। নাপিতের ডান দিক থেকে নয়।[2]

[1]. বুখারী তাওহীদ পাবঃ হা/ ৫৯২১, মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/২১২০ প্রমুখ

[2]. মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/১৩০৫, আবূ দাঊদ হা/১৯৮১, তিরমিযী হা/৬১২