প্রচলিত একটি জাল হাদীস:
مَنْ زَارَ عَالِماً/ الْعُلَمَاءَ فَكَأَنَّمَا (فَكَمَنْ) زَارَنِيْ وَمَنْ صَافَحَ عَالِماً/ الْعُلَمَاءَ فَكَأَنَّمَا (فَكَمَنْ) صَافَحَنِيْ وَمَنْ جَالَسَ عَالِماً/ الْعُلَمَاءَ فَكَأَنَّمَا (فَكَمَنْ) جَالَسَنِيْ وَمَنْ جَالَسَنِيْ فِيْ دَار الدُّنْيَا أَجْلَسَهُ اللهُ تَعَالَى مَعِيْ غَداً فِيْ الجَنَّةِ/ أَجْلَسَهُ رَبِّيْ مَعِيْ فِيْ الْجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ (أُجْلِسَ إِلَيَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ)
‘‘যে ব্যক্তি কোনো একজন আলিম/আলিমগণের সাথে সাক্ষাৎ করল, সে যেন আমার সাথেই সাক্ষাৎ করল, যে ব্যক্তি কোনো একজন আলিম/ আলিমগণের সাথে মুসাফাহা করল, সে যেন আমার সাথেই মুসাফাহা করল, যে ব্যক্তি কোনো একজন আলিম/আলিমগণের মাজলিসে বসল, সে যেন আমার মাজলিসেই বসল। আর যে দুনিয়াতে আমার মাজলিসে বসেছে মহান আল্লাহ তাকে আগামীকাল (কিয়ামতের দিন) আমার সাথে জান্নাতে বসাবেন।’’
মুহাদ্দিসগণ একমত যে কথাটি জাল ও মিথ্যা।[1]
এখানে উল্লেখ্য যে, কুরআন ও হাদীসে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে: (১) ইলম শিক্ষা করা, (২) নেককার মানুষদের সাহচর্যে থাকা এবং (৩) নেককার মানুষেদের আল্লাহর ওয়াস্তে ভালবাসা ও তাঁদের সাথে দেখা সাক্ষাত করা। এ তিনটি ইবাদত মুমিনের নাজাতের অন্যতম উপকরণ। আলিমগণের সাহচর্য থেকেই এ তিনটি ইবাদত পালন করা যায়।
আলিমের নিজস্ব কোনো ফযীলত নেই। তাঁর ফযীলত নির্ভর করবে তিনি কুরআন ও হাদীস থেকে যতটুক ইলম ও আমল গ্রহণ করবেন তার উপর। অর্থাৎ আলিমের ফযীলত দুটি: ইলম ও আমল। নেককার আলিমের সাহচর্যের গুরুত্ব তিনটি: নেককার মানুষের সাহচর্যের সাধারণ মর্যাদা, নেককার মানুষের মহববতের সাধারণ মর্যাদা ও ইলম শিক্ষার সুযোগ...। এছাড়া আলিমের পিছনে সালাত আদায়, মাজলিসে বসা, সাক্ষাত করা, মুসাফাহা করা ইত্যাদির বিশেষ ফযীলতে যা কিছু বলা হয় সবই ভিত্তিহীন ও জাল কথা।