রমাযানের শেষ দিনের সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে ফিতরার যাকাত ওয়াজেব হয়। এ সময় হল রমাযানের শেষ রোযা ইফতার করার সময়। আর এ সময়ের দিকে সম্বদ্ধ করেই তার নাম হয়েছে ‘সাদাকাতুল ফিতর’। বলা বাহুল্য, ইফতার করার সময় বাস্তবায়িত হয় ঈদের রাতের সন্ধ্যায় সূর্য ডোবার সাথে সাথে। অতএব এ সময়ে যে শরীয়তের আজ্ঞাপ্রাপ্ত থাকবে কেবল তারই উপর ঐ যাকাত ওয়াজেব এবং তার পরে কেউ আজ্ঞাপ্রাপ্ত হলে তা ওয়াজেব নয়।

যেমন ঈদের রাতের সূর্য ডোবার সামান্যক্ষণ পর যদি কেউ ইসলামে দীক্ষিত হয় অথবা কোন শিশু জন্মগ্রহণ করে, অথবা শেষ রমাযানের সূর্য ডোবার সামান্যক্ষণ পূর্বে যদি কেউ মারা যায়, তাহলে উক্ত প্রকার লোকেদের উপর ফিতরা ওয়াজেব নয়। অবশ্য মায়ের গর্ভে ভ্রূণের তরফ থেকে যাকাত দেওয়া অনেক উলামা মুস্তাহাব বলেছেন; যেমন সে কথা পূর্বেই উল্লেখ হয়েছে।

পক্ষান্তরে ঐ দিনের সূর্য ডোবার সামান্যক্ষণ আগে যদি কেউ ইসলামে দীক্ষিত হয় অথবা কোন শিশু জন্মগ্রহণ করে, অথবা সূর্য ডোবার সামান্যক্ষণ পরে যদি কেউ মারা যায়, তাহলে উক্ত প্রকার লোকেদের উপর ফিতরা ওয়াজেব।[1]

[1] (আশ্শারহুল মুমতে’ ৬/১৬৬-১৬৭, মাজালিসু শাহরি রামাযান মজলিস নং ২৮)