কোন কিশোর, পুরুষ বা মহিলার ইমামতিতে কোন বাড়িতে তারাবীহর নামাযের জন্য মহিলাদের পৃথক জামাআত করা দোষাবহ নয়।

আয়েশার ক্রীতদাস যাকওয়ান রমাযানে কুরআন দেখে তাঁর ইমামতি করতেন।[1]

জাবের বিন আব্দুল্লাহ বলেন, একদা ক্বারী সাহাবী উবাই বিন কা’ব (রাঃ) আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে এসে আরজ করলেন, ‘হে আল্লাহর রসূল! (রমাযানের) গতরাত্রে আমি একটি (অস্বাভাবিক) কাজ করেছি।’ তিনি বললেন, ‘‘সেটা কি?’’ উবাই বললেন, ‘কিছু মহিলা আমার ঘরে জমা হয়ে বলল, আপনি (ভালো ও বেশী) কুরআন পড়তে পারেন, আমরা পারি না। অতএব আপনি আজ আমাদের ইমামতি করেন। তাদের এই অনুরোধে আমি তাদেরকে নিয়ে ৮ রাকআত এবং বিতর পড়েছি।’ এ কথা শুনে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) চুপ থাকলেন। অর্থাৎ তাঁর এই নীরব থাকা এ ব্যাপারে তাঁর মৌনসম্মতির সুন্নত হয়ে গেল।[2]

অবশ্য এ ক্ষেত্রে শর্ত হল, মহিলা একাকিনী হলে সে ইমাম যেন তার কোন এগানা হয় এবং বেগানা না হয়। নতুবা মহিলা যেন একাধিক থাকে এবং তারা পর্দার সাথে থাকে। আর সর্বক্ষেত্রে যেন কোন প্রকার ফিতনার ভয় না থাকে।[3]

উম্মে অরাকাহ বিন নাওফাল (রাঃ)কে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) তাঁর পরিবারের মহিলাদের ইমামতি করতে আদেশ করেছিলেন।[4]

অবশ্য এ ক্ষেত্রে মহিলা ইমাম মহিলাদের কাতার ছেড়ে পুরুষের মত সামনে একাকিনী দাঁড়াবে না। বরং কাতারের মধ্যখানে দাঁড়িয়ে ইমামতি করবে। উম্মে সালামাহ মহিলাদের ইমামতি করার সময় কাতারের মাঝখানেই দাঁড়াতেন।[5] অনুরূপ বর্ণিত আছে আয়েশা থেকেও।[6]

[1] (বুখারী তা’লীকান ১৩৯পৃঃ, ইবনে আবী শাইবাহ, মুসান্নাফ ৭২১৬নং, আব্দুর রায্যাক, মুসান্নাফ)

[2] (ত্বাবারানী, মু’জাম, আবূ য়্যা’লা, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ২/৭৪, সালাতুত তারাবীহ আলবানী ৬৮পৃঃ)

[3] (আশ্শারহুল মুমতে’ ৪/৩৫২)

[4] (আবূ দাঊদ ৫৯১-৫৯২নং, দারাকুত্বনী, সুনান ১০৭১, ১৪৯১নং)

[5] (দারাকুত্বনী, সুনান ১৪৯৩নং, বাইহাকী ৩/১৩১, ইবনে আবী শাইবাহ, মুসান্নাফ, আব্দুর রায্যাক, মুসান্নাফ)

[6] (দারাকুত্বনী, সুনান ১৪৯২নং, আব্দুর রায্যাক, মুসান্নাফ, মুহাল্লা ইবনে হাযম ৩/১৭১-১৭৩)