[প্রশ্ন নং ২৩] আমি একজন পথভ্রষ্ট মানুষ ছিলাম। ধর্ম নিরপেক্ষ মতবাদ ছড়াতাম এবং বিভিন্ন গল্প লিখার মাধ্যমে ইসলামের বিরুদ্ধে বিষাক্ত বাণী প্রচার করতাম। কবিতার মাধ্যমে অশ্লীলতা ছড়াতাম। মহান আল্লাহ আমাকে তার বিশেষ রহমতে রক্ষা করেছেন, অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছেন এবং হেদায়াত দান করেছেন, এখন কিভাবে তাওবা করবো?

উত্তর: এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনার উপর বিরাট অনুগ্রহ ও নিয়ামত। এটিই প্রকৃতপক্ষে হেদায়েত। সুতরাং এজন্য আমি আল্লাহর প্রশংসা করছি এবং তার নিকট দু’আ করছি তিনি যেন আপনাকে মজবুত রাখেন এবং আরো বেশী অনুগ্রহ দান করেন। যে ব্যক্তি তার কথা ও কলমের দ্বারা ইসলামের বিরুদ্ধে ভ্রান্ত ধারণা বা বিদআত ও অশ্লীলতা ছড়ায় তাকে অবশ্যই একাজগুলো করতে হবে:

প্রথমত: সে যেন এসব থেকে তাওবা করে এবং ঘোষণা করে যে, সে এসব থেকে ফিরে এসেছে। যথাসম্ভব সব রকমের মাধ্যম ব্যবহার করে এ বিষয়টি ফুটিয়ে তুলে যে, এসব ভ্রান্ত ও বাতিল বিষয় ছিল তাহলে যারা তার কথায় বিভ্রান্ত হয়েছিল তারা সঠিক পথে ফিরে আসবে। এবং যেসব সনেদহ ও ধুম্রজাল ছড়িয়েছিল তা পরিষ্কার করে দিবে এবং তা থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। এই ভাবে পরিষ্কার করে দেয়াটা ওয়াজিব, তাওবার ওয়াজিবের অন্তর্গত। মহান আল্লাহ বলেন: ‘‘কিন্তু যারা তাওবা করেছে, নিজেদের সংশোধন করেছে এবং বর্ণনা করেছে তারা হলো সেই লোক যাদের তাওবা আমি কবুল করবো এবং আমিই একমাত্র তাওবা কবুলকারী, দয়ালু।’’ (সূরা আল বাকারা: ১৬০)

দ্বিতীয়ত: সে যেন তার কলম ও জবানকে ইসলাম প্রচারের কাজে নিয়োজিত করে এবং তার শক্তিকে ও সামর্থকে ইসলামকে বিজয়ী করার কাজে নিয়োজিত করে, আর মানুষের নিকট হক শিক্ষা এবং এর দাওয়াত পৌছায়।

তৃতীয়ত: এই শক্তিকে যেন ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে এবং তাদের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত তুলে ধরে, যেমন ভাবে এর পূর্বে তাদেরকে সাহায্য করত এবং ইসলামের শত্রুদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করত। সে যেন ইসলামের হকের অস্ত্র হয়ে যায় বাতিলের বিরুদ্ধে। এভাবে বিভিন্ন হারাম কাজের কদর্যতা বর্ণনা করে ইসলামের পথে মানুষকে আহবান করে। যেমন হয়তো একদিন সুদের পক্ষে কথা বলেছে, এখন সুদের বিরুদ্ধে কলম ধরবে, এর অপকারিতা ও ভয়াবহতা তুলে ধরে পূর্বের পাপের কাফ্ফারা আদায় করবে। মহান আল্লাহই প্রকৃত হেদায়েত দাতা।