মদ্বীনায় হিজরতের পর তিনি বাইতুল মাকদিসের দিকে মুখ করেই সলাত আদায় করতেন। তিনি জিবরীল (আঃ) কে বলেছিলেন- আমার আশা, আল্লাহ্ তা‘আলা যেন আমার চেহারা ইহুদীদের কিবলা হতে ফিরিয়ে দেন। জিবরীল বললেন- আমি তো আল্লাহর একজন বান্দা মাত্র। আপনি আপনার রবের কাছে প্রার্থনা করুন এবং তাঁর কাছেই বিষয়টি বলুন। তিনি কিবলা পরিবর্তনের আশায় আকাশের দিকে বারবার তাকাচ্ছিলেন। তখন আল্লাহ্ তা‘আলা এই আয়াত নাযিল করলেন-

قَدْ نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِى السَّمَاءِ، فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا، فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ المَسْجِدِ الحَرَامِ

‘‘নিশ্চয়ই আমি তোমাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি তোমাকে সেই কিবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব, যাকে তুমি পছন্দ কর। এখন তুমি মসজিদুল হারামের দিকে মুখ কর এবং তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকেই মুখ কর’’। (সূরা বাকারা-২:১৪৪) এটি ছিল হিজরতের ১৬ মাস পরের এবং বদরের যুদ্ধের মাত্র দুই মাস পূর্বের ঘটনা।

কিবলা পরিবর্তনের এই ঘটনায় বড় বড় অনেকগুলো হিকমত রয়েছে এবং এটি ছিল মুসলিম, মুশরিক, ইহুদী এবং মুনাফিক সকল সম্প্রদায়ের জন্যই পরীক্ষা। মুসলিমদের তো কোন সমস্যাই ছিলনা। আল্লাহর পক্ষ হতে হিদায়াত পাওয়ার কারণে তারা বললেন- আমরা ঈমান এনেছি, সব কিছুই আল্লাহর পক্ষ হতে। তাই আমরা শুনলাম এবং মেনে নিলাম। তাদের কাছে বিষয়টি তেমন বড় ছিলনা।

মুশরিকরা বলতে লাগল, সে যেমন আমাদের কিবলার (কাবার) দিকে ফেরত এসেছে তেমন অচিরেই আমাদের দ্বীনে ফেরত আসবে। আমাদের কিবলাকে সত্য মনে করেই সেদিকে ফিরে এসেছে। ইহুদীরা বলতে লাগল- সে তাঁর পূর্বের সকল নাবীদের কিবলার বিরোধীতা করছে।

মুনাফিকরা বলতে লাগল- জানিনা, এই লোক কোথায় যাচ্ছে? প্রথম কিবলা সঠিক হয়ে থাকলে সে একটি সত্য বিষয় পরিত্যাগ করেছে। আর দ্বিতীয়টি সঠিক হয়ে থাকলে প্রথমে সে বাতিলের উপর ছিল। এ ছাড়া মূর্খরা আরও অনেক কথাই বলেছে। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন-

وَإنْ كَانَتْ لَكَبِيرَةً إِلا عَلَى الَّذِينَ هَدَى اللهُ

‘‘নিশ্চয়ই এটা (কিবলা পরিবর্তন) কঠিন বিষয়, কিন্তু তাদের জন্যে নয়, যাদেরকে আল্লাহ্ পথ প্রদর্শন করেছেন’’। (সূরা বাকারা-২:১৪৩)

নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ তা‘আলার পক্ষ হতে এটি মুমিন বান্দাদের জন্য একটি কঠিন পরীক্ষাও ছিল। যাতে তিনি দেখে নেন কে রসূলের অনুসরণ করে এবং কে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। কিবলার বিষয়টি যেহেতু একটি বিরাট ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাই আল্লাহ্ তআলা কিবলা পরিবর্তনের পূর্বে ভূমিকা স্বরূপ নাসেখ-মানসুখ তথা শরীয়তের কোন বিষয়কে রহিত করার বিধি-বিধান বর্ণনা করেছেন। এ বিষয়ে আল্লাহ্ তা‘আলা পূর্ণ ক্ষমতাবান। তিনি বলেছেন যে, কোন বিষয়কে মানসুখ (রহিত) করলে তার স্থলে আরও উত্তম হুকুম প্রদান করেন কিংবা অনুরূপ বিষয় স্থাপন করেন। এরপরই তিনি ঐ সমস্ত লোকদেরকে ধমক দিয়েছেন, যারা রসূল (ﷺ) এর হুকুমের বিরুদ্ধে হঠকারিতা প্রদর্শন করে এবং তাঁর হুকুমের সামনে মাথা নত করেনা।

অতঃপর আল্লাহ্ তা‘আলা ইহুদীদের পারস্পারিক মতভেদের কথা উল্লেখ করে বলেছেন যে, তাদের একদল অন্যদলকে দোষারোপ করে বলে থাকে যে, তোমরা সঠিক পথের উপর প্রতিষ্ঠিত নও। আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর বান্দাদেরকে ইহুদী-খৃষ্টানদের অনুরূপ করতে এবং তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করা হতে সতর্ক করেছেন। অতঃপর আল্লাহ্ তা‘আলা তাদের কুফর ও শির্কের বিষয় উল্লেখ করেছেন। তারা বলে যে, আল্লাহর পুত্র সন্তান রয়েছে। তিনি এ থেকে সম্পূর্ণ পবিত্র এবং তাদের ধারণার অনেক উর্ধ্বে।

কিবলা পরিবর্তনের আলোচনার ধারাবাহিকতায় তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, আল্লাহর জন্যই পূর্ব ও পশ্চিম তথা সকল দিক। সুতরাং তাঁর বান্দাগণ যেদিকেই মুখ ফিরাবে আল্লাহ্ সেদিকেই রয়েছেন। তার জ্ঞান অত্যন্ত ব্যাপক ও প্রশস্ত। তিনি তাঁর বড়ত্ব ও বিশালতার মাধ্যমে সকল কিছুকে বেষ্টন করে রেখেছেন বলেই বান্দা যেদিকে মুখ ফিরাবে আল্লাহ্ তা‘আলা সেদিকেই রয়েছেন। অতঃপর আল্লাহ্ তা‘আলা সংবাদ দিয়েছেন যে, যারা তাঁর অনুসরণ না করার কারণে এবং তাঁকে সত্যায়ন না করার কারণে জাহান্নামে যাবে তাদের সম্পর্কে তিনি তাঁর রসূলকে কিছুই জিজ্ঞেস করবেন না।

অতঃপর আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর রসূলকে এই সংবাদ দিয়েছেন যে, আহলে কিতাব তথা ইহুদী-খৃষ্টানরা কখনই তাঁর উপর সন্তুষ্ট হবেনা, যতক্ষণ না তিনি তাদের ধর্মের অনুসরণ করেন। তিনি এও বলেছেন যে, আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁকে ইহুদী-খৃষ্টানদের বিভ্রান্তি ও গোমরাহী থেকে পরিত্রাণ দেয়ার পরও যদি তিনি তাদের অনুসরণ করেন তাহলে আল্লাহর মুকাবেলায় তাঁর জন্য কোন সাহায্যকারী ও বন্ধু থাকবেনা। এরপর আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা তাদের উপর স্বীয় অনুগ্রহের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন এবং তাঁর আযাবের ভয় দেখিয়েছেন।

এরপর আল্লাহ্ তা‘আলা কাবার নির্মাণকারী ইবরাহীম খলীলুল্লাহর আলোচনা করেছেন এবং তাঁর প্রশংসা করেছেন। আরও উল্লেখ করেছেন যে, তিনি তাঁকে মানব জাতির ইমাম বানিয়েছেন। অতঃপর আল্লাহ্ তা‘আলা কাবা ঘরের নির্মাণ সম্পর্কে এবং বিশেষ করে তাঁর খলীল ইবরাহীম (আঃ) এর নির্মাণ সম্পর্কেও বলেছেন। এ থেকে বুঝা যায় যে, ইবরাহীম (আঃ) যেহেতু মুসলিম মিল্লাতের ইমাম তাই তাঁর হাতে নির্মিত ঘরও মুসলিমদের প্রাণকেন্দ্র এবং ইমাম।

অতঃপর আল্লাহ্ তা‘আলা বলেছেন- এই সম্মানিত ইমামের মিল্লাত থেকে কেবল মূর্খরাই মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর বান্দাদেরকে ইবরাহীম (আঃ) এর অনুসরণ করার ও তাঁর প্রতি এবং তাঁর পূর্বের সকল নাবীর প্রতি যা নাযিল হয়েছে তার প্রতিও ঈমান আনয়নের হুকুম দিয়েছেন। আর যারা ইবরাহীম (আঃ) এবং তাঁর আহলে বাইতকে ইহুদী বা নাসারা বলে দাবী করে তাদের প্রতিবাদ করেছেন।

আল্লাহ্ তা‘আলা উপরের সকল বিষয়কে কিবলা পরিবর্তনের পূর্বে ভূমিকা স্বরূপ উল্লেখ করেছেন। তিনি কিবলা পরিবর্তনের বিষয়টিকে বার বার জোর দিয়ে বলেছেন। রসূল (ﷺ) যেখানেই থাকেন, যেখান থেকেই বের হন, সকল স্থানেই এবং সকল অবস্থাতেই তাঁকে কাবার দিকে মুখ ফিরানোর আদেশ দিয়েছেন।

আল্লাহ্ তা‘আলা আরও সংবাদ দিয়েছেন যে, আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা সঠিক পথের সন্ধান দেন। তিনিই তাদেরকে এই কিবলার দিকে হিদায়াত করেছেন। এটি মুসলিমদেরই কিবলা, তারাই এদিকে মুখ ফিরানোর হকদার। আর এটিই সর্বোত্তম কিবলা। মুসলিমগণ সর্বোত্তম জাতি। তাই আল্লাহ্ তা‘আলা তাদের জন্য নির্বাচন করেছেন সর্বোত্তম রসূল, তাদেরকে দান করেছেন সর্বোত্তম কিতাব, তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন সর্বোত্তম যুগে, বিশেষ করে তাদেরকে দান করেছেন সর্বোত্তম শরীয়ত, ভূষিত করেছেন তাদেরকে সর্বোত্তম চরিত্রে, পাঠিয়েছেন তাদেরকে সুন্দরতম ভূখন্ডে, অধিষ্ঠিত করেছেন তাদেরকে জান্নাতের সর্বোত্তম স্থানে এবং কিয়ামতের দিন হাশরের মাঠে তাদের অবস্থানের জায়গা হবে সব চেয়ে উত্তম। তারা সে দিন দাঁড়াবে সুউচ্চ একটি টিলার উপর। অন্য লোকেরা দাঁড়াবে তাদের নীচে। সুতরাং আমি ঐ আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করছি, তিনি যাকে ইচ্ছা স্বীয় রহমত প্রদান করেন এবং যাকে ইচ্ছা তাঁর প্রতি অনুগ্রহ করেন। আর আল্লাহ্ তা‘আলার অনুগ্রহ অত্যন্ত বিশাল।

অতঃপর আল্লাহ্ তা‘আলা বলেছেন যে, কিবলা পরিবর্তনের কারণ হল যাতে লোকেরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ উত্থাপন করার সুযোগ না পায়।[1] তারপরও জালেমরা উপরে উল্লেখিত দুর্বল যুক্তি ও অভিযোগগুলো পেশ করে থাকে।[2] নাসিত্মকরা কেবল এগুলো বা এ জাতিয় অন্যান্য দুর্বল যুক্তির মাধ্যমে নাবী-রসূলদের দাওয়াতের বিরোধীতা করে থাকে। যারাই নাবী-রসূলদের কথার উপর অন্যান্য লোকদের কথাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে তাদের যুক্তিগুলোও অনুরূপ।

আল্লাহ্ তা‘আলা আরও সংবাদ দিয়েছেন যে, মুসলিম মিল্লাতের উপর তাঁর নিয়ামাতকে পরিপূর্ণ করার এবং তাদেরকে সঠিক পথের দিশা দেয়ার জন্যই কিবলাকে পরিবর্তন করেছেন এবং কাবাকেই তাদের কিবলা নির্ধারণ করেছেন। আল্লাহ্ তা‘আলা এই পরিপূর্ণ নিয়ামতের বিবরণ দিয়ে বলেন-

كَمَا أَرْسَلْنَا فِيكُمْ رَسُولا مِنْكُمْ يَتْلُو عَلَيْكُمْ آيَاتِنَا وَيُزَكِّيكُمْ وَيُعَلِّمُكُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَيُعَلِّمُكُمْ مَا لَمْ تَكُونُوا تَعْلَمُونَ

‘‘যেমন আমি পাঠিয়েছি তোমাদেরই মধ্য থেকে তোমাদের জন্যে একজন রসূল, যিনি তোমাদের নিকট আমার বাণীসমূহ পাঠ করবেন এবং তোমাদের পবিত্র করবেন; আর তোমাদের শিক্ষা দেবেন কিতাব ও প্রজ্ঞা (সুন্নাত) এবং শিক্ষা দেবেন এমন বিষয় যা কখনও তোমরা জানতে না’’। (সূরা বাকারা-২:১৫১)

পরিশেষে আল্লাহ্কে স্মরণ করার এবং তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার আদেশ দিয়েছেন। কেননা আল্লাহকে স্মরণ করা এবং তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার মাধ্যমেই নেয়ামত পরিপূর্ণতা লাভ করে এবং তা বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়। আর বান্দারা আল্লাহকে স্মরণ করলে এবং তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে আল্লাহ্ তা‘আলাও তাদেরকে স্মরণ করেন এবং ভালবাসেন। অতঃপর আল্লাহ্ তা‘আলা তাদেরকে এমন বিষয়ের আদেশ দিয়েছেন, যা ব্যতীত তাদের নিয়ামাত পরিপূর্ণ হবে না। আর তা হচ্ছে সবুর ও সালাত। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلاةِ إِنَّ اللهَ مَعَ الصَّابِرِينَ

‘‘হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য ও সলাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন’’। (সূরা বাকারা-২:১৫৩) আল্লাহ্ তা‘আলা কিবলা পরিবর্তনের সাথে সাথে দিনে ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সলাতের পূর্বে আযান দেয়াও শরীয়তের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সেই সাথে যোহর, আসর ও ইশার সলাতের রাকআত সংখ্যাও বাড়িয়ে দুইএর স্থলে চার করেছেন। অথচ ইতিপূর্বে উক্ত সলাতগুলোর রাকআত সংখ্যা ছিল দুই দুই করে। উপরের সবগুলো বিষয় নাবী (ﷺ)-এর মদ্বীনায় হিজরতের পরে সম্পন্ন হয়েছে।

[1]. আহলে কিতাবরা আগে থেকেই জানত যে, মুসলিম জাতির অন্যতম বৈশিষ্ট হচ্ছে তারা এবাদতে কাবাঘরের দিকে মুখ ফিরাবে। এখন যদি এর ব্যতিক্রম হয় তাহলে তারা সম্ভবতঃ অভিযোগ পেশ করার সুযোগ পেয়ে যাবে। অথবা এও হতে পারে যে, মুসলিমদের কিবলা যদি বাইতুল মাকদিসই থেকে যায় তাহলে ইহুদীরা এ কথা বলার সুযোগ পাবে যে আমরা যদি হকপন্থী না হয়ে থাকি তাহলে তারা আমাদের কিবলার অনুসরণ করল কেন? এ সকল অযুহাত সমূলে কেটে দেয়ার জন্যই আল্লাহ্ তা‘আলা কাবাকেই মুসলিমদের কিবলা হিসাবে নির্ধারণ করেছেন। (আল্লাহই ভাল জানেন)

[2]. মুশরিকরা বলতে লাগলঃ সে যেমন আমাদের কিবলার দিকে ফেরত এসেছে তেমনি অচিরেই আমাদের দ্বীনে ফেরত আসবে। আমাদের কিবলাকে সত্য মনে করেই সেদিকে ফিরে এসেছে। ইহুদীরা বলতে লাগলঃ সে তাঁর পূর্বের সকল নাবীদের কিবলার বিরোধীতা করেছে। মুনাফিকরা বলতে লাগলঃ জানি না, এই লোক কোথায় যাচ্ছে? প্রথম কিবলা সঠিক হয়ে থাকলে সে সত্য পরিত্যাগ করেছে। আর দ্বিতীয়টি সঠিক হয়ে থাকলে প্রথমে সে বাতিলের উপর ছিল। এ ছাড়া মূর্খরা আরও অনেক কথাই বলেছে। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেনঃ

وَإنْ كَانَتْ لَكَبِيرَةً إِلا عَلَى الَّذِينَ هَدَى اللهُ

‘‘নিশ্চিতই এটা (কিবলা পরিবর্তন) কঠিন বিষয়, কিন্তু তাদের জন্যে নয়, যাদেরকে আল্লাহ্ পথ প্রদর্শন করেছেন’’। (সূরা বাকারা-২: ১৪৩)