হজ্জ শেষে মক্কা শরীফ থেকে যখন বিদায় নেয়ার প্রস্তুতি নেবেন তখন বিদায়ী তাওয়াফ করবেন। বিদায়ী তাওয়াফের পর মক্কায় আর অবস্থান করবেন না। এ তাওয়াফে রম্ল নেই। এ তাওয়াফ হল হজ্জের সর্বশেষ কাজ। বিস্তারিত দেখুন পূর্ববর্তী ৭ম অধ্যায়ে।

২০১- হানাফী মাযহাবে বিদায়ী তাওয়াফের হুকুম কি?

ওয়াজিব। এটা ছুটে গেলে দম দিতে হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ

لاَ يَنْفِرَنَّ أَحَدٌ حَتَّى يَكُونَ آخِرُ عَهْدِهِ بِالْبَيْتِ

‘‘কাবাঘরে বিদায়ী তাওয়াফ’’ করা ছাড়া যেন কেউ দেশে ফিরে না যায়।’’ (মুসলিম ১৩২৭)

২০২- বিদায়ী তাওয়াফের সময় যদি মেয়েদের হায়েয শুরু হয়ে যায় তাহলে কি করবে?

হায়েযওয়ালী মেয়েদের বিদায়ী তাওয়াফ করা লাগবে না। ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত ‘‘হায়েযওয়ালী মেয়েদেরকে এ বিষয়ে রুখসত দেয়া হয়েছে।’’ (বুখারী ও মুসলিম)

২০৩- বিদায়ী তাওয়াফ কি হজ্জের অন্তর্ভুক্ত কোন কাজ নাকি পৃথক ইবাদত?

হানাফী মাযহাবে এটা হজ্জের অন্তর্ভুক্ত এবং এটা ওয়াজিব। কোন কোন মাযহাবে এটাকে হজ্জের বহির্ভূত পৃথক ইবাদত হিসেবে পালন করা হয়। তাদের মতে মক্কাবাসী বা মক্কায় অবস্থানরত ভিন দেশী এবং বহিরাগত লোকেরা মক্কা থেকে সফরে বের হলে বিদায়ী তাওয়াফ করা লাগবে এবং এটা বছরের যে কোন সময়েই হোক না কেন।

২০৪- বিদায়ী তাওয়াফ কাদের উপর ওয়াজিব?

এ তাওয়াফটি শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা মীকাতের বাইরে থেকে আসবেন এবং আবার নিজ দেশে চলে যাবেন।

এ বিষয়ে সর্বসম্মত রায় হল, যারা মক্কাবাসী অথবা বাহিরের লোক মক্কায় বসবাস করেন তাদের বিদায়ী তাওয়াফ করা লাগবে না। হানাফী মাযহাবের মতে মীকাতের ভিতরে অবস্থানকারী লোকজনেরও বিদায়ী তাওয়াফ নেই। যেমন হাদ্দা, বাহরা ও জেদ্দার লোকজনের।

২০৫- বিদায়ী তাওয়াফের ক্ষেত্রে সাধারণতঃ কি কি ভুল হাজীরা করে থাকে?

ভুলগুলো নিম্নরূপঃ

(১) বিদায়ী তাওয়াফ না করেই মক্কা ত্যাগ করে এতে ওয়াজিব ছুটে যায়।

(২) ১১ই যিলহজ্জে কেউ কেউ মক্কা ত্যাগ করে চলে যায়। যেতে হবে ১২ তারিখের দুপুরের পর কংকর নিক্ষেপ শেষ করে।

২০৬- বিদায়ী তাওয়াফের পর সাঈ করা লাগে কি?

না।

দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৭ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে