দেহের সাথে রূহের বিভিন্ন সম্পর্ক রয়েছে। নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো। দেহের সাথে রয়েছে রূহ এর পাঁচ প্রকার সম্পর্ক। এ সম্পর্কগুলোর প্রত্যেকটির রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন হুকুম-আহকাম।
(১) মায়ের পেটে যখন মানবদেহ ভ্রণ আকারে থাকে তখন সেটার সাথে রূহ এর এক প্রকার সম্পর্ক থাকে।
(২) মায়ের পেট থেকে বের হয়ে যমীনের পড়ার পর আরেক প্রকার সম্পর্ক তৈরি হয়।
(৩) মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে, তখন তার দেহের সাথে রূহ এর অন্য আরেক প্রকার সম্পর্ক থাকে। তখন একদিক থেকে রূহ তার দেহের সাথে যুক্ত থাকে এবং অন্যদিক বিবেচনায় তার রূহ দেহ থেকে আলাদা হয়ে যায়।
(৪) বারযাখী জীবনে দেহের সাথে রূহ এর অন্য প্রকার সম্পর্ক থাকে। যদিও তখন রূহ আলাদা হয়ে যায়, কিন্তু সম্পূর্ণরূপে এমনভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় না যে, দেহের দিকে সেটা কখনো আর ফিরে তাকায় না। বরং একাধিক সহীহ হাদীছ দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে যে, মরণের পরে লাশ যখন কবরে রাখা হয়, তখন ফেরেশতাদ্বয়ের প্রশ্নের সময় রূহ ফেরত দেয়া হয়। সেই সঙ্গে মুসলিমরা যখন কবরের পাশে গিয়ে সালাম দেয়, তখনও রূহকে দেহের মধ্যে ফেরত দেয়া হয় বলে দলীল রয়েছে। তবে এটি বিশেষ এক প্রকার ফেরত দেয়া। এ থেকে আবশ্যক হয় না যে, কিয়ামত দিবসের পূর্বে মৃতের শরীর সম্পূর্ণরূপে দুনিয়ার জীবনের মত হায়াত ফিরে পায়।
(৫) মৃতদের দেহসমূহ পুনরুত্থান দিবসে জীবত করার পর দেহের সাথে আরেক প্রকার সম্পর্ক তৈরী হবে। এটি হবে দেহের সাথে রূহের পূর্ণতম সম্পর্ক। ইতিপূর্বে দেহের সাথে রূহের যত প্রকার সম্পর্কের আলোচনা করা হলো, তার সাথে এ সম্পর্কের কোনো তুলনাই চলে না। কেননা এটি এমন সম্পর্ক, যার পরে দেহের আর কোনো মরণ হবে না, ঘুমাবেও না এবং এ সম্পর্কের মধ্যে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি হবে না।