دين الأنبياء عليهم الصلاة والسلام واحد - সমস্ত নবী-রসূলের দীন এক ও অভিন্ন

নবী আলাইহিমুস সালামদের দীন একটিই। যদিও তাদের শরী‘আত বিভিন্ন রকম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿شَرَعَ لَكُمْ مِنَ الدِّينِ مَا وَصَّى بِهِ نُوحًا وَالَّذِي أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ وَمَا وَصَّيْنَا بِهِ إِبْرَاهِيمَ وَمُوسَى وَعِيسَى أَنْ أَقِيمُوا الدِّينَ وَلَا تَتَفَرَّقُوا فِيهِ﴾

‘‘তিনি তোমাদের জন্য দীনের সেসব নিয়ম-কানুন নির্ধারিত করেছেন যার নির্দেশ তিনি নূহকে দিয়েছিলেন এবং যা আমি তোমার কাছে অহীর মাধ্যমে পাঠিয়েছি। আর যার আদেশ দিয়েছি আমি ইবরাহীম, মূসা, ও ঈসা আলাইহিমুস সালামকে। এই আদেশ দিয়েছিলাম যে, তোমরা দীন কায়েম করো এবং এ ব্যাপারে পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না’’। (সূরা শুরা: ১৩) আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ وَإِنَّ هَٰذِهِ أُمَّتُكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَأَنَا رَبُّكُمْ فَاتَّقُونِ﴾

‘‘হে রসূলগণ! তোমরা পাক-পবিত্র জিনিস খাও এবং সৎকাজ করো। আর তোমরা সৎকর্ম করো। তোমরা যা কিছুই করো না কেন আমি তা জানি। আর তোমাদের এ উম্মত হচ্ছে একই উম্মত এবং আমি তোমাদের রব, কাজেই আমাকেই তোমরা ভয় করো’’। (সূরা মুমিনুন: ৫১-৫২)

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমরা নবীদের দল। আমাদের দীন মাত্র একটিই। আর নবীগণ পরস্পর সতালো ভাই। ইসলামই হলো নবীদের দীন। এ দীন ছাড়া আল্লাহ তা‘আলা অন্য কোনো দীন কবুল করবেন না। ইসলাম হলো তাওহীদ ও আনুগত্যের সাথে এক আল্লাহর নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পন করা এবং শিরক ও মুশরিকদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ ঘোষণা করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَأُمِرْتُ أَنْ أَكُونَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ

‘‘আমি আদিষ্ট হয়েছি যেন আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত হই’’। (সূরা নামাল: ৯১)

আল্লাহ তা‘আলা ইবরাহীম আলাইহিস সালাম সম্পর্কে বলেন,

﴿إِذْ قَالَ لَهُ رَبُّهُ أَسْلِمْ قَالَ أَسْلَمْتُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ﴾

‘‘যখন তার রব তাকে বললো, মুসলিম হয়ে যাও। তখন সে বলে উঠলো, আমি বিশ্ব-জাহানের প্রভুর জন্য মুসলিম হয়ে গেলাম’’। (সূরা বাকারা: ১৩১) আল্লাহ তা‘আলা মূসা আলাইহিস সালাম সম্পর্কে বলেন,

﴿وَقَالَ مُوسَىٰ يَا قَوْمِ إِن كُنتُمْ آمَنتُم بِاللَّهِ فَعَلَيْهِ تَوَكَّلُوا إِن كُنتُم مُّسْلِمِينَ﴾

‘‘ মূসা তার কওমকে বলল, হে লোকেরা! তোমরা যদি সত্যিই আল্লাহর প্রতি ঈমান রেখে থাকো তাহলে কেবল তার উপর ভরসা করো, যদি তোমরা মুসলিম হয়ে থাকো’’। (সূরা ইউনুস: ৮৪) ঈসা আলাইহিস সালাম সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَإِذْ أَوْحَيْتُ إِلَى الْحَوَارِيِّينَ أَنْ آمِنُوا بِي وَبِرَسُولِي قَالُوا آمَنَّا وَاشْهَدْ بِأَنَّنَا مُسْلِمُونَ﴾

‘‘আর যখন আমি হাওয়ারীদেরকে ইঙ্গিত করেছিলাম, আমার ও আমার রসূলের প্রতি ঈমান আনো, তারা বলেছিল, আমরা ঈমান আনলাম এবং সাক্ষী থাকো আমরা মুসলিম’’। (সূরা মায়েদা: ১১১) পূর্ববর্তী যামানার নবীগণ এবং তাওরাত সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿إِنَّا أَنزَلْنَا التَّوْرَاةَ فِيهَا هُدًى وَنُورٌ ۚ يَحْكُمُ بِهَا النَّبِيُّونَ الَّذِينَ أَسْلَمُوا لِلَّذِينَ هَادُوا وَالرَّبَّانِيُّونَ وَالْأَحْبَارُ﴾

‘‘আমি তাওরাত নাযিল করেছি। তাতে ছিল হিদায়াত ও আলো। আল্লাহর অনুগত নবীগণ, আল্লাহ ওয়ালাগণ এবং প--তগণ ইয়াহূদীদেরকে তা দিয়ে যাবতীয় বিষয়ের ফায়সালা প্রদান করতো’’। (সূরা মায়েদা: ৪৪) সাবার রাণী বিলকীস বলেছিলেনঃ

﴿رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي وَأَسْلَمْتُ مَعَ سُلَيْمَانَ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِين﴾

‘‘হে আমার রব! আমি নিজের উপর বড় যুলুম করেছি এবং এখন আমি সুলাইমানের সাথে আল্লাহ রাববুল আলামীনের জন্য ইসলাম কবুল করে নিয়েছি’’। (নামাল: ৪৪)

সুতরাং সমস্ত নবী-রসূলের দীন হলো ইসলাম। একমাত্র আল্লাহর জন্য আত্মসমর্পন করাকে ইসলাম বলা হয়। যে ব্যক্তি একই সময় আল্লাহর জন্য এবং আল্লাহ ছাড়া অন্যের জন্য আত্মসমর্পন করে সে মুশরেক। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য আত্মসমর্পন করে না, সে অহঙ্কারী। যারা শিরক করে এবং যারা অহঙ্কার বশতঃ আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করা থেকে বিরত থাকে, তারা সবাই কাফের। আল্লাহ তা‘আলার জন্য আত্মসমর্পন, এককভাবে তার ইবাদত করা এবং একমাত্র তার অনুসরণ করাকে শামিল করে। প্রতি মুহূর্তে আল্লাহ তা‘আলার যেসব আদেশ রয়েছে, যথাসময়ে তা সম্পন্ন করার মাধ্যমেই তার আনুগত্য করা সম্ভব। ইসলামের প্রথম যুগে বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে সালাত  পড়ার আদেশ ছিল, পরবর্তীতে তা রহিত করে কাবার দিকে মুখ ফিরানোর আদেশ করা হয়েছে। এ উভয়ই কাজের আদেশ যখন করা হয়েছিল, প্রত্যেকটি কাজই ইসলামের অন্তর্ভুক্ত ছিল। সুতরাং দীন হলো আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্য করার নাম।

বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে সালাত  আদায় করা এবং কাবার দিকে ফিরে সালাত  আদায় করা উভয়টিই আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত। তবে আমলটি আদায়ের পদ্ধতির ভিন্নতা মাত্র। আর তা হলো সালাত ীর মুখ ফিরানো। এমনি রসূলদের দীন মাত্র একটিই। যদিও তার হুকুম-আহকাম, পথ-পদ্ধতি এবং রীতি-নীতি ভিন্নতর হয়। এ ভিন্নতা দীন এক হওয়ার পরিপন্থী নয়। এমনি একই রসূলের শরী‘আত বিভিন্ন হওয়া দোষণীয় নয়। যেমন আমরা ইতিপূর্বে বাইতুল মাকদিসের দিকে সালাত পড়ার উদাহরণ দিয়েছি। অতঃপর দ্বিতীয় পর্যায়ে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শরী‘আতেই কাবার দিকে মুখ ফিরিয়ে সালাত  পড়ার হুকুম করা হয়েছে।

সুতরাং নবীদের শরী‘আত বিভিন্ন রকম হলেও তাদের দীন মাত্র একটি। বিশেষ উদ্দেশ্যে আল্লাহ তা‘আলা এক সময় একটি বিষয় শরী‘আতের অন্তর্ভুক্ত করেন, অন্য সময় বিশেষ উদ্দেশ্যে আরেকটি আদেশ করেন। রহিত হওয়ার পূর্বে রহিত বিষয়ের উপর আমল করা আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্যের অন্তর্ভুক্ত। রহিত হওয়ার পর রহিতকারী বিষয়ের উপর আমল করা আবশ্যক। এ ক্ষেত্রে যে ব্যক্তি রহিতকারী বিষয় পরিত্যাগ করে রহিত কৃত বিষয়ের উপরই থেকে যাবে, সে দীন ইসলামের উপর থাকতে পারবেনা। এমনকি সে কোনো নবীর অনুসরণকারী হিসাবেই গণ্য হবেনা। এ জন্যই ইয়াহূদী- খ্রিষ্টানদের কাফের হিসাবে গণ্য করা হবে। কেননা তারা পরিবর্তিত ও রহিত শরী‘আতকেই আঁকড়ে ধরেছে।

আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক জাতির জন্য তাদের অবস্থা ও সময় অনুপাতে শরী‘আত নির্ধারণ করেন এবং তাদের কল্যাণার্থে সেটা সংশোধন করার দায়িত্ব নেন। অতঃপর সেসব শরী‘আতের মেয়াদ শেষে সেটা থেকে আল্লাহ তা‘আলা যা ইচ্ছা রহিত করেন। পরিশেষে আল্লাহ তা‘আলা তার সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যমীনবাসীর নিকট পাঠালেন। কিয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ পৃথিবীতে আসবে, তাদের সকলের জন্য তিনিই নবী হিসাবে থাকবেন। তাকে এমন শরী‘আত দিয়ে পাঠানো হয়েছে, যা সর্বকালের সকল মানুষের জন্য উপযোগী। এ শরী‘আতের কোনো পরিবর্তন কিংবা রদবদল হবেনা। সমস্ত যমীনবাসীর জন্য তার অনুসরণ এবং তার প্রতি ঈমান আনয়ন করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, قُلْ يَا أَيُّهَا النَّاسُ  إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُمْ جَمِيعًا  ‘‘হে মুহাম্মাদ! বলে দাও, হে মানব সম্প্রদায়, আমি তোমাদের সকলের জন্য আল্লাহর রসূল হিসাবে এসেছি’’। (সূরা আল আরাফ: ১৫৮)

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

﴿وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا كَافَّةً لِّلنَّاسِ بَشِيرًا وَنَذِيرًا وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ﴾

‘‘আর আমি তো তোমাকে সমগ্র মানব জাতির জন্য সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারী রূপে পাঠিয়েছি। কিন্তু বেশীর ভাগ লোক জানে না’’। (সূরা সাবা: ২৮)

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, ﴿وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِينَ﴾ ‘‘হে মুহাম্মাদ! আমি তোমাকে সৃষ্টিজগতের জন্য রহমত স্বরূপ পাঠিয়েছি’’। (সূরা আন্বীয়া: ১০৭) আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَٰكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا﴾

‘‘মুহাম্মাদ তোমাদের পুরুষদের মধ্য থেকে কারোর পিতা নন। কিন্তু তিনি আল্লাহর রসূল এবং শেষ নবী। আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক অবগত’’। (সূরা আহযাব: ৪০)

আল্লাহ তা‘আলা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর যে আয়াতগুলো নাযিল করেছেন, তাতে সমস্ত জিন-ইনসানকে সম্বোধন করা হয়েছে এবং জাতিগত ভেদাভেদের উর্ধ্বে থেকে তাদের সকলকে এক দীনের বন্ধনে আবদ্ধ করা হয়েছে। আরবদের জন্য কোনো খাস হুকুম নাযিল করা হয়নি। বরং কুরআনের হুকুম-আহকামগুলোর সম্বন্ধ করা হয়েছে কাফের, মুমিন, মুসলিম, মুনাফিক, পূণ্যবান, পাপিষ্ঠ, ন্যায়পরায়ন, যালেম এবং কুরআন ও হাদীছে উল্লেখিত ইত্যাদি নামের প্রতি।  সুতরাং কুরআন ও হাদীছে আরবদেরকে খাস করে বিশেষ কোনো শরঈ হুকুম প্রদান করা হয়নি। বরং হুকুমগুলোকে ছিফাত বা বিশেষণের উপর প্রয়োগ করা হয়েছে।  আল্লাহ তা‘আলা বান্দার যেসব কাজ-কর্ম ভালোবাসেন তা সম্পন্নকারীদেরকে উত্তম বিনিময় প্রদান করার ওয়াদা করা হয়েছে এবং তাদের যেসব খারাপ আমলকে অপছন্দ করেন, তার অধিকারীদেরকে শাস্তি প্রদানের ধমক দেয়া হয়েছে।

শুধু তাবলীগ করার জন্যই আরবী ভাষায় কুরআন নাযিল করা হয়েছে। প্রথমত তিনি তার সম্প্রদায়ের লোকদের কাছে তাবলীগ করেছেন। অতঃপর তাদের মাধ্যমে সমগ্র জাতির নিকট সেটা প্রচার করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা তার নবীকে প্রথমে স্বীয় গোত্রের কাছে তাবলীগ করার আদেশ করেছেন। অতঃপর তার নিকটতম লোকদেরকে পর্যায়ক্রমে সতর্ক করার আদেশ দিয়েছেন। এমনিভাবে প্রথমে পার্শ্ববর্তী কাফেরদের অতঃপর দূরবর্তী কাফেরদের বিরুদ্ধে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করার হুকুম করা হয়েছে। এর মধ্যে তাদের বিশেষ কোনো বিশেষত্ব নেই। বরং তাবলীগ করার ক্ষেত্রে কেবল ধীরে ধীরে ও পর্যায়ক্রমে অগ্রসর হওয়ার নীতি অবলম্বন করা হয়েছে।

মোটকথা নবীদের দীন মাত্র একটিই। আর তা হচ্ছে এখলাসের সাথে আল্লাহর ইবাদত করা এবং শিরক ও ফাসাদ থেকে বিরত থাকা। পরিস্থিতি, পারিপার্শ্বিক অবস্থা, প্রেক্ষাপট ও প্রয়োজন অনুপাতে যদিও তাদের শরী‘আত বিভিন্ন হয়েছে, কিন্তু তাদের দীনের মূল কথা একই। এভাবেই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত এসে নবী-রসূলদের ধারাবাহিকতা শেষ হয়েছে।[1]

সমগ্র সৃষ্টির জন্যই তার রিসালাত এবং তা কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তা পরিবর্তন, রদবদল কিংবা রহিত হবেনা। এটি সকল যুগের সর্বশ্রেণীর মানুষের জন্যই উপকারী এবং সর্বকাল ও সর্বস্থানের মানুষের জন্যই রক্ষাকবচ। তার পরে কিয়ামত পর্যন্ত আর কোনো নবী আসবেনা। তার পূর্বের নবী-রসূলগণকে ঈমান আনয়ন করাসহ শরী‘আতের হুকুম-আহকাম বাস্তবায়নের মাধ্যমে এখলাসের সাথে আল্লাহর ইবাদত করার যে আদেশ দেয়া হয়েছে, তাকেও সেই একই আদেশ প্রদান করা হয়েছে। তিনি ছিলেন তার পূর্বেকার নবীদেরকে সত্যায়নকারী। তার পূর্বের নবীগণ তার আগমণের সুখবর দিয়েছেন। বিশেষ করে সময়ের দিক থেকে তার নিকটতম নবী ঈসা ইবনে মারইয়াম আলাইহিস সালাম তার সম্প্রদায়কে বলেছেন,

﴿يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُم مُّصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيَّ مِنَ التَّوْرَاةِ وَمُبَشِّرًا بِرَسُولٍ يَأْتِي مِن بَعْدِي اسْمُهُ أَحْمَدُ﴾

 ‘‘হে বনী ইসরাঈল, আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর প্রেরিত রসূল। আমি তাওরাতের সত্যায়নকারী যা আমার পূর্বে এসেছে এবং একজন রসূলের সুসংবাদদাতা যিনি আমার পরে আসবেন, যার নাম আহমাদ’’। (সূরা সাফ: ৬)

পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবসমূহে আমাদের রসূলের এমন বৈশিষ্টের বিবরণ এসেছে, যা একদম সুস্পষ্ট। ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের মধ্য থেকে যারা তাকে রসূল হিসাবে বিশ্বাস করতে অস্বীকার করেছে, তারা কেবল হিংসা ও অহংকারের বশবতী হয়েই করেছে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿الَّذِينَ آتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ يَعْرِفُونَهُ كَمَا يَعْرِفُونَ أَبْنَاءَهُمْ وَإِنَّ فَرِيقًا مِّنْهُمْ لَيَكْتُمُونَ الْحَقَّ وَهُمْ يَعْلَمُونَ﴾

‘‘যাদেরকে আমি কিতাব দিয়েছি তারা তাকে সেভাবেই চেনে যেমন নিজেদের সন্তানদেরকে চেনে। কিন্তু তাদের একদল লোক জেনেবুঝে সত্য গোপন করে থাকে’’। (সূরা আল-বাকারা: ১৪৬)

হে আল্লাহ! তুমি আমাদের সামনে সত্যকে সত্য হিসাবে দেখাও এবং সেটার অনুসরণ করার তাওফীক দাও। হে আল্লাহ! তুমি আমাদের সামনে বাতিলকে বাতিল হিসাবে দেখাও এবং সেটা পরিত্যাগ করার তাওফীক দাও।


[1]. সহীহ হাদীছে এসেছে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন দালানের সর্বশেষ ইট।