কোনো কোনো গবেষক বলেছেন, মহাশুণ্যের বিভিন্ন অবস্থার মাধ্যমে যমীনের ঘটনাসমূহের উপর দলীল গ্রহণ করাকে التنجيم বা জ্যোতির্বিদ্যা বলা হয়। যেমন জ্যোতিষীরা দাবি করে যে, তারা বাতাস প্রবাহিত হওয়ার সময়, ঝড় ও অন্যান্য দূর্যোগ শুরু হওয়ার সময়, বৃষ্টি হওয়ার সময়[1], গরম বা ঠান্ডা শুরু হওয়ার সময়, দ্রব্যমূল্য পরিবর্তন হওয়ার সময়, রোগ-ব্যাধি, মহামারি ও মৃত্যুর সময় এবং শুভ সময় কিংবা অশুভ সময় ইত্যাদি সম্পর্কে অবগত রয়েছে। ইহাকে علم التأثير বা প্রভাব-প্রতিক্রিয়া সম্পর্কিত বিদ্যাও বলা হয়। এটি দুই প্রকার।

(১) জ্যোতিষীরা দাবি করে যে, আসমানের তারকাগুলো নিজস্ব ইচ্ছাতেই ক্রিয়াশীল। এগুলোর প্রভাবের ফলেই পৃথিবীর কার্যাবলী পরিচালিত হয়। মুসলিমদের ঐক্যমতে এটি কুফুরী। কেননা এতে বিশ্বাস করা হয় যে, আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত আরো স্রষ্টা রয়েছে এবং আল্লাহ তা‘আলার সাম্রাজ্যের মধ্যে তার ইচ্ছা ব্যতিরেকেই অন্যরা কর্তৃত্ব করে থাকে।

(২) তারা বলে থাকে, তারকার চলাচল, এগুলো একত্রিত হওয়া এবং বিচ্ছিন্ন হওয়া যমীনের বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহের প্রমাণ করে। এ রকম বিশ্বাস পোষণ করা হারাম হওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। কেননা এতে ইলমুল গায়েবের দাবি করা হয়। অন্যদিক থেকে এটি যাদুও বটে।

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

مَنِ اقْتَبَسَ عِلْمًا مِنَ النُّجُومِ اقْتَبَسَ شُعْبَةً مِنَ السِّحْرِ زَادَ مَا زَادَ

‘‘যে ব্যক্তি জ্যোতির্বিদ্যার কিছু অংশ শিখল, সে যাদু বিদ্যারই একটি শাখা শিখলো। জ্যোতির্বিদ্যা যে যত বেশি শিখলো, সে যাদুও তত বেশি শিখলো’’।[2] হাদীছের সনদ সহীহ। ইমাম নববী ও যাহাবী সহীহ বলেছেন। ইমাম ইবনে মাজাহ, আহমাদ ইবনে হাম্বল এবং অন্যরাও হাদিছটি বর্ণনা করেছেন।

কুরআন, হাদীছ এবং মুসলিমদের ঐক্যমতে যাদু করা, যাদু শিক্ষা করা এবং সেটা শিক্ষা দেয়া হারাম। তারকার চলাচলকে দলীল হিসাবে গ্রহণ করে ভবিষ্যৎ ঘটনাবলী সম্পর্কে খবর দেয়ার মধ্যে গায়েবের এমন খবর জানার দাবি করা হয়, যা দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা সম্পূর্ণরূপে নিজেকে বিশেষিত করেছেন। এখানে আল্লাহ তা‘আলার খাস ইলমের মধ্যে অংশীদারিত্বের দাবি করা হয় অথবা যারা এটি দাবি করে তাদেরকে সত্যায়ন করা হয়। এটি তাওহীদের পরিপন্থি। কারণ এতে রয়েছে একটি অন্যায় দাবি।

ইমাম খাত্তাবী রহিমাহুল্লাহ বলেছেন, সৃষ্টির মধ্যে ভবিষ্যতে যেসব ঘটনা ঘটবে বলে জ্যোতিষীরা দাবি করে, আলেমদের নিকট সেটা নিষিদ্ধ ইলমুত তানজীম হিসাবে প্রসিদ্ধ। যেমন তারা বাতাস প্রবাহিত হওয়ার সময় জানার দাবি করে, বৃষ্টি বর্ষণের সময় ও স্থানসমূহ জানার দাবি করে, দ্রব্যমূল্য পরিবর্তন হওয়ার দাবি করে এবং তারা এমনি আরো অনেক বিষয়ের দাবি করে। তারা দাবি করে যে, কক্ষপথে গ্রহ-নক্ষত্র ও তারকার চলাচল, সেটা একসাথে মিলিত হওয়া, বিচ্ছিন্ন হওয়া ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারলে উপরোক্ত বিষয়গুলো জানা যায়। তারা দাবি করে যে, পৃথিবীর ঘটনাপ্রবাহে আসমানের গ্রহ-নক্ষত্র ও তারকারাজির প্রভাব রয়েছে। এটি তাদের গায়েবের খবর দাবি এবং এমন ইলমের দাবি করার শামিল, যা কেবল আল্লাহ তা‘আলার জন্যই খাস। আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কেউ গায়েবের খবর জানে না।

ইমাম বুখারী (রহিমাহুল্লাহ) তার সহীহ গ্রন্থে বলেন, কাতাদাহ বলেছেন,

خَلَقَ الله هَذِهِ النُّجُومَ لِثَلاَثٍ جَعَلَهَا زِينَةً لِلسَّمَاءِ وَرُجُومًا لِلشَّيَاطِينِ وَعَلاَمَاتٍ يُهْتَدَى بِهَا فَمَنْ تَأَوَّلَ فِيهَا بِغَيْرِ ذَلِكَ أَخْطَأَ وَأَضَاعَ نَصِيبَهُ وَتَكَلَّفَ مَا لاَ عِلْمَ لَهُ بِهِ

‘‘আল্লাহ তা‘আলা এসব নক্ষত্র তিনটি উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন, আকাশের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য, শয়তানকে বিতাড়িত করার জন্য এবং পথিকদের দিশা পাওয়ার জন্য। যে ব্যক্তি এসব উদ্দেশ্য ছাড়া ভিন্ন ব্যাখ্যা করলো সে ভুল করলো, তার ভাগ্য নষ্ট করলো এবং যে বিষয়ে তার কোনো জ্ঞান নেই, তা জানার  চেষ্টা করলো।

খতীব বাগদাদী রাহিমাহুল্লাহ কাতাদাহ থেকে আরো বর্ণনা করেন যে, আল্লাহ তা‘আলার শরী‘আত সম্পর্কে বেশ কিছু অজ্ঞ লোক আসমানের তারকাগুলো থেকে জ্যোতির্বিদ্যা তৈরী করেছে। তারা বলে অমুক অমুক তারকা উদিত হওয়ার পর বাসর করলে এমন এমন হবে এবং অমুক অমুক তারকা উদিত হওয়ার পর ভ্রমণ করলে এমন এমন হবে।

আমার জীবনের শপথ![3] তারা আরো বলে যে, এমন কোনো তারকা নেই, যার কারণে কোনো না কোনো লাল, কালো, লম্বা, খাটো, সুদর্শন কিংবা কুৎসিত মানুষ জন্ম গ্রহণ করে না। অথচ এ তারকাগুলো, কিংবা এ প্রাণীগুলো অথবা এ পাখিগুলো গায়েবের কোনো খবর জানেনা। কেউ যদি গায়েবের খবর জানতো, তাহলে আদম আলাইহিস সালাম জানতেন। আল্লাহ তাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন, ফেরেশতাদেরকে তার উদ্দেশ্যে সেজদা করিয়েছেন এবং তাকে প্রত্যেক জিনিষের নাম শিখিয়েছেন।

শাইখ বলেন, আমি বলছি, এমনি আরো অনেক কুসংস্কার রয়েছে, যা মিথ্যুকরা পত্র-পত্রিকায় প্রচার করে থাকে। যেমন রাশিচক্র ও নক্ষত্রের হিসাব করে তারা সুখ-দুঃখ, দুর্ভাগ্য, সৌভাগ্য ইত্যাদি সম্পর্কে খবর দিয়ে থাকে। কতিপয় সহজ-সরল মানুষ তাদের কথা বিশ্বাস করে থাকে।

শাইখ আব্দুর রাহমান ইবনে হাসান রহিমাহুল্লাহ ফাতহুল মাজীদে বলেন, যদি বলা হয় যে, জ্যোতিষীদের কথা তো মাঝে মাঝে সত্য হয়। এর জবাব হলো তাদের কথা সত্য হওয়া গণকের কথা সত্য হওয়ার মতোই। তার একটি কথা সত্য হলেও ১০০টি মিথ্যা হয়। একটি কথা সত্য হওয়া ইলমুল গায়েব জানার কারণে নয়; বরং আল্লাহ তা‘আলার নির্ধারণ অনুপাতেই হয়ে থাকে; তার সাথে গণকের কথা মিলে যায় মাত্র।[4] এতে করে যে ব্যক্তি তার কথায় বিশ্বাস করে তার জন্য এটি ফিতনার কারণ হয়।

শাইখ আরো বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত একাধিক হাদীছ ইলমুত তানজীম তথা জ্যোতির্বিদ্যাকে বাতিল করে দিয়েছে। যেমন তিনি বলেছেন,

 مَنِ اقْتَبَسَ عِلْمًا مِنَ النُّجُومِ اقْتَبَسَ شُعْبَةً مِنَ السِّحْرِ زَادَ مَا زَادَ

‘‘যে ব্যক্তি জ্যোতির্বিদ্যার কিছু অংশ শিখল, সে যাদু বিদ্যারই একটি শাখা শিখলো। জ্যোতির্বিদ্যা যে যত বেশি শিখলো, সে যাদুও বেশি শিখলো’’।[5] ইমাম ইবনে মাজাহ, আহমাদ ইবনে হাম্বল এবং অন্যরা হাদিছটি বর্ণনা করেছেন।

রাজা ইবনে হাইওয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমার উম্মতের উপর যেসব বিষয়ের আশঙ্কা করি, তা হলো যমীনের ঘটনাসমূহে আকাশের তারকার প্রভাব আছে বলে বিশ্বাস, তাক্বদীর অস্বীকার এবং শাসকদের যুলুম-নির্যাতন। ইবনে হুমায়েদ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। তবে জলে ও স্থলে ভ্রমণ করার সময় দিক নির্দেশনার জন্য তারকার সাহায্য নেয়া জায়েয আছে। এটি আল্লাহ তা‘আলার নিয়ামতের মধ্যে গণ্য। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَهُوَ الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ النُّجُومَ لِتَهْتَدُوا بِهَا فِي ظُلُمَاتِ الْبَرِّ وَالْبَحْرِ﴾

‘‘তিনি তোমাদের জন্য তারকারাজি সৃজন করেছেন- যাতে তোমরা স্থল ও জলের অন্ধকারে পথপ্রাপ্ত হও। (সূরা আন আনআম: ৯৭) অর্থাৎ সেগুলো দ্বারা তোমরা যেন ভ্রমণের দিক নির্ণয় করতে পারো। উদ্দেশ্য এ নয় যে, এগুলো দ্বারা ইলমুল গায়েব অনুসন্ধান করবো। যেমন ধারণা করে থাকে জ্যোতিষীরা।

ইমাম খাত্তাবী রহিমাহুল্লাহ বলেন, কিবলার দিক নির্ধারণ করার জন্য তারকা দ্বারা নির্দেশনা গ্রহণ করা বৈধ। কেননা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন আলেমগণ গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে এ তারকাগুলোকে কিবলার দিক নির্ধারণের জন্য ঠিক করেছেন।

তারকা সম্পর্কিত বিদ্যার মাধ্যমে কিবলার দিক নির্ধারণ করা হয়, সেটি হচ্ছে ঐ সমস্ত অভিজ্ঞ ইমামদের কাজ, যাদের দীনী খেদমতে আমরা কোনো প্রকার সন্দেহ করি না এবং তারকার চলাচল ও গতি সম্পর্কে তারা যে সংবাদ দেন তার সত্যতা অস্বীকার করি না। তারা কিবলার দিক কাবার কাছে থাকা অবস্থায় যেভাবে দেখেন, দূরে থাকা অবস্থায় ঠিক সেভাবেই দেখেন। সুতরাং দূর থেকে কিবলা সম্পর্কে তাদের জ্ঞান অর্জন করা কাবাকে দেখার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জনের মতোই। আর তাদের খবরকে গ্রহণ করার মাধ্যমে আমরাও কিবলার দিক জানতে পারি। কেননা দীনের বিষয়াদিতে  আমাদের কাছে তাদের খেদমত প্রশ্নবিদ্ধ নয় এবং তারা আকাশের তারকা ও নক্ষত্ররাজি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করার ক্ষেত্রেও কোনো প্রকার ত্রুটি করেননি।

ইমাম ইবনে রজব বলেন, তারকাসমূহের চলাচল সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু যে ইলমের মধ্যে দাবি করা হয় যে, পৃথিবীর ঘটনাবলীতে তারকার প্রভাব রয়েছে, তা শিক্ষা করার অনুমতি নেই। যেমন বর্তমানের জ্যোতিষীরা দাবী করে থাকে। এ ধরণের ইলম অর্জন করা নিষেধ। তা কম হোক বা বেশি হোক। কিন্তু অন্ধকার রাতে পথ চলার জন্য, কিবলা নির্ধারণ করার জন্য এবং রাস্তা চেনার জন্য প্রয়োজন অনুপাতে ইলমুত্ তাস্য়ীর তথা তারকা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা অধিকাংশ আলেমের নিকট জায়েয।

ঠিক তেমনি কিবলা, নামাযের সময়সূচি, বিভিন্ন ঋতু, পশ্চিমাকাশে সূর্য ঢলার সময় সম্পর্কে জানার জন্য চন্দ্র-সূর্যের মঞ্জিল সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা জায়েয আছে। ইমাম খাত্তাবী রহিমাহুল্লাহ বলেন, চোখ দিয়ে দেখে ইলমুন নুজুম সম্পর্কে যে বিদ্যা অর্জন করা হয়, যার মাধ্যমে পশ্চিমাকাশে সূর্য ঢলে যাওয়া সম্পর্কে অবগত হওয়া যায় এবং কিবলার দিক জানা যায়, তা নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত নয়। ছায়া পর্যবেক্ষণ করে যা জানা যায়, তা হলো সকাল বেলা কোনো কিছুর ছায়া ধীরে ধীরে ছোট হওয়ার অর্থ হলো পূর্ব দিগন্ত হতে সূর্য আসমানের মধ্যভাগে উঠছে। এক পর্যায়ে ছায়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর যখন পুনরায় বৃদ্ধি হওয়া শুরু করে, তখন সূর্য মধ্য আকাশ থেকে পশ্চিম দিগমেত্মর দিকে নামতে শুরু করে। এ প্রকার ইলম তো চোখে দেখেও অর্জন করা যায়। তবে লোকেরা এ ইলমটি এখন যন্ত্রপাতির সাহায্যে অর্জন করছে। এতে দৃষ্টি দেয়ার মাধ্যমেই এখন সূর্যের অবস্থান, নামাযের সময়সূচী ও ছায়ার লম্বা-খাটো, সূর্য ঠিক মাথার উপরে, না কি পূর্বাকাশে না কি পশ্চিমাকাশে তা বুঝা যায়।

ইমাম ইবনুল মুনযির মুজাহিদ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি চন্দ্রের মঞ্জিল সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করাকে দোষণীয় মনে করতেন না।

পরিশেষে বলতে চাই যে, মুসলিমদের আকীদা হলো তাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। এর মাধ্যমেই তাদের নাজাত ও সৌভাগ্যের ফায়ছালা হবে। সুতরাং যেসব বিষয় আকীদাকে নষ্ট করে দেয় কিংবা তাতে শিরক, কুসংস্কার ও বিদআত ঢুকিয়ে দেয়, তা থেকে দূরে থাকা আবশ্যক। এতে করে তার আকীদা পরিস্কার ও উজ্জ্বল থাকবে। আল্লাহর কিতাব, রসূলের সুন্নাত এবং সালাফদের মানহাজ আঁকড়ে ধরার মাধ্যমেই আকীদা সংরক্ষণ করা সম্ভব। সঠিক আকীদা শিক্ষা করা এবং সেটার পরিপন্থী ভ্রান্ত আকীদাগুলো জানা ব্যতীত কেউ সহীহ আকীদার উপর থাকতে পারবে না। বিশেষ করে বর্তমানে মুসলিমদের কাতারে এমন অনেক লোক ঢুকে পড়েছে, যারা প্রয়োজন পূরণের আবেদন নিয়ে এবং বিপদাপদ দূর করার জন্য মিথ্যুক, ভেলকিবাজ ও ফাঁকিবাজদের কাছে যায়। তারা কবর ও সমাধিস্থলের উপরও ভরসা করে। পূর্বযুগের মুশরিকরা যেমন শিরকের উপর ছিল, সাম্প্রতিক কালের নামধারী মুসলিমগণ অনুরূপ শিরকের চর্চায় লিপ্ত। এমনকি তাদের চেয়ে এক শ্রেণীর মুসলিমদের শিরক অধিক ভয়াবহ। সেই সঙ্গে তারা নেতা, আলেম এবং সুফী তরীকার পীরদেরকে আল্লাহর বদলে রব হিসাবে গ্রহণ করেছে। এরা তাদের অনুসারীদের জন্য এমন দীন তৈরী করে, যার অনুমতি আল্লাহ তা‘আলা দেননি।


[1]. তবে আবহাওয়া অফিস ঝড়-বৃষ্টি হওয়া বা শৈত প্রবাহের যেই পূর্বাভাস দেয়, তাতে কোনো অসুবিধা নেই। কেননা আকাশে মেঘের লক্ষণ দেখে অথবা আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বৃষ্টি বা ঝড়ো হাওয়ার আলামত পেয়েই আবহাওয়া অফিস পূর্বাবাস দেয়। তাই এটি গায়েবের অন্তর্ভুক্ত নয়।   

[2]. আবু দাউদ, অধ্যায়: জ্যোতির্বিদ্যা। ইমাম আলবানী সহীহ বলেছেন, দেখুন: সহীহুত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব, হাদীছ নং- ৩০৫১।

[3]. এই বাক্যটি আরবদের জবানে উচ্চারিত হলেও এর দ্বারা আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে কসম উদ্দেশ্য নয়। এটি ভাষাগত রীতি মাত্র। সাধারণত তাদের ভাষায় এ জাতিয় কথার প্রচলন রয়েছে। এতে আল্লাহ ছাড়া অন্যের কসমের সন্দেহ থাকায় অনেক আলেমই এই রীতিকে অপছন্দ করেছেন।

[4]. কথায় বলে, ঝড়ে বক মরে ফকীরের কারামতি বাড়ে।

[5]. আবু দাউদ, অধ্যায়: জ্যোতির্বিদ্যা। ইমাম আলবানী রহিমাহুল্লাহ সহীহ বলেছেন, দেখুন: সহীহুত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব, হাদীছ নং- ৩০৫১।