এ অবস্থায় রোগীর জন্য যা কিছু করা তাদের দরকার তা হলো:
১. রোগীকে ‘কালিমা তাইয়্যেবাহ’ অর্থাৎ ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পড়তে বলা। (মুসলিম: ৯১৭, ১৫২৩) কালিমা শাহাদাতও পড়া যেতে পারে।
২. রোগীর পাশে বসে শুধু ভালো কথা বলা আর দুআ করা। কেননা, ঐ সময় দু'আ করলে ফেরেশতারা আমীন! আমীন!! বলে। (মুসলিম: ৯১৯, ১৫২)। আর তাই তখন সুদু’আ বা বদদু‘আ সঙ্গে সঙ্গে কবুল হয়ে যায়। সাবধান! তখন যেন কেউ কোন বাজে কথা না বলে ও বাজে মন্তব্য না করে।
৩. কালিমা’ পড়ার সময় লক্ষ রাখতে হবে যে, রোগী তা পড়তে আগ্রহী কি না। সে যেন বিরক্ত হয়ে পড়তে অস্বীকৃতি না জানায়। নাউযুবিল্লাহ! এমন হলে হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যার শেষ কথা হবে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।(মুসলিম: ৩৮)
৪. কালিমা’ শুধু পড়ে তাকে শুনানো যথেষ্ট নয়; বরং রোগীকে তা পড়তে বলা। আর তখন পড়লেই সে সাফল্যমণ্ডিত। (আহমাদ: ১২১৩৪, বুখারী: ১২৬৮) উল্লেখ্য যে, সে সময় মুমূর্ষ ব্যক্তির কাছে বসে সূরা ইয়াসীন পড়া এবং রোগীকে কিবলামুখী করে দেওয়া- এ মর্মে কোন সহীহ হাদীস নেই ।
৫. কোন অমুসলিম ব্যক্তিকে মুমূর্ষ অবস্থায় পেলে তাকেও কালিমা পড়তে বললে এবং সে তা পড়লে এটা হবে তার জন্য অনন্ত পরপারের চির সাফল্য। (বুখারী: ১৩৫৬)
৬. মুমূর্ষ ব্যক্তির মাথার কাছে কেউ কেউ কুরআন শরীফ রাখে, ধূপ জ্বালায়, বাতি জ্বালিয়ে রাখে, ঋতুবতী নারীদেরকে কাছে ঘেঁষতে দেয় না- এগুলো ঠিক না, বরং বিদআত।