কিছু সামান্য পার্থক্য আছে। তবে সালাতের মূল কাঠামোর মধ্যে পুরুষ ও মহিলাদের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। যেমন দাঁড়ানোর পদ্ধতি, বুকে হাত বাঁধা, রুকু, সিজদা ও বৈঠক এসবই পুরুষ ও মহিলারা একই কায়দায় আমল করবে। রাসূলুল্লাহ (স.)-এর যামানায় পুরুষ ও মহিলারা একই পদ্ধতিতে সালাত আদায় করতেন। তবে তাদের সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে নিমোক্ত বিষয়গুলোতে বিশেষ কিছু বিধানের অনুসরণ করবে।
১. মেয়েরা শুধুমাত্র মুখমণ্ডল ও দুই হাত ছাড়া বাকি আপাদমস্তক ঢেকে দাঁড়াবে। পায়ের গোড়ালির নিচ পর্যন্ত কাপড় ঝুলিয়ে পা ঢেকে রাখবে। কিন্তু পুরুষদের জন্য পায়ের গোড়ালির নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পরা হারাম।
২. জামা'আতে নামায পড়লে মেয়েরা পুরুষদের একেবারে পেছনে দাঁড়াবে।
৩. মহিলাদের জামায়াতে মহিলারা ফরয বা ওয়াজিব সালাতের ইমামতি করতে পারবে।
৪. ফরয সুন্নাত সকল নামাযে শুধুমাত্র মেয়েরা জামাআত করলে মহিলা ইমাম সামনে না গিয়ে কাতারের মাঝে মুক্তাদিদের সারিতে দাঁড়াবে।
৫. ইমামের কোন ভুল হলে মহিলা মুক্তাদিরা হাতের উপর হাত রেখে তালি দেবে। তবে পুরুষেরা লুকমা দেবে ‘সুবহানাল্লাহ’ শব্দ বলে।
৬. মহিলারা পুরুষদের সাথে একই জামা'আতে নামায পড়লে সালাম ফেরানোর পর পর মহিলারা আগে বেরিয়ে যাবে। এরপর বের হবে পুরুষ মুসল্লীরা। তবে মেয়েদের জন্য আলাদা গেট থাকলে আগে-পরে বের হওয়াতে কোন দোষ নেই।
৭. মহিলারা সালাতের আযান দিবে না। আযান দেওয়া শুধুমাত্র পুরুষদের কাজ। তবে অধিকাংশ ফকীহদের মতে মেয়েদের জামায়াতে নারীরা ইকামত দিতে পারবে ।