(১) ছোট নাপাকী থেকে ওযূ এবং বড় নাপাকী থেকে ফরজ গোসল করবে।
(২) ওযূ বা গোসলের পূর্বে পেশাব-পায়খানার রাস্তা থেকে পানি বা কুলুখের মাধ্যমে নাপাকি দূর করে নেবে।
(৩) রোগী নড়াচড়া করতে না পারলে অন্য কেউ তাকে ওযূ করিয়ে দেবে।
(৪) পানি ব্যবহার ক্ষতিকারক হলে তায়াম্মুম করবে।
(৫) নিজে তায়াম্মুম করতে না পারলে অন্য কেউ তায়াম্মুম করিয়ে দেবে।
(৬) পানি ব্যবহার ক্ষতিকারক হলে ফরজ গোসলের ক্ষেত্রেও তায়াম্মুম করতে পারবে।
(৭) শরীরের কোন ক্ষতস্থান ধৌত করলে ক্ষতির কারণ হলে পানি দ্বারা শুধু মাসেহ করে দিতে পারবে, অথবা পট্টির উপর পানি দ্বারা মাসেহ করতে পারবে। এটাতেও ক্ষতি হলে শুধু তায়াম্মুম করবে, ওযুর সময় শরীরের কোন ক্ষত অংশ মাসেহ করলে আর তায়াম্মুম লাগবে না।
(৮) এক ওয়াক্তে তায়াম্মুম করলে এর দ্বারা পরবর্তী ওয়াক্তের সালাত আদায় করা যাবে যদি ওযু ভঙ্গের কোন কারণ এর মধ্যে না ঘটে।
(৯) রোগীর দেহ, কাপড় ও সালাতের জায়গা পাক-পবিত্র থাকতে হবে। সহায়তা করার কেউ থাকলে এ অবস্থায়ই সালাত আদায় করলে তা হয়ে যাবে। অপবিত্র জায়গায় একটা পবিত্র কাপড় বিছিয়ে দিলে এর উপর সালাত আদায় করা যাবে।
(১০) পবিত্রতা অর্জনে অক্ষম হলেও এক ওয়াক্তের সালাত অন্য ওয়াক্তে পড়া যাবে না। সঠিক সময়েই সালাত আদায় করতে হবে। যেভাবে যতটুকু সম্ভব পবিত্রতা অর্জন করে সালাত পড়ে নেবে।
(১১) অনবরত প্রস্রাব বা রক্ত ঝরলে অথবা বাতাস বের হলে এবং চিকিৎসায় রোগমুক্তি না হলে প্রতি ওয়াক্তের শুরুতেই ওযূ করতে হবে। একবারের ওযু দিয়ে অন্য ওয়াক্তের সালাত পড়া যাবে না। আর পানির ব্যবহার ক্ষতিকারক হলে অনুরূপ প্রতি ওয়াক্তের শুরুতে তায়াম্মুম করে নেবে। (সূত্র- বুখারী: ১৫০, ১৬২, মুসলিম: ২৩৭, ২৬২, ২৭১, আবু দাউদ: ৪০, ফাতাউয়া ইবনে বায- ১২/২৩৬, ২৪০, ফাতাওয়া ইবনে উসাইমীন- ১১/১৫৫, ১৭২)