ওযু করে দিনে বা রাতে যেকোন সময় দু'রাকআত নফল বা তাহিয়্যাতুল ওযুর সালাত আদায় করে সালাম ফিরিয়ে হামদ ও দুরূদ পাঠ করবে, অতঃপর নিম্নবর্ণিত দুআটি করবে দু'আর ভিতরে যেখানে "হাযাল আমর" শব্দ রয়েছে সেখানে কাঙ্ক্ষিত বিষয়টির কথা বলবে। দু'আটি হলো:
‘‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্তাখীরুকা বইলমিকা অ আস্তাক্বদিরুকা বি ক্বুদরাতিকা অ আসআলুকা মিন ফাযবলিকাল আযীম, ফাইন্নাকা তাক্বদিরু অলা আক্বদিরু অতা’লামু অলা আ’লামু অ আন্তা আল্লা-মুল গুয়ূব। আল্লা-হুম্মা ইন কুন্তা তা’লামু আন্না হা-যাল আমর (এখানে যে কাজের জন্য ইস্তেখারা করা হচ্ছে তা মনে মনে উল্লেখ করবে) খাইরুল লী ফী দ্বীনী অ মাআ’শী অ আ’-ক্বিবাতি আমরী অ আ’-জিলিহী অ আ-জিলিহ, ফাক্বদুরহু লী, অয়্যাস্সিরহু লী, সুম্মা বা-রিক লী ফীহ। অইন কুন্তা তা’লামু আন্না হা-যাল আমরা শার্রুল লী ফী দ্বীনী অ মাআ’শী অ আ’-ক্বিবাতি আমরী অ আ’-জিলিহী অ আ-জিলিহ, ফাস্বরিফহু আন্নী অস্বরিফনী আনহু, অক্বদুর লিয়াল খাইরা হাইসু কা-না সুম্মা আরযিবনী বিহ।’’
অর্থঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার ইলমের মাধ্যমে তোমার কাছে কল্যাণ কামনা করছি। তোমার শক্তির মাধ্যমে (সেটা অর্জন করার) শক্তি ভিক্ষা চাচ্ছি এবং আরো ভিক্ষা চাই তোমার অনুগ্রহ। কেননা, ক্ষমতা তুমিই রাখ; আমি তো তা রাখি না। তুমিই (সব) জানো আর আমি তো জানি না। সকল গায়েবী বিষয়ের একমাত্র তুমি মহাজ্ঞানী।”
হে আল্লাহ! তুমি যদি জান যে, এ কাজটি আমার দ্বীন, জীবিকা ও পরিণাম আমার বর্তমান ও পরপারের অনন্তকালের জন্য কল্যাণকর হবে, তাহলে এটা আমার জন্য নির্ধারিত করে দাও ও কাজটি সহজ করে দাও। অতঃপর এতে আমার জন্য বরকত নাযিল কর। আর যদি দেখ যে, এ কাজটি আমার জন্য ক্ষতিকর হবে আমার দ্বীন, জীবিকা ও আমার পরিণামে, আমার ইহকাল ও পরকালে, তাহলে এটা আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাও, আর আমাকেও এটা থেকে দূরে রাখ। আর যেখানে আমার জন্য কল্যাণ রয়েছে তাই আমার জন্য নির্ধারণ করে দাও। আর এরই উপর আমাকে সন্তুষ্ট রাখ। (বুখারী: ১১৬২, ইফা: ১০৯৩, আধুনিক: ১০৮৮)