(১) তিনি ইমামতি করছেন এমন নিয়ত করবেন অর্থাৎ মনে মনে এ সংকল্প করবেন।
(২) তাকবীর দেওয়ার আগেই মুসল্লীদের এই বলে নির্দেশ দেবেন, “কাতার সোজা করুন, পায়ে পায়ে গায়ে গায়ে মিশে মিশে দাঁড়ান, কাতারের ফাঁকা জায়গা বন্ধ করুন, সামনের কাতার আগে পূর্ণ করুন- এভাবে পরবর্তী কাতারগুলো পূর্ণ করুন” (বুখারী: ৭১৯)।
আর এগুলো বলবেন আদেশসূচক ভাষায়, অনুরোধের সুরে নয়। কেননা, তিনি ইমাম। আরবীতে বাক্যচয়ন আদেশ সূচকই আছে। আর লোকেরা নামাযে দাঁড়ালে রাসূলুল্লাহ (স.) আগে কাতার সোজা করতেন। এরপর তাকবীর দিতেন। (আবু দাউদ: ৬৬৫)।
(৩) সকল শ্রেণীর মানুষের প্রতি খেয়াল রেখে সালাত সংক্ষেপ করা। কেননা, জামাআতে শিশু, বৃদ্ধ, দুর্বল, রোগী, মাযূর ব্যক্তির ও বিভিন্ন হাযতগ্রস্ত লোক থাকতে পারে। তাদের কারো যেন কষ্ট না হয়, তা লক্ষ রাখা। আবার সালাত যেন খুব তাড়াহুড়াও না হয়, তারও ভারসাম্য রক্ষা করা। তবে একাকী সালাত যত লম্বা হয় ততই ভালো।
(৪) প্রথম রাকআত অপেক্ষাকৃত একটু লম্বা করে পড়া, যাতে করে বিলম্বে আগমনকারীরাও রাকআতটি পেয়ে যেতে পারে। রাসূলুল্লাহ (স) এমনই করতেন। (আবু দাউদ: ৮০০)
(৫) ইমাম তার নিজের একার জন্য দুআ না করা বরং বহুবচন শব্দ ব্যবহার করে সকলের জন্য দু'আ করা। আমার বদলে আমাদের বলা উত্তম।
(৬) সালাম ফেরানোর পরপরই মুক্তাদীদের দিকে ঘুরে বসা। সালাতে সালাম ফেরানোর পরপরই রাসূলুল্লাহ (স.) মুক্তাদীদের দিকে মুখ করে বসতেন। (আবু দাউদ: ১০৪১, বুখারী: ৮৫২) আনাস (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (স.) অধিকাংশ সময় (সালাত শেষে) ডান দিকে ঘুরে বসেছেন।(মুসলিম)।
(৭) ফরজ শেষ হলে যিকির-আযকার করার পর ঐ একই স্থানে যেন সুন্নাত না পড়ে। বরং জায়গা বদল করে যেন সুন্নাত পড়ে (আবু দাউদ: ৬১৬, মিশকাত: ৯৫৩)। এমনকি মুক্তাদিরাও ফরজের স্থান বদল করে একটু সামনে বা পেছনে অথবা ডানে বা বামে অর্থাৎ অন্যত্র সরে গিয়ে সুন্নাত পড়বে (আবু দাউদ: ১০০৬)। কেননা, কিয়ামতের দিন এসব জায়গা বান্দার পক্ষে আল্লাহর আনুগত্যের সাক্ষ্য দেবে। (মিশকাতের ৯৫৩ নং হাদীসের টীকা)।