রাসূল (ছাঃ)-এর প্রেরিত মুবাল্লিগগণের দ্বারা এঁরা পূর্বেই মুসলমান হন। অতঃপর তাদের গোত্রের পক্ষ হ’তে ৭ সদস্যের এই প্রতিনিধি দল রাসূল (ছাঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য মদীনায় আসেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাঁদের জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কারা? তারা বললেন, আমরা মুসলমান। রাসূল (ছাঃ) বললেন, প্রত্যেক বস্ত্তরই কিছু সারবত্তা (حَقِيقَةٌ) থাকে। তোমাদের বক্তব্যের সারবস্ত্ত কি? তারা বললেন, আমাদের মধ্যে ১৫টি বিষয় রয়েছে। ৫টি আক্বীদা বিষয়ক এবং ৫টি আমল বিষয়ক, যা আপনার প্রেরিত মুবাল্লিগগণ আমাদের শিখিয়েছেন। আর তা হ’ল :
বিশ্বাস স্থাপন করা আল্লাহর উপরে, ফেরেশতাগণের উপরে, আল্লাহর কিতাবসমূহের উপরে, তাঁর প্রেরিত রাসূলগণের উপরে এবং মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের উপরে।
অতঃপর আমল বিষয়ক পাঁচটি বস্ত্ত হ’ল : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ কালেমা মুখে স্বীকৃতি দেওয়া, পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করা, যাকাত দেওয়া, রামাযানের ছিয়াম পালন করা এবং বায়তুল্লাহর হজ্জ করা, যদি সামর্থ্য থাকে।
এছাড়া যে পাঁচটি বিষয় আমাদের মধ্যে আগে থেকেই ছিল, তা হ’ল: সচ্ছলতার সময় আল্লাহর শুকরগুযারী করা, বিপদের সময় ছবর করা, আল্লাহর ফায়ছালার উপর সন্তুষ্ট থাকা, পরীক্ষার সময় সত্যের উপর দৃঢ় থাকা এবং শত্রুকে গালি না দেওয়া।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, যারা তোমাদেরকে কথাগুলি শিখিয়েছেন, নিশ্চয়ই তারা অত্যন্ত জ্ঞানী মানুষ। সম্ভবতঃ তারা নবীগণের মধ্যেকার কেউ হবেন। আচ্ছা আমি তোমাদেরকে আরও পাঁচটি বিষয়ে শিক্ষা দিচ্ছি।-
(১) ঐ বস্ত্ত জমা করো না, যা খাওয়া হয় না (২) ঐ ঘর তৈরী করো না, যাতে বাস করা হয় না (৩) এমন কথার মুকাবিলা করো না, যা কালকে পরিত্যাগ করতে হবে (৪) আল্লাহর ভয় বজায় রাখো, যার কাছে ফিরে যেতে হবে ও যার কাছে উপস্থিত হতে হবে (৫) ঐসব বস্ত্তর প্রতি আকর্ষণ রাখো, যা তোমার জন্য আখেরাতে কাজ দিবে, যেখানে তুমি চিরস্থায়ীভাবে থাকবে’।
প্রতিনিধিদল কথাগুলি মুখস্থ করে নিল এবং তারা এর উপরে সর্বদা আমলকারী ছিল।[1]
[শিক্ষণীয় : সৌভাগ্যবান সেই ব্যক্তি, যে অন্যের সদুপদেশ গ্রহণ করে।]