(১) সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া রোমকভীতিকে অগ্রাহ্য করে এবং কঠিন দুর্ভিক্ষ ও দৈন্যদশার মধ্যেও গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহ উপেক্ষা করে দীর্ঘ ও ক্লেশকর অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মধ্যে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)-এর অদম্য সাহস ও বিপুল দূরদৃষ্টির পরিচয় পাওয়া যায়। যা প্রতি যুগে ইসলামী আমীরদের জন্য অত্যন্ত শিক্ষণীয় বিষয়।
(২) মুনাফিকরাই যে ইসলামী শাসনের সবচেয়ে বড় দুশমন, তাবূকের যুদ্ধে তার স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এমনকি মসজিদ-এর আড়ালে যে তারা ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও আত্মঘাতি কাজ করতে পারে, তারও প্রমাণ তারা রেখেছে। রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে এধরনের মুনাফেকী তৎপরতার মধ্যে পরবর্তী যুগের ইসলামী নেতাদের জন্য হুঁশিয়ারী সংকেত লুকিয়ে রয়েছে।
(৩) জীবন ও সম্পদ সবকিছুর চেয়ে ঈমানের হেফাযতের জন্য আমীরের আদেশ পালনে নিবেদিতপ্রাণ হওয়া যে সর্বাধিক যরূরী, তার সর্বোত্তম পরাকাষ্ঠা দেখা গেছে তাবূক যুদ্ধে গমনকারী শাহাদাত পাগল মুজাহিদগণের মধ্যে এবং বাহন সংকট ও অন্যান্য কারণে যেতে ব্যর্থ হওয়া ক্রন্দনশীল মুমিনদের মধ্যে। ইসলামী বিজয়ের জন্য সর্বযুগে এরূপ নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মী অবশ্যই যরূরী।