(১) ইহূদী-নাছারা নেতৃবৃন্দ মুসলমানদের প্রতি সর্বদা বিদ্বেষপরায়ণ এবং মুসলমানদের সাথে কৃত সন্ধিচুক্তির প্রতি তারা কখনো শ্রদ্ধাশীল থাকে না’ (বাক্বারাহ ২/১২০; মায়েদাহ ৫/৫১)।
(২) ইহূদীরা অর্থ-বিত্তে ও অস্ত্র-শস্ত্রে সমৃদ্ধ হ’লেও তারা সব সময় ভীরু ও কাপুরুষ। সেকারণ তারা সর্বদা শঠতা ও প্রতারণার মাধ্যমে মুসলিম শক্তির ধ্বংস কামনা করে’ (হাশর ৫৯/২, ১৪)।
(৩) তারা সর্বদা শয়তানের তাবেদারী করে। কোনরূপ ধর্মীয় অনুভূতি বা এলাহী বাণী তাদেরকে শয়তানের আনুগত্য করা হ’তে ফিরাতে পারে না’ (হাশর ৫৯/১১-১২, ১৬)।
বস্ত্ততঃ আল্লাহর গযবপ্রাপ্ত এই জাতি (বাক্বারাহ ২/৬১) পৃথিবীর কোথাও কোনকালে শান্তি ও স্বস্তির সাথে বসবাস করতে পারেনি এবং পারবেও না। ফিলিস্তিনী আরব মুসলমানদের তাদের আবাসভূমি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে সেখানে যে ইহূদী বসতি স্থাপন করা হয়েছে এবং ১৯৪৮ সাল থেকে যাকে ‘ইসরাঈল রাষ্ট্র’ নামকরণ করা হয়েছে, ওটা আসলে কোন রাষ্ট্র নয়। বরং মধ্যপ্রাচ্যের বুকে পরাশক্তিগুলির তৈরী একটি সামরিক কলোনী মাত্র। পাশ্চাত্যের দয়া ও সমর্থন ব্যতীত যার একদিনের জন্যও টিকে থাকা সম্ভব নয়। যতদিন দুনিয়ায় ইহূদীরা থাকবে, ততদিন তাদেরকে এভাবেই অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে বেঁচে থাকতে হবে। কেননা এটাই আল্লাহর পূর্ব নির্ধারিত বিধান’ (আলে ইমরান ৩/১১২)। এক্ষণে আল্লাহর গযব থেকে তাদের বাঁচার একটাই পথ রয়েছে- খালেছ তওবা করে পূর্ণ আন্তরিকতার সাথে ইসলাম কবুল করা এবং আরব ও মুসলিম বিশ্বের সাথে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করা।