১. ইসলাম আসার পূর্বে শিরক ও কুফরী থেকে ইহূদী বা নাছারা ধর্মে গমন করা জায়েয ছিল। কিন্তু ইসলাম আসার পরে সেটি নিষিদ্ধ হয়। এখন পৃথিবীতে কেবল ইসলামই আল্লাহর একমাত্র মনোনীত ধর্ম (আলে ইমরান ৩/১৯)।
২. জিহাদের প্রয়োজনে ফলদার বৃক্ষ ইত্যাদি কাটা যাবে’ (হাশর ৫৯/৫)।[1]
৩. যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত নয়, বরং শত্রুপক্ষীয় কাফেরদের পরিত্যক্ত সকল সম্পদ ফাই (فئ)-এর অন্তর্ভুক্ত হবে, যা পুরোপুরি রাষ্ট্রপ্রধানের এখতিয়ারে থাকবে। তিনি সেখান থেকে যেভাবে খুশী ব্যয় করবেন। অনুরূপভাবে খারাজ, জিযিয়া, বাণিজ্যিক ট্যাক্স প্রভৃতি আকারে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যা কিছু জমা হয়, সবই ফাই-য়ের অন্তর্ভুক্ত।
জাহেলী যুগে নিয়ম ছিল, এ ধরনের সকল সম্পদ কেবল বিত্তশালীরাই কুক্ষিগত করে নিত। তাতে নিঃস্ব ও দরিদ্রদের কোন অধিকার ছিল না। কিন্তু ইসলামী রাষ্ট্রে উক্ত সম্পদ নিঃস্ব ও অভাবগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণের জন্য রাষ্ট্রপ্রধানকে এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে এবং পুঁজি যাতে কেবল ধনিক শ্রেণীর মধ্যে আবর্তিত না হয়, তার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে’ (হাশর ৫৯/৬-৭)। সে মতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) উক্ত ফাই কেবলমাত্র বিত্তহীন মুহাজির ও দু’জন বিত্তহীন আনছারের মধ্যে বণ্টন করেন। কিন্তু কোন বিত্তবানকে দেননি। এর উদ্দেশ্য ছিল সমাজে অর্থনৈতিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা। উল্লেখ্য যে, গণীমত হ’ল ঐ সম্পদ যা যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয়। যার এক পঞ্চমাংশ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়। বাকী চার পঞ্চমাংশ ইসলামী সেনাবাহিনীর মধ্যে বণ্টিত হয়’ (আনফাল ৮/১, ৪১)।
৪. ইসলামী এলাকায় ইহূদী-নাছারাদের বসবাস নিরাপদ নয়। সেকারণ রাষ্ট্র প্রয়োজন বোধ করলে তাদেরকে বহিষ্কারাদেশ ও নির্বাসন দন্ড দিতে পারে (হাশর ৫৯/২)।