তাওহীদ পন্থীদের নয়নমণি ১২তম অধ্যায় - আল্লাহ ছাড়া অন্যের কাছে আশ্রয় চাওয়া শির্ক শাইখ আব্দুর রাহমান বিন হাসান বিন মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহাব (রহঃ) ১ টি
আল্লাহ ছাড়া অন্যের কাছে আশ্রয় চাওয়া শির্ক

আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

وَأَنَّهُ كَانَ رِجَالٌ مِنَ الْإِنْسِ يَعُوذُونَ بِرِجَالٍ مِنَ الْجِنِّ فَزَادُوهُمْ رَهَقًا

‘‘মানুষের মধ্য থেকে কিছু লোক কতিপয় জিনের কাছে আশ্রয় চাচ্ছিল। এর ফলে তারা জিনদের আহমিকা আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল’’। (সূরা জিনঃ ৬)

ব্যাখ্যাঃ الاستعاذة ইস্তেআযা অর্থ আশ্রয় চাওয়া, পানা চাওয়া, অবস্থান গ্রহণ করা ইত্যাদি। আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনাকারী সকল ভীতিকর বস্ত্ত হতে পলায়ন করে তার প্রভুর নিকট আশ্রয় গ্রহণ করে।

ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রঃ) বলেনঃ আল্লাহ তাআলার কাছে আশ্রয় নেওয়া, নিজেকে প্রভুর নিকট সোপর্দ করা, তাঁর কাছেই সকল প্রয়োজন পেশ করা এবং তাঁর নিকট অবনত হওয়ার কারণে বান্দার অন্তরে যে প্রভাব পড়ে, তা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব।

আল্লাহ তাআলা কুরআনের অনেক জায়গায় বান্দাদেরকে তাঁর আশ্রয় নেওয়ার আদেশ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

وَإِمَّا يَنْزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ إِنَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ

‘‘আর যদি শয়তানের প্ররোচনা তোমাকে প্ররোচিত করে, তাহলে আল্লাহ্‌র আশ্রয় গ্রহণ করো। তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী’’। (সূরা আরাফঃ ২০০) আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ

فَإِذَا قَرَأْتَ الْقُرْآَنَ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ (98) إِنَّهُ لَيْسَ لَهُ سُلْطَانٌ عَلَى الَّذِينَ آَمَنُوا وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ (99) إِنَّمَا سُلْطَانُهُ عَلَى الَّذِينَ يَتَوَلَّوْنَهُ وَالَّذِينَ هُمْ بِهِ مُشْرِكُونَ

‘‘অতএব, যখন তুমি কুরআন পাঠ করবে, তখন বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্‌র আশ্রয় গ্রহণ করো। তার আধিপত্য চলে না তাদের উপর, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং আপন প্রভুর উপর ভরসা রাখে। তার আধিপত্য তো তাদের উপরই চলে, যারা তাকে বন্ধু মনে করে এবং যারা আল্লাহর সাথে শির্ক করে’’। (সূরা নাহালঃ ৯৮-১০০) সূরা নাস্, ফালাক ও অন্যান্য সূরাতেও একই হুকুম রয়েছে। সুতরাং জানা গেল যে, الاستعاذة আশ্রয় প্রার্থনা করা গুরুত্বপূর্ণ একটি এবাদত। এটি আল্লাহ ছাড়া অন্যের নিকট করা জায়েয নয়। অন্যান্য এবাদতের ক্ষেত্রেও একই কথা। এবাদতের কোনো প্রকারই আল্লাহ ছাড়া অন্যের জন্য সম্পাদন করা বৈধ নয়।

মানুষের মধ্য থেকে কিছু লোক কতিপয় জিনের কাছে আশ্রয় চাচ্ছিল, এর ফলে তাদের আহমিকা আরো বেড়ে গিয়েছিলঃ ইমাম আবু জাফর ইবনে জারীর (রঃ) আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রঃ) এ আয়াতের তাফসীর করতে গিয়ে বলেনঃ জাহেলী যামানায় কোন কোন লোক উপত্যকায় রাত্রি যাপন করার সময় বলতঃ আমি এই উপত্যকার প্রধানের আশ্রয় প্রার্থনা করছি। এভাবে আশ্রয় প্রার্থনা করার মাধ্যমে তাদের গুনাহ আরও বৃদ্ধি পেত।

অন্যান্য আলেমগণ বলেনঃ এই লোকেরা জিনদের প্রধানের নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করার কারণে মানুষের উপর জিনদের দাপট আরো বেড়ে যেত। সেই সঙ্গে মানুষের গুনাহও বৃদ্ধি পেত। মুজাহিদ বলেনঃ কাফের জিনদের সীমালংঘন আরো বেড়ে যেত। ইবনে যায়েদ (রঃ) বলেনঃ জিন তাদেরকে আরো বেশী করে ভয় দেখাত।

সকল আলেমের ঐক্যমতে আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করা নাজায়েয। মোল্লা আলী কারী হানাফী (রঃ) বলেনঃ জিনের নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করা জায়েয নয়। এ জন্যই আল্লাহ তাআলা জিনদের নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করার কারণে কাফেরদেরকে দোষারোপ করেছেন। অতঃপর তিনি এই আয়াতকে দলীল হিসাবে পেশ করেন।

وَيَوْمَ يَحْشُرُهُمْ جَمِيعًا يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ قَدِ اسْتَكْثَرْتُمْ مِنَ الْإِنْسِ وَقَالَ أَوْلِيَاؤُهُمْ مِنَ الْإِنْسِ رَبَّنَا اسْتَمْتَعَ بَعْضُنَا بِبَعْضٍ وَبَلَغْنَا أَجَلَنَا الَّذِي أَجَّلْتَ لَنَا قَالَ النَّارُ مَثْوَاكُمْ خَالِدِينَ فِيهَا إِلَّا مَا شَاءَ اللَّهُ إِنَّ رَبَّكَ حَكِيمٌ عَلِيمٌ

‘‘যেদিন আল্লাহ্ সবাইকে একত্র করবেন সে দিন তিনি বলবেনঃ হে জিন সম্প্রদায়, তোমরা মানুষদের মধ্যে অনেককে অনুগামী করেছো। তাদের মানব বন্ধুরা বলবেঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের মধ্য থেকে কতক কতককে খুব বেশী ব্যবহার করেছে। আপনি আমাদের জন্য যে সময় নির্ধারণ করেছিলেন, আমরা তাতে উপনীত হয়েছি। আল্লাহ্ বলবেনঃ আগুন হল তোমাদের বাসস্থান। তথায় তোমরা চিরকাল অবস্থান করবে; কিন্তু আল্লাহ অন্য কিছু ইচ্ছা করলে সে কথা ভিন্ন। নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক প্রজ্ঞাবান, মহাজ্ঞানী’’। (সূরা আনআমঃ ১২৮) মানুষেরা জিনদের মাধ্যমে উপকৃত হওয়ার ধরণ এই যে, তারা জিনদের দ্বারা নিজেদের প্রয়োজন পূর্ণ করত, তারা জিনদেরকে কোন আদেশ করলে জিনেরা তা পালন করত এবং জিনেরা মানুষদেরকে কিছু গায়েবের খবরও এনে দিত।

আর জিনেরা মানুষের দ্বারা এভাবে উপকৃত হত যে, মানুষেরা জিনদেরকে সম্মান করত, জিনদের আশ্রয় প্রার্থনা করত এবং তাদের জন্য অবনত হত।

শাইখুল ইসলাম আল্লামা মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাব (রঃ) বলেনঃ এ আয়াত প্রমাণ করে যে, কোন কাজের মাধ্যমে দুনিয়াবী স্বার্থ হাসিল হওয়া, অকল্যাণ দূর করা কিংবা কল্যাণ লাভ করার অর্থ এ নয় যে, তা শির্কের অন্তর্ভূক্ত নয়।

খাওলা বিনতে হাকীম রাযিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ কথা বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কোনো মঞ্জিলে যাত্রা বিরতি করে এই দুআ পাঠ করবেঃ

«أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ

‘‘আমি আল্লাহ তাআলার পূর্ণাঙ্গ কালামের মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টির অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় চাই, তাহলে যতক্ষণ পর্যন্ত সে ঐ মঞ্জিল ত্যাগ না করবে, ততক্ষণ কোনো কিছুই তার ক্ষতি করতে পারবেনা।[1]

ব্যাখ্যাঃ এ হাদীছের বর্ণনাকারী খাওলা বিনতে হাকীম বিন উমাইয়া আস সুলামীয়া। তাঁকে উম্মে শারীকও বলা হয়। কেউ কেউ বলেনঃ তিনি ছিলেন সেই মহিলা, যিনি নিজেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য হেবা করে দিয়েছিলেন। এর আগে তিনি উছমান বিন মাযউনের স্ত্রী ছিলেন। ইমাম ইবনু আব্দিল বার্ (রঃ) বলেনঃ খাওলা বিনতে হাকীম রাযিয়াল্লাহু আনহা ছিলেন একজন সৎ ও সম্মানী মহিলা।

যে ব্যক্তি কোন মঞ্জিলে অবতীর্ণ হয়ে বলবেঃ আমি আল্লাহ তাআলার পূর্ণাঙ্গ কালামের মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টির অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় চাই সে যতক্ষণ ঐ মঞ্জিলে থাকবে ততক্ষণ কোন কিছুই তার ক্ষতি করতে পারবেনাঃ জাহেলী যামানার মুশরিকরা বিপদাপদে জিনের আশ্রয় গ্রহণ করত। এর বদলে আল্লাহ তাআলা মুসলিমদের জন্য এই বিধান করেছেন যে, তারা কেবল তাঁর নিকটই আশ্রয় চাইবে। আল্লাহ তাআলা মুসলিমদের জন্য বিধান করেছেন যে, তারা আল্লাহর নাম ও সিফাতসমূহের মাধ্যমেই আশ্রয় চাইবে।

ইমাম কুরতুবী (রঃ) বলেনঃ الكلمات التامات এর ব্যাখ্যায় বলেনঃ এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে ঐ সমস্ত পূর্ণাঙ্গ ও পরিপূর্ণ অর্থ বিশিষ্ট বাক্য, যাতে কোন প্রকার দোষ-ত্রুটি নেই। যেমন দোষ-ত্রুটি পাওয়া যায় মানুষের কথা-বার্তার মধ্যে। কেউ কেউ বলেছেনঃ এখানে কালেমা দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে কালেমায়ে কাফীয়া ওয়াস শাফীয়া তথা রোগ থেকে আরোগ্য লাভের জন্য পাঠযোগ্য কালেমা। আবার কেউ কেউ বলেনঃ এখানে কালেমা দ্বারা উদ্দেশ্য কুরআন। কেননা আল্লাহ তাআলা সংবাদ দিয়েছেন যে, কুরআনের মধ্যে রয়েছে শিফা ও রহমত। এ অর্থ ঐ দৃষ্টিকোন থেকে গ্রহণ করা হয়েছে যে, কুরআন এমন বিষয়ের দিকে পথ নির্দেশ করে, যার মাধ্যমে রোগ-ব্যধি এবং দুঃখ-কষ্ট দূর করা হয়। সে হিসাবে আল্লাহ তাআলার নাম ও গুণাবলীর মাধ্যমে আশ্রয় গ্রহণকারী মুসলিমের উপর আবশ্যক হচ্ছে, সে যেন আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করার ক্ষেত্রে সত্যবাদী হয়, আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ ভরসা করে এবং ইখলাসের সাথে উহা সম্পাদন করে। যখন সে উপরোক্তভাবে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণ করবে, তখন তার উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে এবং তার গুনাহও ক্ষমা করা হবে।

শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমীয়া (রঃ) বলেনঃ ইমাম আহমাদ এবং অন্যান্য আলেমদের সুস্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে, কোন মাখলুকের মাধ্যমে আশ্রয় প্রার্থনা করা জায়েয নেই। এ হাদীছে আরো দলীল পাওয়া যায় যে, আল্লাহর কালাম মাখলুক নয়। তারা বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সহীহ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি আল্লাহর কালামের দ্বারা আশ্রয় চেয়েছেন এবং তাঁর উম্মতকে উহা দ্বারা আশ্রয় চাওয়ার আদেশ দিয়েছেন। এ জন্যই আলেমগণ শির্কের আশঙ্কায় ঐসব তাবীজ-কবজ ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন, যার অর্থ অজ্ঞাত।

ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি শয়তানের উদ্দেশ্যে পশু যবেহ করল, তাকে ডাকল, তার মাধ্যমে আশ্রয় গ্রহণ করল এবং শয়তানের পছন্দনীয় আমল দ্বারা তার নৈকট্য হাসিলের চেষ্টা করল সে শয়তানের এবাদত করল। যদিও সে তার এই কাজকে এবাদত হিসাবে নাম দিতে রাজী নয়। তার কথা হলো, সে শয়তান থেকে খিদমত নিচ্ছে এবং সে সত্যই বলছে। শয়তানের কাছ থেকে সে খেদমত নেয় অর্থাৎ শয়তান তার সেবা করে। এর মাধ্যমে সে শয়তানের বান্দা ও খাদেমদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যায়। এ জন্যই শয়তান তার খেদমতও করে। কিন্তু জেনে রাখা দরকার যে, শয়তানের পক্ষ হতে তার জন্য যে খেদমত হয়ে থাকে তা এবাদত নয়। কেননা শয়তান তো তার অনুসারী হয়না এবং তার এবাদতও করেনা। যেমনটি সে করে থাকে শয়তানের জন্য।

আমি মাখলুকের অকল্যাণ থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইঃ ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রঃ) বলেনঃ আমি প্রত্যেক ক্ষতিকর বস্ত্তর ক্ষতি থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করি। চাই সেটি কোন সৃষ্টির মধ্যে হোক, যেমন প্রাণী বা অন্য কোন বস্ত্ত, মানুষ হোক বা জিন কিংবা সাপ-বিচ্ছু, ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী জন্তু, বাতাস অথবা বজ্রপাত হোক। অর্থাৎ দুনিয়া ও আখেরাতের অন্য কোনো মসীবত হোক না কেন। আমি মাখলুকের অকল্যাণ থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। এর দ্বারা আল্লাহর সকল মাখলুক উদ্দেশ্য নয়; বরং এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, ঐসব মাখলুক, যার মধ্যে অকল্যাণ রয়েছে। এমন নয় যে আল্লাহ তাআলা যেসব মাখলুক সৃষ্টি করেছেন, তার প্রত্যেকের অকল্যাণ থেকে আশ্রয় চাই। কেননা আল্লাহর সৃষ্টি জান্নাত, নবী-রাসূল এবং ফেরেশতাদের মধ্যে অকল্যাণ বলতে কিছু নেই। অকল্যাণ শব্দটি দু’টি জিনিষের উপর প্রয়োগ করা হয়। (১) দুঃখ-কষ্ট এবং (২) যা মানুষকে দুঃখকষ্টের দিকে নিয়ে যায়। এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায়ঃ

১) সূরা জিনের ৬ নং আয়াতের তাফসীর জানা গেল।

২) আল্লাহ ব্যতীত অন্যের আশ্রয় চাওয়া শির্কের মধ্যে গণ্য।

৩) এ অধ্যায়ে বর্ণিত হাদীছের মাধ্যমে আলেমগণ এ বিষয়ের উপর দলীল পেশ করেছেন যে, আল্লাহর কালাম সৃষ্টির অন্তর্ভূক্ত নয়। বরং আল্লাহর কালাম আল্লাহর সিফাতের মধ্যে শামিল। তাই আলেমগণ বলেছেনঃ ‘মাখলুকের কাছে আশ্রয় চাওয়া শির্ক।

৪) সংক্ষিপ্ত হলেও উক্ত দুআর ফযীলত অর্থাৎ أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ পাঠ করার আরো অনেক ফযীলত রয়েছে।

৫) কোন বস্ত্ত দ্বারা পার্থিব উপকার হাসিল করা এবং কোন অনিষ্ট থেকে বেঁচে যাওয়া এ কথা প্রমাণ করে না যে, উহা শির্কের অন্তর্ভুক্ত নয়।

[1] - আবু দাউদ, অধ্যায়ঃ কিভাবে ঝাড়-ফুঁক করতে হবে। ইমাম আলবানী (রঃ) হাদীছটিকে সহীহ বলেছেন। দেখুনঃ শাইখের তাহকীকসহ মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীছ নং- ২৪২২।
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে