একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলাই ইচ্ছে করলে কাউকে জীবন বা মৃত্যু দিতে পারে। অন্য কেউ নয়। আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:
«هُوَ الَّذِيْ يُحْيِيْ وَيُمِيْتُ، فَإِذَا قَضَى أَمْرًا فَإِنَّمَا يَقُوْلُ لَهُ كُنْ فَيَكُوْنُ»
‘‘তিনিই জীবন ও মৃত্যু দান করেন। যখন তিনি কিছু করতে চান তখন তিনি বলেন: হয়ে যাও, তখন তা হয়ে যায়’’। (মু’মিন : ৬৮)
জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:
كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِذَاتِ الرِّقَاعِ، فَإِذَا أَتَيْنَا عَلَى شَجَرَةٍ ظَلِيْلَةٍ تَرَكْنَاهَا لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَجَاءَ رَجُلٌ مِنَ الْـمُشْرِكِيْنَ وَسَيْفُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُعَلَّقٌ بِالشَّجَرَةِ، فَاخْتَرَطَهُ، فَقَالَ: تَخَافُنِيْ؟ قَالَ: لاَ، قَالَ: فَمَنْ يَمْنَعُكَ مِنِّيْ؟ قَالَ: اللهُ، وَلَمْ يُعَاقِبْهُ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم
‘‘আমরা ‘‘যাতুর রিক্বা’’’ যুদ্ধে নবী (সা.) এর সাথে ছিলাম। পথিমধ্যে যখন আমরা একটি ছায়া বিশিষ্ট গাছের নিকট পৌঁছুলাম তখন আমরা তা নবী (সা.) এর জন্য ছেড়ে দিলাম। যাতে তিনি উহার নীচে বিশ্রাম নিতে পারেন। নবী (সা.) বিশ্রাম নিচ্ছিলেন এমতাবস্থায় জনৈক মুশরিক নবী (সা.) এর নিকট আসলো এবং গাছে ঝুলন্ত তাঁর তলোয়ার খানি খাপ থেকে বের করে তাঁকে বললো: তুমি কি আমাকে ভয় পাচ্ছো না? নবী (সা.) বললেন: না। মুশরিকটি বললো: তাহলে এখন আমার হাত থেকে তোমাকে কে বাঁচাবে? নবী (সা.) বললেন: আল্লাহ্ তা’আলা আমাকে বাঁচাবেন এবং রাসূল (সা.) তাকে একটুও শাস্তি দেননি। (বুখারী, হাদীস ৪১৩৫, ৪১৩৬, ৪১৩৯ মুসলিম, হাদীস ৮৪৩)