একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলাই মানব অন্তরের লুক্কায়িত কথা জানতে পারেন। তিনি ছাড়া অন্য কেউ তা জানতে কখনোই সক্ষম নয়।
আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:
«وَأَسِرُّوْا قَوْلَكُمْ أَوِ اجْهَرُوْا بِهِ، إِنَّهُ عَلِيْمٌ بِذَاتِ الصُّدُوْرِ، أَلاَ يَعْلَمُ مَنْ خَلَقَ، وَهُوَ اللَّطِيْفُ الْخَبِيْرُ»
‘‘তোমরা তোমাদের কথা যতই গোপনে বলো অথবা প্রকাশ্যে আল্লাহ্ তা’আলা তা সবই শুনেন। এমনকি তিনি অন্তরে লুক্কায়িত বস্ত্তও জানেন। যিনি সকল বস্ত্ত সৃষ্টি করেছেন তিনি কি সকল কিছু জানবেন না? না কি অন্য কেউ জানবেন। তিনিই সূক্ষ্মদর্শী এবং সকল বিষয়ে অবগত’’। (মুলক : ১৩-১৪)
আনাস্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:
إِنَّ رِعْلًا وَذَكْوَانَ وَعُصَيَّةَ وَبَنِيْ لَـحْيَانَ اسْتَمَدُّوْا رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى عَدُوٍّ، فَأَمَدَّهُمْ بِسَبْعِيْنَ مِنَ الْأَنْصَارِ، كُنَّا نُسَمِّيْهِمْ الْقُرَّاءَ فِيْ زَمَانِهِمْ، كَانُوْا يَحْتَطِبُوْنَ بِالنَّهَارِ وَيُصَلُّوْنَ بِاللَّيْلِ، حَتَّى كَانُوْا بِبِئْرِ مَعُوْنَةَ قَتَلُوْهُمْ وَغَدَرُوْا بِهِمْ، فَبَلَغَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَنَتَ شَهْرًا، يَدْعُوْ فِيْ الصُّبْحِ عَلَى أَحْيَاءٍ مِنْ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ، عَلَى رِعْلٍ وَذَكْوَانَ وَعُصَيَّةَ وَبَنِيْ لَـحْيَانَ
‘‘রি’ল, যাক্ওয়ান, ’উসাইয়াহ্ ও বানী লাহ্’ইয়ান নামক চারটি সম্প্রদায় রাসূল (সা.) এর নিকট শত্রুর বিপক্ষে সাহায্য চাইলে রাসূল (সা.) তাদেরকে সত্তর জন আন্সারী দিয়ে সহযোগিতা করলেন। আমরা তাদেরকে সে যুগের ক্বারী সাহেবান বলে ডাকতাম। তারা দিনে লাকড়ি কাটতো আর রাত্রিতে বেশি বেশি নফল নামায পড়তো। যখন তারা মা’ঊনা কূপের নিকট পৌঁছালো তখন তারা উক্ত সাহাবাদেরকে হত্যা করে দিলো। নবী (সা.) এর নিকট সংবাদটি পৌঁছালে তিনি এক মাস যাবৎ ফজরের নামাযে ক্বুনূত পড়ে তাদেরকে বদ্ দো’আ করেন’’। (বুখারী, হাদীস ৪০৯০ মুসলিম, হাদীস ৬৭৭)
যদি রাসূল (সা.) তাদের মনের লুক্কায়িত কথা জানতেন তাহলে প্রথম থেকেই তিনি তাদেরকে সাহাবা দিয়ে সহযোগিতা করতেন না। কারণ, তখন তিনি তাদের মনের শয়তানির কথা অবশ্যই জানতেন।