বড় শির্ক ও ছোট শির্ক বড় শির্কের প্রকারভেদ মোস্তাফিজুর রহমান বিন আব্দুল আজিজ আল-মাদানী ১ টি
১৯. আল্লাহ্ তা’আলা সর্ব জায়গায় অথবা সকল মু’মিনের অন্তরে অথবা সকল বস্ত্তর মধ্যে লুক্কায়িত রয়েছেন এমন মনে করার শির্ক

আল্লাহ্ তা’আলা সর্ব জায়গায় রয়েছেন অথবা সকল মু’মিনের অন্তরে অথবা সকল বস্ত্তর মধ্যে লুক্কায়িত রয়েছেন বলে ধারণা করা এটাই প্রমাণ করে যে, আল্লাহ্ তা’আলা একের অধিক। আর এটিই হচ্ছে আল্লাহ্ তা’আলার একত্ববাদে অস্বীকৃতি তথা তাঁর একক সত্তায় শির্ক।

মূলতঃ আল্লাহ্ তা’আলা (নিজ সত্তা নিয়ে) সব কিছুর উপরে বিশেষভাবে ’আরশে ’আজীমের উপর যেভাবে থাকার ওভাবেই রয়েছেন। অন্য কোথাও নয়। তিনি ’আরশে ’আজীমের উপর থেকেই সর্বস্থানের সর্বকিছু দেখেন, জানেন ও শুনেন।

আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:

«أَأَمِنْتُمْ مَنْ فِيْ السَّمَآءِ أَنْ يَّخْسِفَ بِكُمُ الْأَرْضَ، فَإِذَا هِيَ تَمُوْرُ، أَأَمِنْتُمْ مَنْ فِيْ السَّمَآءِ أَنْ يُّرْسِلَ عَلَيْكُمْ حَاصِبًا، فَسَتَعْلَمُوْنَ كَيْفَ نَذِيْرِ»

‘‘তোমরা কি এ ব্যাপারে নিশ্চিন্ত যে, আকাশের উপর যিনি রয়েছেন তিনি তোমাদেরকে সহ ভূমি ধ্বসিয়ে দিবেননা? অতঃপর ভূমি আকস্মিকভাবে থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে ধ্বংস হয়ে যাবে। তোমরা কি এ ব্যাপারে নিশ্চিন্ত যে, আকাশের উপর যিনি রয়েছেন তিনি তোমাদের উপর কঙ্করবর্ষী ঝড়-ঝঞ্ঝা প্রেরণ করবেন না? তখন তোমরা অবশ্যই বুঝতে পারবে কেমন ছিলো আমার সতর্কবাণী’’। (মুলক : ১৬-১৭)

আল্লাহ্ তা’আলা আরো বলেন:

«تَعْرُجُ الْـمَلاَئِكَةُ وَالرُّوْحُ إِلَيْهِ»

‘‘ফিরিশতা ও জিব্রীল আল্লাহ্ তা’আলার দিকে ঊর্ধ্বগামী হবে’’।

(মা’আরিজ : ৪)

তিনি আরো বলেন:

«إِلَيْهِ يَصْعَدُ الْكَلِمُ الطَّيِّبُ»

‘‘তাঁর দিকেই পবিত্র বাণীসমূহ আরোহণ করে’’। (ফাতির : ১০)

আল্লাহ্ তা’আলা ’ঈসা (আ.) কে উদ্দেশ্য করে বলেন:

«إِنِّيْ مُتَوَفِّيْكَ وَرَافِعُكَ إِلَيَّ»

‘‘নিশ্চয়ই আমি আপনাকে নিরাপদভাবে আমার দিকে উত্তোলন করবো’’। (আ’লু ’ইমরান : ৫৫)

আল্লাহ্ তা’আলা আরো বলেন:

«إِنَّ رَبَّكُمُ اللهُ الَّذِيْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِيْ سِتَّةِ أَيَّامٍ، ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ»

‘‘নিশ্চয়ই তোমাদের প্রভু আল্লাহ্ তা’আলা। যিনি আকাশ ও পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে। অতঃপর তিনি নিজ ’আরশে ’আজীমের উপর অবস্থান করেন’’। (আ’রাফ : ৫৪ ইউনুস : ৩)

তিনি আরো বলেন:

«اللهُ الَّذِيْ رَفَعَ السَّمَاوَاتِ بِغَيْرِ عَمَدٍ تَرَوْنَهَا، ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ»

‘‘তিনিই আল্লাহ্ যিনি আকাশমন্ডলীকে স্থাপন করেছেন স্তম্ভ বিহীন। যা তোমরা দেখতে পাচ্ছো। অতঃপর তিনি নিজ ’আরশে ’আজীমের উপর অবস্থান করেন’’। (রা’দ : ২)

তিনি আরো বলেন:

«الرَّحْمَنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَوَى»

‘‘দয়াময় প্রভু ’আরশে ’আজীমের উপর অবস্থান করেন’’। (ত্বা-হা)

তিনি আরো বলেন:

«الَّذِيْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا فِيْ سِتَّةِ أَيَّامٍ، ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ، الرَّحْمَنُ فَاسْأَلْ بِهِ خَبِيْرًا»

‘‘যিনি (আল্লাহ্) আকাশ ও পৃথিবী এবং এতদুভয়ের মাঝে যা কিছু রয়েছে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তিনি নিজ ’আরশে ’আজীমের উপর অবস্থান করেন। তিনি দয়াময়। অতএব তাঁর সম্পর্কে বিজ্ঞ ব্যক্তিকেই জিজ্ঞাসা করে দেখো’’। (ফুরকান : ৫৯)

তিনি আরো বলেন:

«اللهُ الَّذِيْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا فِيْ سِتَّةِ أَيَّامٍ، ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ»

‘‘তিনিই আল্লাহ্ যিনি আকাশ ও পৃথিবী এবং এতদুভয়ের মাঝে যা কিছু রয়েছে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তিনি নিজ ’আরশে ’আজীমের উপর অবস্থান করেন’’। (সাজ্দাহ্ : ৪)

তিনি আরো বলেন:

«هُوَ الَّذِيْ خَلَقَ السَّمٰوَاتِ وَالْأَرْضَ فِيْ سِتَّةِ أَيَّامٍ، ثُمَّ اسْتَوٰى عَلَى الْعَرْشِ»

‘‘তিনিই (আল্লাহ্) আকাশ ও পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে। অতঃপর তিনি নিজ ’আরশে ’আজীমের উপর অবস্থান করেন’’। (’হাদীদ : ৪)

এ ’আরশে ’আজীম থেকে নেমেই আল্লাহ্ তা’আলা প্রতি রাত্রের শেষ তৃতীয়াংশে দুনিয়ার আকাশে এসে সকল মানুষকে তাঁর নিকট প্রার্থনা করার জন্য আহবান করে থাকেন। তবে এমন নয় যে, তিনি প্রথম আকাশে নেমে আসলে তিনি ’আরশের নীচে চলে আসেন। তখন তিনি ’আরশের উপর থাকেননা। বরং তিনি কিভাবে নিম্নাকাশে আসেন তা তিনিই ভালো জানেন। আমাদের তা জানা নেই।

আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

يَنْزِلُ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا حِيْنَ يَبْقَى ثُلُثُ اللَّيْلِ الآخِرُ يَقُوْلُ: مَنْ يَّدْعُوْنِيْ فَأَسْتَجِيْبَ لَهُ، مَنْ يَّسْأَلُنِيْ فَأُعْطِيَهُ، مَنْ يَّسْتَغْفِرُنِيْ فَأَغْفِرَ لَهُ

‘‘আল্লাহ্ তা’আলা প্রতি রাত্রের শেষ তৃতীয়াংশে দুনিয়ার আকাশে এসে বলতে থাকেন: তোমরা কে আছো আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেবো। তোমরা কে আছো আমার কাছে কিছু চাবে আমি তাকে তা দান করবো। তোমরা কে আছো আমার কাছে ক্ষমা চাবে আমি তাকে ক্ষমা করে দেবো’’।

(বুখারী, হাদীস ১১৪৫ মুসলিম, হাদীস ৭৫৮ আবু দাউদ, হাদীস ১৩১৫ তির্মিযী, হাদীস ৩৪৯৮ মালিক, হাদীস ৩০)

মু’আবিয়া বিন্ ’হাকাম (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

كَانَتْ لِيْ جَارِيَةٌ تَرْعَى غَنَمًا لِيْ قِبَلَ أُحُدٍ وَالْـجَوَّانِيَّةِ فَاطَّلَعْتُ ذَاتَ يَوْمٍ فَإِذَا الذِّئْبُ قَدْ ذَهَبَ بِشَاةٍ مِنْ غَنَمِهَا، وَأَنَا رَجُلٌ مِنْ بَنِيْ آدَمَ، آسَفُ كَمَا يَأْسَفُوْنَ، لَكِنِّيْ صَكَكْتُهَا صَكَّةً، فَأَتَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَعَظَّمَ ذَلِكَ عَلَيَّ، قُلْتُ: يَا رَسُوْلَ اللهِ! أَفَلاَ أَعْتِقُهَا؟ قَالَ: اِئْتِنِيْ بِهَا، فَأَتَيْتُهُ بِهَا، فَقَالَ لَهَا: أَيْنَ اللهُ؟ قَالَتْ: فِيْ السَّمَآءِ، قَالَ: مَنْ أَنَا؟ قَالَتْ: أَنْتَ رَسُوْلُ اللهِ، قَالَ: أَعْتِقْهَا، فَإِنَّهَا مُؤْمِنَةٌ

‘‘আমার একটি দাসী ছিলো। উহুদ ও জাওয়ানিয়া এলাকাদ্বয়ের আশপাশে ছাগল চরাতো। একদা আমি দেখতে পেলাম, ছাগলপালের একটি ছাগল নেই। নেকড়ে তা খেয়ে ফেলেছে। আর আমি একজন মানুষ। কোন কিছু বিনষ্ট হলে অন্যের ন্যায় আমিও ব্যথিত হই। তাই আমি দাসীর উপর রাগান্বিত হয়ে তাকে একটি থাপ্পড় মেরে দিলাম। অতঃপর তা রাসূল (সা.) এর নিকট বর্ণনা করলে তিনি ব্যাপারটিকে মারাত্মক ভাবলেন। আমি বললাম: হে আল্লাহ্’র রাসূল! আমি কি ওকে স্বাধীন করে দেবো? তিনি বললেন: ওকে আমার নিকট নিয়ে এসো। অতঃপর আমি ওকে তাঁর নিকট নিয়ে আসলাম। তিনি ওকে বললেন: আল্লাহ্ তা’আলা কোথায়? সে বললো: আকাশে। তিনি বললেন: আমি কে? সে বললো: আপনি আল্লাহ্’র রাসূল। রাসূল (সা.) বললেন: ওকে স্বাধীন করে দাও। কারণ, সে ঈমানদার’’। (মুসলিম, হাদীস ৫৩৭)

রাসূল (সা.) দাসীটিকে আল্লাহ্ তা’আলা কোথায় আছেন প্রশ্নের উত্তরে তিনি আকাশে আছেন বলার পর তাকে ঈমানদার বলে সার্টিফিকেট দিয়েছেন। অতএব আমাদের ভাবা দরকার। আমরাও কি সে বিশ্বাসে বিশ্বাসী। আমারা রাসূল (সা.) এর পক্ষ থেকে ঈমানের সার্টিফিকেট পাচ্ছি কি না।

রাসূল (সা.) আরো বলেন:

أَلاَ تَأْمَنُوْنِيْ وَأَنَا أَمِيْنُ مَنْ فِيْ السَّمَآءِ

‘‘তোমরা কি আমাকে বিশ্বাস করোনা? অথচ আকাশে যিনি আছেন তিনি আমাকে বিশ্বাস করেন’’। (বুখারী, হাদীস ৪৩৫১ মুসলিম, হাদীস ১০৬৪)

আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

وَالَّذِيْ نَفْسِيْ بِيَدِهِ! مَا مِنْ رَجُلٍ يَدْعُوْ اِمْرَأَتَـهُ إِلَى فِرَاشِهَا، فَتَأْبَى عَلَيْهِ، إِلاَّ كَانَ الَّذِيْ فِيْ السَّمَآءِ سَاخِطًا عَلَيْهَا حَتَّى يَرْضَى عَنْهَا

‘‘ও সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার জীবন! কোন পুরুষ নিজ স্ত্রীকে (সহবাসের জন্য) বিছানার দিকে ডাকলে সে যদি তার ডাকে সাড়া না দেয় তাহলে যে সত্তা আকাশে আছেন তিনি ওর উপর অসন্তুষ্ট হন যতক্ষণনা তার স্বামী তার উপর সন্তুষ্ট হয়’’। (মুসলিম, হাদীস ১৪৩৬)

আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’আমর (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

اِرْحَمُوْا مَنْ فِيْ الْأَرْضِ يَرْحَمْكُمْ مَنْ فِيْ السَّمَآءِ

‘‘তোমারা বিশ্ববাসীর উপর দয়া করো তাহলে আকাশে যিনি রয়েছেন তিনি তোমাদের উপর দয়া করবেন’’। (তিরমিযী, হাদীস ১৯২৪)

যায়নাব বিন্ত জাহশ (রাযিয়াল্লাহু আনহা) রাসূল (সা.) এর অন্যন্য স্ত্রীদের উপর গর্ব করে বলতেন:

زَوَّجَكُنَّ أَهَالِيْكُنَّ، وَزَوَّجَنِيَ اللهُ تَعَالَى مِنْ فَوْقِ سَبْعِ سَمَاوَاتٍ

‘‘তোমাদেরকে তোমাদের পরিবারবর্গ বিবাহ্ দিয়েছে। আর আমাকে স্বয়ং আল্লাহ্ তা’আলা সপ্তাকাশের উপর থেকে বিবাহ্ দিয়েছেন’’। (বুখারী, হাদীস ৭৪২০ তিরমিযী, হাদীস ৩২১৩)

মি’রাজের হাদীস তো সবারই জানা। এ ছাড়া কয়েক ডজন হাদীসও একই বক্তব্য উপস্থাপন করছে। এমনকি সাহাবায়ে কিরাম এবং তাবিয়ীনদেরও এ ব্যাপারে ঐকমত্য রয়েছে।

পরবর্তী আলিমদের মধ্য থেকে ইমাম আবু হানীফা, ইবনু জুরাইজ, আওযায়ী, মুক্বাতিল, সুফ্ইয়ান সাওরী, ইমাম মালিক, লাইস্ বিন্ সা’দ, সালাম বিন্ আবী মুত্বী’, হাম্মাদ বিন্ সালামাহ্, আব্দুল আযীয বিন্ আল-মা’জিশূন, হাম্মাদ বিন্ যায়েদ, ইবনু আবী লাইলা, জা’ফর সাদিক, সালাম বসরী, ক্বাযী শরীক, মুহাম্মাদ বিন্ ইস্’হাক্ব, মিস্’আর বিন্ কিদাম, জারীর আয-যাববী, আব্দুল্লাহ্ বিন্ আল-মুবারাক, ফুযাইল বিন্ ’ইয়ায, হুশাইম বিন্ বাশীর, নূহ্ আল-জা’মি’, আববাদ বিন্ আল-’আওয়াম, ক্বাযী আবু ইউসুফ, ’আব্দুল্লাহ্ বিন্ ইদ্রীস, মুহাম্মাদ বিন্ হাসান, বুকাইর বিন্ জা’ফর, বিশর বিন্ ’উমর, ইয়া’হয়া আল-ক্বাত্ত্বান, মানসূর বিন্ ’আম্মার, আবু নু’আইম আল-বালখী, আবু মু’আয আল-বালখী, সুফ্ইয়ান বিন্ ’উয়াইনাহ্, আবু বকর বিন্ ’আইয়াশ, ’আলী বিন্ ’আসিম, ইয়াযীদ বিন্ হা’রূন, সা’য়ীদ বিন্ ’আ’মির আয-যাবা’য়ী, ওয়াকী’ বিন্ আল-জাররাহ্, ’আব্দুর রহ্মান বিন্ মাহ্দী, ওয়াহাব বিন্ জারীর, আসমা’য়ী, খালীল বিন্ আহমাদ, ফাররা’, খুরাইবী, ’আব্দুল্লাহ্ বিন্ আবী জা’ফর আর-রাযী, নাযার বিন্ মু’হাম্মাদ আল-মারওয়াযী, ইমাম শাফি’য়ী, ক্বা’নাবী, ’আফফান, ’আ’সিম বিন্ ’আলী, ’হুমাইদী, ইয়াহয়া বিন্ ইয়াহয়া নীসাবূরী, হিশাম বিন্ ’উবাইদুল্লাহ্ আর-রাযী, ’আব্দুল মালিক বিন্ আল-মা’জিশূন, মু’হাম্মাদ বিন্ মুস’আব আল-’আ’বিদ, সুনাইদ বিন্ দাঊদ আল-মিসসীসী, নু’আইম বিন্ ’হাম্মাদ আল-খুযা’য়ী, বিশর আল-’হাফী, আবু ’উবাইদ আল-ক্বা’সিম বিন্ সাল্লা’ম, আহমাদ বিন্ নাস্র আল-খুযা’য়ী, মাক্কী বিন্ ইব্রা’হীম, ক্বুতাইবাহ্ বিন্ সা’ঈদ, আবু মু’আম্মার আল-ক্বাত্বী’য়ী, ইয়াহ্য়া বিন্ মু’ঈন, ’আলী বিন্ আল-মাদীনী, ইমাম আহমাদ বিন্ ’হাম্বাল, ইস্’হাক্ব বিন্ রা’হূয়াহ্, আবু ’আব্দিল্লাহ্ ইবনুল আ’রাবী, আবু জা’ফর আন-নুফাইলী, ’ঈশী, হিশা’ম বিন্ ’আম্মার, যুন্নূন আল-মাস্রী, আবু সাউর, মুযানী, যুহলী, ইমাম বুখারী, আবু যুর’আহ্ আর-রাযী, আবু হা’তিম আর-রাযী, ইয়াহয়া বিন্ মু’আয আর-রাযী, আহমাদ বিন্ সিনান, মুহাম্মাদ বিন্ আস্লাম ত্বূসী, আব্দুল ওয়াহহাব আল-ওয়াররাক্ব, ’হারব আল-কিরমানী, ’উসমান বিন্ সা’ঈদ আদ-দা’রামী, আবু মুহাম্মাদ আদ-দা’রামী, আহমাদ বিন্ ফুরা’ত আর-রাযী, আবু ইস্হাক্ব আল-জূযেজানী, ইমাম মুসলিম, ক্বাযী সা’লিহ্ বিন্ ইমাম আহমাদ, হা’ফিয আবু আব্দুর রহমান বিন্ ইমাম আহমাদ, হাম্বাল বিন্ ইসহাক্ব, আবু উমাইয়াহ্ আত্ব-ত্বারসূসী, বাক্বী বিন্ মিখলাদ, ক্বাযী ইসমা’ঈল, হা’ফিয ইয়া’ক্বূব আল-ফাসাওয়ী, হা’ফিয ইবনু আবী খাইসামাহ্, আবু যুর’আ আদ-দামেশক্বী, ইবনু নাসার আল-মারওয়াযী, ইবনু ক্বুতাইবাহ্, ইবনু আবী ’আসিম, আবু ’ঈসা আত-তিরমিযী, ইবনু মা’জাহ্, ইবনু আবী শাইবাহ্, সাহল আত-তুস্তারী, আবু মুসলিম আল-কাজ্জী, যাকারিয়া’ আস-সা’জী, মুহাম্মাদ বিন্ জারীর, বূশানজী, ইবনু খুযাইমাহ্, ইবনু সুরাইজ, আবু বকর বিন্ আবী দাউদ, ’আমর বিন্ ’উস্মান আল-মাক্কী, সা’লাব, আবু জা’ফর আত-তিরমিযী, আবুল ’আব্বাস আস-সিরা’জ, হা’ফিয আবু ’আওয়ানাহ্, ইবনু সা’ইদ, ইমাম ত্বা’হাবী, নিফত্বাওয়াইহ্, আবুল ’হাসান আল-আশ’আরী, ’আলী বিন্ ’ঈসা আশ-শিবলী, আবু আহমাদ আল-’আসসাল, আবু বকর আয্যাবা’য়ী, আবুল ক্বাসিম আত্ব-ত্বাবারানী, ইমাম আবু বকর আল-আ’জুর্রী, হা’ফিয আবুশ্ শাইখ, আবু বকর আল-ইসমা’ঈলী, আযহারী, আবু বকর বিন্ শা’যা’ন, আবুল ’হাসান বিন্ মাহদী, ইবনু সুফ্ইয়ান, ইবনু বাত্বত্বাহ্, আদ-দারাক্বুত্বনী, ইবনু মান্দাহ্, ইবনু আবী যায়েদ, খাত্বত্বাবী, ইবনু ফূরাক, ইবনুল বা’ক্বিল্লানী, আবু আহমাদ আল-ক্বাসসাব, আবু নু’আইম আল-আস্বাহানী, মু’আম্মার বিন্ যিয়া’দ, আবুল-ক্বা’সিম আল-লা’লাকা’য়ী, ইয়াহয়া বিন্ ’আম্মার, আল-ক্বা’দির বিল্লাহ্, আবু ’উমর আত্বত্বালমান্কী, আবু ’উস্মান আস-সা’বূনী, মুফ্তী সুলাইম, আবু নাসর আস্সিজ্যী, আবু ’আম্র আদ-দা’নী, ইবনু আব্দিল বার, ক্বাযী আবু ইয়া’লা, বায়হাক্বী, আবু বকর আল-খাত্বীব, মুফতী নাসর আল-মাক্বদিসী, ইমামুল ’হারামাইন আল-জুওয়াইনী, সা’দ আয-যানজানী, শাইখুল ইসলাম আব্দুল্লাহ্ আল-আন্সারী, ইমাম আল-ক্বায়রাওয়ানী, ইবনু আবী কিদ্য়াহ্ আত-তাইমী, ইমাম আল-বাগাওয়ী, আবুল ’হাসান আল-কারজী, আবুল ক্বাসিম আত-তাইমী, ইবনু মাউহিব, আবু বকর ইবনুল-’আরাবী, আব্দুল্ ক্বাদির আল-জীলি, শাইখ আবুল বায়ান, ইমাম ক্বুরত্বুবী এবং আরো অন্যান্যরাও এ মত পোষণ করেন।

মানুষের বিবেকও উক্ত মত সমর্থন করে। কারণ, এ কথা সবারই জানা যে, আল্লাহ্ তা’আলা কোন কিছু সৃষ্টি করার পূর্বে তিনি একাই ছিলেন। তখন আর কোন কিছুই ছিলোনা। অতঃপর আল্লাহ্ তা’আলা সব কিছুই সৃষ্টি করলেন। এখন আমরা বলবোঃ আল্লাহ্ তা’আলা কি সকল বস্ত্ত নিজ সত্তার ভিতরেই তৈরি করেছেন। না বাইরে। প্রথম কথা কোনভাবেই ঠিক নয়। কারণ, তখন বলতে হবে: আল্লাহ্ তা’আলার ভিতরেই মানুষ, জিন ও শয়তান রয়েছে। এ ধারণা কুফরি বৈ কি? তাহলে এ কথাই প্রমাণিত হলো যে, আল্লাহ্ তা’আলা সকল কিছু নিজ সত্তার বাইরেই তৈরি করেছেন। তখন আরেকটি প্রশ্ন জাগে এই যে, তিনি সব কিছু তৈরি করে তাতে পুনরায় ঢুকেছেন না ঢুকেননি? প্রথম কথা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ, তখন বলতে হবে: আল্লাহ্ তা’আলা ময়লাস্থানেও রয়েছেন। আর তা আল্লাহ্ তা’আলার শানে বেয়াদবি তথা কুফরি বৈ কি? তাহলে আমরা এখন এ কথায় নিশ্চিত হতে পারি যে, আল্লাহ্ তা’আলা সব কিছু সৃষ্টি করে তিনি সব কিছুর উপরেই রয়েছেন।