সুপারিশের শির্ক বলতে আল্লাহ্ তা’আলা ছাড়া অন্য কারোর নিকট পরকালের সার্বিক মুক্তির জন্য গ্রহণযোগ্য কোন সুপারিশ কামনা করাকে বুঝানো হয়।
এ জাতীয় সুপারিশের অনুমতি বা মঞ্জুরির চাবিকাঠি একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলার হাতে। অতএব তিনি ছাড়া অন্য কারোর নিকট তা কামনা করা মারাত্মক শির্ক।
আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:
«قُلْ للهِ الشَّفَاعَةُ جَمِيْعًا»
‘‘(হে নবী!) আপনি বলে দিন: যাবতীয় সুপারিশ একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলারই জন্য তথা তাঁরই ইখতিয়ারে। অন্য কারোর ইখতিয়ারে নয়’’। (যুমার : ৪৪)
আল্লাহ্ তা’আলা আরো বলেন:
«مَا لَكُمْ مِّنْ دُوْنِهِ مِنْ وَّلِيٍّ وَّلاَ شَفِيْعٍ، أَفَلاَ تَتَذَكَّرُوْنَ»
‘‘তিনি ছাড়া তোমাদের জন্য কোন অভিভাবকও নেই এবং সুপারিশকারীও। তবুও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না?’’ (সাজদাহ্ : ৪)
তিনি আরো বলেন:
«لَيْسَ لَـهُمْ مِّنْ دُوْنِهِ وَلِيٌّ وَّلاَ شَفِيْعٌ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُوْنَ»
‘‘তিনি ছাড়া তাদের না কোন সাহায্যকারী থাকবে না কোন সুপারিশকারী। এতে করে হয়তোবা তারা আল্লাহ্ তা’আলাকে ভয় করবে’’। (আন্’আম : ৫১)
কিয়ামতের দিন কেউ কারোর জন্য সুপারিশ করতে চাইলে তাকে সর্বপ্রথম আল্লাহ্ তা’আলার অনুমতি নিতে হবে।
আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:
«مَنْ ذَا الَّذِيْ يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ»
‘‘কে আছে এমন যে আল্লাহ্ তা’আলার অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট কারোর জন্য সুপারিশ করতে পারে?’’ (বাক্বারাহ্ : ২৫৫)
আল্লাহ্ তা’আলা আরো বলেন:
«مَا مِنْ شَفِيْعٍ إِلاَّ مِنْ بَعْدِ إِذْنِهِ»
‘‘আল্লাহ্ তা’আলার অনুমতি ছাড়া সে দিন কোন সুপারিশকারী থাকবে না’’। (ইউনুস : ৩)
সুপারিশ তো দূরের কথা সে দিন তাঁর অনুমতি ব্যতিরেকে কেউ কোন কথাই বলার অধিকার রাখবে না। আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:
«يَوْمَ يَأْتِ لاَ تَكَلَّمُ نَفْسٌ إِلاَّ بِإِذْنِهِ»
‘‘সে দিন কোন ব্যক্তি তাঁর (আল্লাহ্ তা’আলার) অনুমতি ছাড়া কথাও বলতে পারবে না’’। (হূদ : ১০৫)
আল্লাহ্ তা’আলা আরো বলেন:
«لاَ يَتَكَلَّمُوْنَ إِلاَّ مَنْ أَذِنَ لَهُ الرَّحْمَنُ»
‘‘সে দিন দয়াময় প্রভুর অনুমতি ছাড়া কেউ কোন কথা বলতে পারবে না’’। (নাবা : ৩৮)
সে দিন কেউ আল্লাহ্ তা’আলার পক্ষ থেকে সুপারিশ করার অনুমতি পেলেও সে নিজ ইচ্ছানুযায়ী যে কোন ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করতে পারবে না। বরং সে এমন ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করতে পারবে যার উপর আল্লাহ্ তা’আলা সন্তুষ্ট।
আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:
«وَلاَ يَشْفَعُوْنَ إِلاَّ لِـمَنِ ارْتَضَى»
‘‘ফিরিশতাগণ শুধু ওদের জন্যই সুপারিশ করবে যাদের প্রতি আল্লাহ্ তা’আলা সন্তুষ্ট’’। (আম্বিয়া : ২৮)
আল্লাহ্ তা’আলা আরো বলেন:
«وَكَمْ مِّنْ مَّلَكٍ فِيْ السَّمَاوَاتِ لاَ تُغْنِيْ شَفَاعَتُهُمْ شَيْئًا إِلاَّ مِنْ بَعْدِ أَنْ يَّأْذَنَ اللهُ لِـمَنْ يَّشَآءُ وَيَرْضَى»
‘‘আকাশে অনেক ফিরিশ্তা এমন রয়েছে যাদের সুপারিশ কোন কাজে আসবে না যতক্ষণ না আল্লাহ্ তা’আলা সুপারিশের অনুমতি দিবেন যাকে ইচ্ছা তাকে এবং যার প্রতি সন্তুষ্ট তার জন্য’’। (নাজম : ২৬)
আল্লাহ্ তা’আলা আরো বলেন:
«يَوْمَئِذٍ لاَ تَنْفَعُ الشَّفَاعَةُ إِلاَّ مَنْ أَذِنَ لَهُ الرَّحْمَنُ وَرَضِيَ لَهُ قَوْلاً»
‘‘সে দিন কোন সুপারিশ ফলপ্রসূ হবে না। তবে শুধু ওর সুপারিশই ফলপ্রসূ হবে যাকে দয়াময় প্রভু সুপারিশের অনুমতি দিবেন এবং যার জন্য আল্লাহ্ তা’আলা সুপারিশ করা পছন্দ করবেন’’। (ত্বাহা : ১০৯)
এমনকি আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা.) ও সে দিন আল্লাহ্ তা’আলার নিকট সুপারিশের অনুমতি চাবেন। অতঃপর তাঁকে সুপারিশের অনুমতি দেয়া হবে এবং সাথে সাথে তাঁর জন্য সুপারিশের গন্ডিও ঠিক করে দেয়া হবে। অতএব আল্লাহ্ তা’আলার অনুমতি ছাড়া এবং তাঁর নির্ধারিত গন্ডির বাইরে সে দিন তিনিও কারোর জন্য সুপারিশ করতে পারবেন না।
আনাস্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (সা.) ইরশাদ করেন:
فَيَأْتُوْنِيْ فَأَنْطَلِقُ حَتَّى أَسْتَأْذِنَ عَلَى رَبِّيْ فَيُؤْذَنَ لِيْ، فَإِذَا رَأَيْتُ رَبِّيْ وَقَعْتُ سَاجِـدًا، فَيَدَعُنِيْ مَا شَاءَ اللهُ، ثُمَّ يُقَالُ: اِرْفَعْ رَأْسَكَ وَسَلْ تُعْطَهُ، وَقُلْ يُسْمَعْ، وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ فَأَرْفَعُ رَأْسِيْ فَأَحْمَدُهُ بِتَحْمِيْدٍ يُعَلِّمُنِيْهِ، ثُمَّ أَشْفَعُ، فَيُحَدُّ لِيْ حَدًّا، فَأُدْخِلُهُمُ الْـجَنَّةَ، ثُمَّ أَعُوْدُ إِلَيْهِ، فَإِذَا رَأَيْتُ رَبِّيْ وَقَعْتُ سَاجِدًا مِثْلَهُ، ثُمَّ أَشْفَعُ فَيُحَدُّ لِيْ حَداًّ فَأُدْخِلُهُمُ الْـجَنَّةَ وَهَكَذَا الثَّالِثَةُ، ثُمَّ أَعُوْدُ الرَّابِعَةَ فَأَقُوْلُ: مَا بَقِيَ فِيْ النَّارِ إِلاَّ مَنْ حَبَسَهُ الْقُرْآنُ وَوَجَبَ عَلَيْهِ الْـخُلُوْدُ
‘‘জান্নাতীদেরকে জান্নাতে ঢুকার পূর্বে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হবে। তখন তারা নবীদের সুপারিশ কামনা করলে কেউ তাতে রাজি হবেন না। পরিশেষে তারা রাসূল (সা.) এর নিকট আসবে। রাসূল (সা.) বলেন: তখন আমি আমার প্রভুর নিকট অনুমতি চাইলে আমাকে অনুমতি দেয়া হবে। প্রভুকে দেখেই আমি সিজদাহে পড়ে যাবো। তিনি আমাকে যতক্ষণ ইচ্ছা সিজদাহরত অবস্থায় রাখবেন। অতঃপর আমাকে বলা হবে, মাথা উঠাও। তুমি যা চাও তা দেয়া হবে। যা বলো শুনা হবে। যা সুপারিশ করো তা গ্রহণ করা হবে। অতঃপর আমি মাথা উঠাবো। তখন আমি প্রভুর প্রশংসা করবো যা তখন তিনি আমাকে শিখিয়ে দেবেন। এরপর আমি সুপারিশ করবো। তখন আমার সুপারিশের গন্ডি ঠিক করে দেয়া হবে। তখন আমি শুধু তাদেরকেই জান্নাতে প্রবেশ করাবো। পুনরায় আমি তাঁর নিকট ফিরে আসবো এবং আমি তাঁকে দেখা মাত্রই সিজদাহে পড়ে যাবো। অতঃপর আমি সুপারিশ করলে আমার সুপারিশের গন্ডি ঠিক করে দেয়া হবে। তখন আমি শুধু তাদেরকেই জান্নাতে প্রবেশ করাবো। এভাবে তৃতীয়বার। চতুর্থবার আমি ফিরে এসে বলবো, এখন শুধু জাহান্নামে ওব্যক্তিই রয়েছে যাকে কুর’আন মাজীদ আটকে রেখেছে। অর্থাৎ যাদের জন্য চিরতরে জাহান্নামে থাকা নির্ধারণ করা হয়েছে’’। (বুখারী, হাদীস ৪৪৭৬, ৬৫৬৫, ৭৪১০, ৭৪৪০)
তবে বিশেষভাবে জানার বিষয় এইযে, আল্লাহ্ তা’আলা শুধুমাত্র খাঁটি তাওহীদপন্থীদের জন্যই সুপারিশের অনুমতি দিবেন। অন্য কারোর জন্য নয়।
আল্লাহ্ তা’আলা মুশরিকদের সম্পর্কে বলেন:
«فَمَا تَنْفَعُهُمْ شَفَاعَةُ الشَّافِعِيْنَ»
‘‘ফলে সুপারিশকারীদের সুপারিশ তাদের কোন কাজে আসবে না’’। (মুদ্দাস্সির : ৪৮)
আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি রাসূল (সা.) কে বললাম: হে আল্লাহ্’র রাসূল! কিয়ামতের দিন আপনার সুপারিশ পাওয়ার ভাগ্য কার হবে? তিনি বললেন:
لَقَدْ ظَنَنْتُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ أَنْ لاَ يَسْأَلَنِيْ عَنْ هَذَا الْـحَدِيْثِ أَحَدٌ أَوَّلَ مِنْكَ لِمَا رَأَيْتُ مِنْ حِرْصِكَ عَلَى الْحَدِيْثِ ، أَسْعَدُ النَّاسِ بِشَفَاعَتِيْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَنْ قَالَ: لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ خَالِصًا مِّنْ قَلْبِهِ أَوْ نَفْسِهِ
‘‘হে আবু হুরাইরাহ্! পূর্ব থেকেই তোমার সম্পর্কে আমার এ ধারণা ছিল যে, তোমার আগে এ সম্পর্কে আর কেউ প্রশ্ন করবে না। কারণ, আমি তোমাকে সর্বদা হাদীসলোভী দেখছি। কিয়ামতের দিন আমার সুপারিশ পাওয়ার ভাগ্য ওব্যক্তির হবে যে খাঁটি অন্তঃকরণে আল্লাহ্ তা’আলা ছাড়া কোন মা’বুদ নেই বলে স্বীকার করবে’’। (বুখারী, হাদীস ৯৯, ৬৫৭০)
’আউফ্ বিন্ মালিক্ আশ্জা’য়ী (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
أَتَانِيْ آتٍ مِنْ عِنْدِ رَبِّيْ ، فَخَيَّرَنِيْ بَيْنَ أَنْ يُّدْخِلَ نِصْفَ أُمَّتِيْ الْـجَنَّةَ وَبَيْنَ الشَّفَـاعَةِ، فَاخْتَرْتُ الشَّفَاعَةَ، وَهِيَ لِـمَنْ مَاتَ لاَ يُشْرِكُ بِاللهِ شَيْئًا
‘‘জিব্রীল (আ.) আমার প্রভুর প্রতিনিধি হিসেবে আমাকে দু’টি ব্যাপারের যে কোন একটি গ্রহণের স্বাধীনতা দিলেন। আল্লাহ্ তা’আলা আমার আধা উম্মাতকে জান্নাতে দিবেন নাকি আমি এর পরিবর্তে আমার সকল উম্মাতের জন্য সুপারিশ করবো। অতঃপর আমি সুপারিশের ব্যাপারটিই গ্রহণ করলাম। আর এ সুপারিশটুকু এমন সকল ব্যক্তির ভাগ্যে জুটবে যারা শির্কমুক্ত অবস্থায় ইন্তিকাল করবে’’। (তিরমিযী, হাদীস ২৪৪১)
আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
لِكُلِّ نَبِيٍّ دَعْوَةٌ مُسْتَجَابَةٌ، فَتَعَجَّلَ كُلُّ نَبِيٍّ دَعْوَتَهُ، وَإِنِّيْ اِخْتَبَأْتُ دَعْوَتِيْ شَفَاعَةً لِأُمَّتِيْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، فَهِيَ نَائِلَةٌ إِنْ شَاءَ اللهُ مَنْ مَاتَ مِنْ أُمَّتِيْ لاَ يُشْرِكُ بِاللهِ شَيْئًا
‘‘প্রত্যেক নবীর জন্য একটি কবুল দো’আ বরাদ্দ রয়েছে এবং প্রত্যেক নবী তা দ্রুত (দুনিয়াতেই) করে ফেলেছেন। তবে আমি আমার দো’আটি কিয়ামতের দিন আমার উম্মতের জন্য সুপারিশ হিসেবে সংরক্ষণ করেছি। আল্লাহ্ চানতো তা এমন সকল ব্যক্তির ভাগ্যে জুটবে যারা শির্কমুক্ত অবস্থায় ইন্তিকাল করবে’’। (মুসলিম, হাদীস ১৯৯ তিরমিযী, হাদীস ৩৬০২ ইবনু মাজাহ্, হাদীস ৪৩৮৩)
উক্ত হাদীসদ্বয় এটিই প্রমাণ করে যে, পরকালে তাওহীদপন্থীদের জন্য রাসূল (সা.) এর সুপারিশ দো’আ বা আবেদন জাতীয় হবে। দুনিয়ার সুপারিশকারীদের সুপারিশের অনুরূপ নয়। দুনিয়ার কোন সুপারিশকারী সাধারণত এমন ব্যক্তির নিকট সুপারিশ করে থাকে যে ব্যক্তি সুপারিশকারীর নিকট কোন ধরণের অনুগ্রহভোগী অথবা তার উপর সুপারিশকারীর কোন কর্তৃত্ব রয়েছে। আর আল্লাহ্ তা’আলার উপর কারোর কোন অনুগ্রহ বা কর্তৃত্ব নেই।
মূলতঃ আল্লাহ্ তা’আলা ফিরিশ্তা, নবী বা ওলীগণকে সুপারিশের অনুমতি দিয়ে তাঁদেরকে সম্মানিত করবেন। ব্যাপারটা এমন যে, আল্লাহ্ তা’আলা নিজ অনুগ্রহে কিছু গুনাহ্গারকে ক্ষমা করে তাদেরকে জান্নাত দিতে চান। কিন্তু তিনি তাদেরকে সরাসরি জান্নাতে না পাঠিয়ে তাদেরকে ক্ষমা করা ও জান্নাতে পাঠানোর ব্যাপারে নিজ ফিরিশ্তা, নবী বা ওলীগণকে সুপারিশের অনুমতি দিয়ে তাঁদেরকে সম্মানিত করবেন। সুতরাং সুপারিশকারীরা সুপারিশের মাধ্যমে আল্লাহ্ তা’আলার নিশ্চিত ফায়সালার সামান্যটুকুও পরিবর্তন করতে পারবেনা।
আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:
«وَلاَ يُشْرِكُ فِيْ حُكْمِهِ أَحَدًا»
‘‘তিনি নিজ ফায়সালায় কাউকে শরীক করেন না’’। (কাহফ : ২৬)
আল্লাহ্ তা’আলা আরো বলেন:
«وَاللهُ يَحْكُمُ لاَ مُعَقِّبَ لِـحُكْمِهِ، وَهُوَ سَرِيْعُ الْـحِسَابِ»
‘‘আল্লাহ্ তা’আলা এককভাবে ফায়সালা করেন। তাঁর ফায়সালা দ্বিতীয়বার পর্যালোচনা করার অধিকার কারোর থাকে না। তিনি দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী’’। (রা’দ্ : ৪১)
তিনি আরো বলেন:
«قُلْ فَمَنْ يَّمْلِكُ مِنَ اللهِ شَيْئًا إِنْ أَرَادَ أَنْ يُّهْلِكُ الْـمَسِيْحَ ابْنَ مَرْيَمَ وَ أُمَّهُ وَمَنْ فِيْ الْأَرْضِ جَمِيْعًا»
‘‘(হে মুহাম্মাদ (সা.)!) আপনি ওদেরকে বলে দিন: আল্লাহ্ তা’আলা যদি ঈসা (আ.) ও তাঁর মা এবং দুনিয়ার সবাইকে ধ্বংস করে দিতে চান তাহলে কে আছে এমন যে তাঁদেরকে আল্লাহ্ তা’আলার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে?’’ (মায়িদাহ্ : ১৭)