প্রশ্নঃ (১২০) হাদীছ শরীফে আমলনামা প্রদানের পদ্ধতি কিভাবে বর্ণনা করা হয়েছে?

উত্তরঃ এ ব্যাপারে অনেক হাদীছ রয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

(يُدْنَى الْمُؤْمِنُ مِنْ رَبِّهِ حَتَّى يَضَعَ عَلَيْهِ كَنَفَهُ فَيُقَرِّرُهُ بِذُنُوبِهِ تَعْرِفُ ذَنْبَ كَذَا؟ يَقُولُ: أَعْرِفُ يَقُولُ رَبِّ أَعْرِفُ (مَرَّتَيْنِ) فَيَقُولُ: سَتَرْتُهَا فِي الدُّنْيَا وَأَغْفِرُهَا لَكَ الْيَوْمَ، ثُمَّ تُطْوَى صَحِيفَةُ حَسَنَاتِهِ، وَأَمَّا الآخَرُونَ أَوِ الْكُفَّارُ فَيُنَادَى عَلَى رُءُوسِ الأَشْهَادِ ( هَؤُلاَءِ الَّذِينَ كَذَبُوا عَلَى رَبِّهِمْ أَلاَ لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى الظَّالِمِينَ)

‘‘কিয়ামতের দিন মু’মিনকে তার প্রতিপালকের নিকটবর্তী করা হবে। আল্লাহ্ তার কাঁধে স্বীয় পর্দা রেখে তার গুনাহগুলো স্বীকার করাবেন। তিনি বলবেনঃ তুমি কি এই গুনাহ করেছিলে? সে স্বীকার করবে এবং বলবেঃ হ্যাঁ, আমার স্মরণ আছে। সে দ্বিতীয়বারও স্বীকার করে বলবেঃ হে আমার প্রতিপালক! আমি এই এই কাজ করেছি। অতঃপর আল্লাহ্ বলবেনঃ আমি দুনিয়াতে তোমার এই কাজগুলো গোপন রেখেছি। আর আমি আজ তোমাকে এগুলো ক্ষমা করে দিব। অতঃপর তার আমলনাম (নেকী ও গুনাহ্এর খাতাটি) বন্ধ করা হবে। আর কাফেরদেরকে সমস্ত মাখলুকের সামনে ডেকে বলা হবে এরা ঐসমস্ত লোক, যারা তাদের প্রভুর উপর মিথ্যা রচনা করেছিল। আর যালেমদের উপর আল্লাহর লা’নত’’।[1] আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ

(يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ يَذْكُرُ الْحَبِيبُ حَبِيبَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ: يَا عَائِشَةُ أَمَّا عِنْدَ ثَلاَثٍ فَلاَ أَمَّا عِنْدَ الْمِيزَانِ حَتَّى يَثْقُلَ أَوْ يَخِفَّ فَلاَ وَأَمَّا عِنْدَ تَطَايُرِ الْكُتُبِ، فَإِمَّا أَنْ يُعْطَى بِيَمِينِهِ أَوْ يُعْطَى بِشِمَالِهِ فَلاَ وَحِينَ يَخْرُجُ عُنُقٌ مِنَ النَّارِ)

‘‘হে আল্লাহর রাসূল! কিয়ামতের দিন কি কোন লোক তার বন্ধুকে স্মরণ করবে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তরে বললেনঃ হে আয়েশা! তিনটি স্থান এমন রয়েছে যেখানে কেউ কাউকে স্মরণ করবেনা (১) মানুষের আমল যখন মাপা হবে। তখন মানুষ সব কিছু ভুলে যাবে। চিন্তা একটাই থাকবে, তার নেক আমলের পাল্লা ভারী হয় না হালকা হয়? (২) যখন প্রত্যেকের আমলনামা দেয়া হবে তখন কেউ কাউকে স্মরণ করবেনা। আমলনামা ডান হাতে পাবে না বাম হাতে পাবে? এনিয়ে চিন্তিত থাকবে (৩) পুলসিরাত পার হওয়ার সময়ও সকলেই ভীত-সন্ত্রস্ত থাকবে। কেউ কাউকে স্মরণ করবে না’’।[2]

[1] - বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুত্ তাওহীদ।

[2] -আবু দাউদ, অধ্যায়ঃ কিতাবুস্ সুন্নাহ। ইবনে লাহীআ ব্যতীত হাদীছের অন্যান্য বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।