রাসূল (ছাঃ) বলেন,

أَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَرِيْضَةِ صَلاَةُ اللَّيْلِ

‘ফরয ছালাতের পরে সর্বোত্তম ছালাত হল রাতের ছালাত’।[1] অন্য হাদীছে এসেছে,

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ يَنْزِلُ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا حِيْنَ يَبْقَى ثُلُثُ اللَّيْلِ الْآخِرُ فَيَقُوْلُ مَن يَّدْعُوْنِىْ فَأَسْتَجِيْبَ لَهُ مَنْ يَّسْأَلُنِىْ فَأُعْطِيَهُ مَن يَّسْتَغْفِرُنِىْ فَأَغْفِرَ لَهُ.

‘আমাদের পালনকর্তা মহান আল্লাহ প্রতি রাতের শেষ তৃতীয় প্রহরে দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন এবং বলতে থাকেন, কে আছ যে আমাকে ডাকবে আর আমি তার ডাকে সাড়া দেব? কে আছ যে আমার কাছে চাইবে আর আমি তাকে দান করব? কে আছ যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আর আমি তাকে ক্ষমা করে দেব? অন্য বর্ণনায় রয়েছে, এভাবে আল্লাহ ফজর পর্যন্ত আহবান করতে থাকেন’।[2] যদি কেউ তাহাজ্জুদের নিয়তে শুয়ে যায় এবং পরে ঘুম থেকে জাগতে না পারে, তাহলে সে পূর্ণ নেকী পাবে এবং উক্ত ঘুম তার জন্য ছাদাক্বা হবে।[3]

[1]. মুসলিম হা/২৮১২; মিশকাত হা/২০৩৯, ‘ছওম’ অধ্যায়, ‘নফল ছিয়াম’ অনুচ্ছেদ।

[2]. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, বুখারী হা/১১৪৫, ১/১৫৩ পৃঃ, (ইফাবা হা/১০৭৯, ২/৩০৮ পৃঃ), ‘তাহাজ্জুদ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১৪; মুসলিম হা/১৮০৮ ও ১৮০৯, ‘মুসাফিরের ছালাত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-২৪; মিশকাত হা/১২২৩, পৃঃ ১০৯, ‘রাত্রি জাগরণে উৎসাহ দান’ অনুচ্ছেদ।

[3]. নাসাঈ হা/১৭৮৪ ও ১৭৮৭; ইবনু মাজাহ হা/১৩৪৪, ৯৫; সনদ ছহীহ, ইরওয়া হা/৪৫৪।