বিতরের কুনূত দুই নিয়মে পড়া যায়। শেষ রাক‘আতে ক্বিরাআত শেষ করে হাত বাঁধা অবস্থায় দু‘আয়ে কুনূত পড়া।[1] অথবা ক্বিরাআত শেষে হাত তুলে দু‘আয়ে কুনূত পড়া। রুকূর আগে বিতরের কুনূত পড়া সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রুকূর আগে বিতরের কুনূত পড়তেন।
عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ كَانَ يُوْتِرُ بِثَلَاثِ رَكَعَاتٍ كَانَ يَقْرَأُ فِي الْأُولَى بِسَبِّحْ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى وَفِي الثَّانِيَةِ بِقُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُوْنَ وَفِي الثَّالِثَةِ بِقُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ وَيَقْنُتُ قَبْلَ الرُّكُوْعِ فَإِذَا فَرَغَ قَالَ عِنْدَ فَرَاغِهِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوْسِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ يُطِيْلُ فِيْ آخِرِهِنَّ.
উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) তিন রাক‘আত বিতর ছালাত আদায় করতেন। প্রথম রাক‘আতে সূরা আ‘লা, দ্বিতীয় রাক‘আতে সূরা কাফেরূন এবং তৃতীয় রাক‘আতে সূরা ইখলাছ পাঠ করতেন। আর তিনি রুকূর পূর্বে কুনূত পড়তেন। যখন তিনি ছালাত থেকে অবসর হতেন তখন বলতেন, ‘সুবহা-নাল মালিকিল কুদ্দূস’। শেষের বারে টেনে বলতেন।[2]
عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ كَانَ يُوْتِرُ فَيَقْنُتُ قَبْلَ الرُّكُوْعِ.
উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) যখন বিতর পড়তেন তখন রুকূর পূর্বে কুনূত পড়তেন।[3]
আল্লামা ওবায়দুল্লাহ মুবারকপুরী আগে কুনূত পড়াকেই উত্তম বলেছেন।[4] তবে অনেক বিদ্বান রুকূর পরে পড়ার কথাও বলেছেন।[5]
[2]. নাসাঈ হা/১৬৯৯, ১/১৯১ পৃঃ, সনদ ছহীহ।
[3]. ইবনু মাজাহ হা/১১৮২, পৃঃ ৮৩, সনদ ছহীহ; ইরওয়াউল গালীল হা/৪২৬।
[4]. মির‘আতুল মাফাতীহ ৪/২৮৭ পৃঃ, হা/১২৮০-এর আলোচনা দ্রঃ- قلت: يجوز القنوت في الوتر قبل الركوع وبعده والأولى عندى أن يكون قبل الركوع لكثرة الأحاديث في ذلك وبعضها جيد الإسناد ولا حاجة إلى قياس قنوت الوتر على قنوت الصبح مع وجود الأحاديث المروية في الوتر من الطرق المصرحة بكون القنوت فيه قبل الركوع।
[5]. আলবানী, ক্বিয়ামু রামাযান, পৃঃ ৩১।