যে সমস্ত সুন্নাত ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত সেগুলো পড়াই একজন মুছল্লীর জন্য যথেষ্ট। বানোয়াট, মিথ্যা, জাল ও ভিত্তিহীন কথার উপর আমল করা উচিৎ নয়।
عَنْ أُمِّ حَبِيْبَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ مَنْ صَلَّى فِىْ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً بُنِيَ لَهُ بَيْتٌ فِي الْجَنَّةِ أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَهَا وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعِشَاءِ وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ صَلَاة الْفَجْرِ.
উম্মু হাবীবাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি দিনে রাতে ১২ রাক‘আত ছালাত আদায় করবে, তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করা হবে। সেগুলো হল- যোহরের পূর্বে চার পরে দুই, মাগরিবের পরে দুই, এশার পর দুই এবং ফজরের পূর্বে দুই।[1] অন্য বর্ণনায় ১০ রাক‘আতের কথা এসেছে। সেখানে যোহরের পূর্বে দুই রাক‘আত বলা হয়েছে।[2]
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ رَكْعَتَا الْفَجْرِ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيْهَا.
আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ফজরের দুই রাক‘আত ছালাত দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু তা হতে উত্তম।[3]
عَنْ أُمِّ حَبِيْبَةَ قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ يَقُوْلُ مَنْ حَافَظَ عَلَى أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ قَبْلَ الظُّهْرِ وَأَرْبَعٍ بَعْدَهَا حَرَّمَهُ اللهُ عَلَى النَّارِ.
উম্মু হাবীবা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলতেন, যে ব্যক্তি যোহরের আগে চার রাক‘আত এবং পরে চার রাক‘আত আদায় করবে, আল্লাহ তা‘আলা তার উপর জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিবেন।[4]
[2]. বুখারী হা/১১৮০; তিরমিযী হা/৪৩৩; মিশকাত হা/১১৬০, পৃঃ ১০৪; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১০৯২, ৩/৯১ পৃঃ।
[3]. মুসলিম হা/১৭২১, ১/২৫১ পৃঃ; মিশকাত হা/১১৬৪, পৃঃ ১০৪; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১০৯৬, ৩/৯২ পৃঃ।
[4]. আবুদাঊদ হা/১২৬৯, ১/১৮০ পৃঃ; তিরমিযী হা/৪২৮, সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/১১৬৭; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১০৯৯, ৩/৯৩ পৃঃ।