(৬) জামা‘আত আরম্ভ করার সময় মুক্তাদীদেরকে কাতার সোজা করার কথা না বলা :
অনেক মসজিদে ইক্বামত শেষ না হতেই ইমাম ছালাত শুরু করেন। অথচ ইক্বামতের জবাব দেওয়া সুন্নাত[1], তেমনি মুক্তাদীদেরকে কাতার সোজা করতে বলা অপরিহার্য। ইমামের উক্ত আচরণ রাসূল (ছাঃ)-কে হেয় প্রতিপন্ন করার শামিল। কারণ ইমামের উপর গুরু দায়িত্ব হল, ইক্বামত শেষ হওয়ার পর মুছল্লীদেরকে কাতার সোজা করার জন্য হুঁশিয়ার করা। তারপর ছালাত শুরু করা।
عَن أَنَسٍ قَالَ أُقِيْمَتِ الصَّلَاةُ فَأَقْبَلَ عَلَيْنَا رَسُوْلُ اللهِ بِوَجْهِهِ فَقَالَ أَقِيْمُوْا صُفُوْفَكُمْ وَتَرَاصُّوْا فَإِنِّىْ أَرَاكُمْ مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِىْ.
আনাস (রাঃ) বলেন, যখন ইক্বামত দেয়া হত, তখন রাসূল (ছাঃ) আমাদের দিকে মুখ করতেন। অতঃপর বলতেন, তোমরা কাতার সোজা কর এবং সীসা ঢালা প্রাচীরের ন্যায় দাঁড়াও। নিশ্চয় আমি আমার পিছন থেকে তোমাদেরকে দেখতে পাই।[2]
عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ يَتَخَلَّلُ الصَّفَّ مِنْ نَاحِيَةٍ إِلَى نَاحِيَةٍ يَمْسَحُ صُدُوْرَنَا وَمَنَاكِبَنَا وَيَقُوْلُ لاَ تَخْتَلِفُوْا فَتَخْتَلِفَ قُلُوبُكُمْ وَكَانَ يَقُوْلُ إِنَّ اللهَ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّوْنَ عَلَى الصُّفُوْفِ الأُوَلِ.
বারা ইবনু আযেব (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) কাতারের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত বরাবর করতেন। তিনি আমাদের বুক ও কাঁধ স্পর্শ করতেন এবং বলতেন, তোমরা পৃথক পৃথক হয়ে দাঁড়াইয়ো না। অন্যথা তোমাদের অন্তরসমূহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তিনি আরো বলতেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ এবং ফেরেশতাগণ প্রথম কাতারের মুছল্লীদের উপর রহমত নাযিল করেন।[3]
সুধী পাঠক! রাসূল (ছাঃ) যদি উক্ত দায়িত্ব পালন করতে পারেন, তবে কি বর্তমান যুগের ইমামগণ পারবেন না? এই সমস্ত ইমামগণ কি রাসূল (ছাঃ)-এর চেয়ে বেশী মর্যাদাবান? (নাঊযুবিল্লাহ)। বর্তমানে ইমামগণ প্রত্যেক ওয়াক্তে মোবাইল সম্পর্কে সতর্ক করতে পারেন, কিন্তু কাতার সোজা করতে বলতে পারেন না।
[2]. ছহীহ বুখারী হা/৭১৯, ১ম খন্ড, পৃঃ ১০০, (ইফাবা হা/৬৮৪, ২/৯৩ পৃঃ); মিশকাত হা/১০৮৬।
[3]. আবুদাঊদ হা/৬৬৪, ১ম খন্ড, পৃঃ ৯৭, সনদ ছহীহ।