(১৮) অযোগ্য ও পেটপূজারী ব্যক্তিকে ইমাম নিয়োগ করা :
সমাজে সুশাসন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মসজিদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত হয়। অন্ততঃ জুম‘আর দিনে। সেজন্য মসজিদের ইমাম হিসাবে তাক্বওয়াশীল, যোগ্য ও আপোসহীন ব্যক্তিকে নিয়োগ দিলে খুৎবার মাধ্যমে নারী-পুরুষ সকলে উপকৃত হতে পারে। সমাজে ভ্রাতৃত্ব ও শান্তি নেমে আসার দ্বার উন্মুক্ত হয়। বর্তমানে অধিকাংশ মসজিদের ইমাম অযোগ্য, চাটুকার, পেটপূজারী ও কমিটির পোষা বসংবদ। অনেকে দাড়ি বিহীন, জর্দ্দাখোর, হারামখোর। বিভিন্ন ব্যাংক, বীমা ও সংস্থার সূদী কারবারের সাথে জড়িত। তাক্বওয়ার পোশাক তার শরীরে থাকে না। টাখনুর নীচে কাপড় পরিধান করে। তাদের ইলমের পুঁজি হল, ফুটপাতে কেনা চটি পুস্তক। তারাই খুৎবার নামে মিথ্যা গল্প, বানোয়াট কাহিনী ও কল্পিত ব্যাখ্যাকে শরী‘আত বলে চালিয়ে দেয়। অথচ দলীল বিহীন কথার পরিণাম যে জাহান্নাম সে কথা ভুলে যায়। নিজের চাকুরী টিকিয়ে রাখার জন্য কমিটির অন্ধ গোলামী করে। দ্বিমুখী চরিত্রের কারণে সমাজ থেকে তাদের মর্যাদা উঠে গেছে। তাদের দ্বারা সমাজের কোন উপকার হবে কি? অফিসের পিয়ন হলেও তার নূন্যতম ডিগ্রীর প্রয়োজন হয়, গাড়ী চালাতে হলেও পাস লাগে। কিন্তু মসজিদের ইমামতির জন্য কোন শর্ত, ডিগ্রী বা পাশ লাগে না। এভাবেই ইমামদের মর্যাদা বিনষ্ট হয়েছে। অথচ দাবী ছিল ইমামগণই হবেন সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী। কারণ তারাই মুসলিম সমাজের মূল কর্ণধার। তারা হক প্রচার ও প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে হবেন সংগ্রামী ও আপোসহীন।
অতএব মসজিদ কমিটির অপরিহার্য কর্তব্য হবে কুরআন-হাদীছে অভিজ্ঞ ও তাক্বওয়াশীল ব্যক্তিকে ইমাম হিসাবে নিয়োগ দান করা এবং তার মর্যাদার প্রতি লক্ষ্য রাখা। কারণ বর্তমানে মসজিদের ইমাম ও মুওয়াযযিনই সবচেয়ে অবহেলিত ব্যক্তি।