ওযূর পর সূরা ক্বদর পড়া যাবে না। উক্ত মর্মে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে তা জাল।

عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ مَنْ قَرَأَ فِىْ إِثْرِ وُضُوْئِهِ إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِىْ لَيْلَةِ الْقَدْرِ مَرَّةً وَاحِدَةً كَانَ مِنَ الصِّدِّيْقِيْنَ وَمَنْ قَرَأَهَا مَرَّتَيْنِ كُتِبَ فِىْ دِيْوَانِ الشُّهَدَاءِ وَمَنْ قَرَأَهَا ثَلاَثًا حَشَرَهُ اللهُ مَحْشَرَ الْأَنْبِيَاءِ.

আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ওযূর পর ‘ইন্না আনযালনা-হু ফী লায়লাতিল ক্বাদরি’ অর্থাৎ সূরা ক্বদর একবার পাঠ করবে সে সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হবে, যে দুই বার পাঠ করবে তার নাম শহীদদের দফতরে লিখা হবে এবং যে ব্যক্তি তিনবার পাঠ করবে আল্লাহ তাকে নবীদের সাথে হাশর-নাশর করাবেন।[1]

তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি জাল। এর কোন সনদই নেই।[2]

উল্লেখ্য যে, আশরাফ আলী থানবী তার বইয়ে সূরা ক্বদর পড়ার কথা বলেছেন এবং ওযূর পরের দু‘আর সাথে অনেকগুলো নতুন শব্দ যোগ করেছেন যা হাদীছের গ্রন্থ সমূহে পাওয়া যায় না।[3] অতএব সাবধান! ওযূ করার পর শুধু নিম্নের দু‘আ পাঠ করতে হবে, যা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত।[4]

أَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ. اَللّهُمَّ اجْعَلْنِىْ مِنَ التَّوَّابِيْنَ وَاجْعَلْنِىْ مِنَ الْمُتَطَهِّرِيْنَ.

উচ্চারণ : আশহাদু আল লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা-শারীকা লাহূ, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহূ ওয়া রাসূলুহু। আল্ল-হুম্মাজ্‘আল্নী মিনাত্ তাউওয়াবীনা ওয়াজ্‘আলনী মিনাল মুতাত্বাহ্হিরীন।

রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি যথাযথভাবে ওযূ করবে ও কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করবে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজার সবই খুলে দেওয়া হবে। যেটা দিয়ে ইচ্ছা সে প্রবেশ করতে পারবে’।[5] অতএব মিথ্যা ফযীলতের প্রয়োজন নেই। মুছল্লীর প্রয়োজন জান্নাত।

[1]. দায়লামী, মুসনাদুল ফেরদাঊস; সুয়ূত্বী, আল-হাবী লিল ফাতাওয়া ২/১১ পৃঃ।

[2]. সিলসিলা যঈফাহ হা/১৪৪৯ ও ১৫২৭।

[3]. পূর্ণাঙ্গ নামায, পৃঃ ৪৫।

[4]. ছহীহ মুসলিম হা/৫৭৬, ১/১২২ পৃঃ, (ইফাবা হা/৪৪৪), ‘পবিত্রতা’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৬; মিশকাত হা/২৮৯, পৃঃ ৩৯, ‘পবিত্রতা’ অধ্যায়; ছহীহ তিরমিযী হা/৫৫, ১/১৮ পৃঃ সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/২৮৯, পৃঃ ৩৯; ইরওয়া হা/৯৬, সনদ ছহীহ।

[5]. ছহীহ মুসলিম হা/৪৭৬, ১/১২২ পৃঃ; মিশকাত হা/২৮৯।