আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন যে, শ্রেষ্ঠ বীর হচ্ছেন আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু। বদরের যুদ্ধে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলেন, উন্মুক্ত তলোয়ার নিয়ে তাঁকে পাহারা দিয়েছেন। সে সময় কাফিরদের বাহিনী ছিল মুসলিমদের তিনগুণ। এই যুদ্ধে যখন মুসলিম বাহিনী কাফির সেনাদলের মুখোমুখি হয়, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরামর্শ চাইলে প্রথমেই দাঁড়ান আবু বকর।

আবু বকরের পুত্র আবদুর রহমান ছিলেন কুরাইশদের পক্ষের যোদ্ধা। পরবর্তীতে মুসলিম হয়ে তিনি সেদিনের ঘটনা বলছিলেন। তিনি দূরে দূরে সরে থাকছিলেন যেন আবু বকর তাঁর সামনে না পড়েন। কিভাবে তিনি তাঁর পিতাকে আঘাত করবেন? আবু বকর শুনে বললেন: ‘‘আমি তো তোমাকে খুঁজছিলাম, সামনে পেলেই হত্যা করতাম।” তিনি এটাই বুঝিয়ে দিলেন যে একজন মুমিনের কাছে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ভালবাসা সকল মানবিক স্নেহের উপরে।

যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুদের প্রতি কঠোর হলেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত কোমল হৃদয়ের অধিকারী। সেজন্য বদরের যুদ্ধবন্দীদের ব্যাপারে মতামত চাওয়া হলে তিনি তাদের হত্যা না করে মুক্তিপণ নেওয়ার পক্ষে ছিলেন। মুসলিমদের তখনকার আর্থিক অবস্থাও তাঁর বিবেচনায় ছিল।

বলা হয়েছে-বদরের সাহাবীরা সর্বশ্রেষ্ঠ, আর বদরের ফেরেশতারা অন্য ফেরেশতাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। কারণ এই যুদ্ধ ছিল ইসলামের টিকে থাকার যুদ্ধ, সত্য থেকে মিথ্যাকে পৃথক করার যুদ্ধ।

ওহুদের যুদ্ধের এক পর্যায়ে সকলেই পালিয়ে গিয়েছিল। আবু বকরই প্রথম ফিরে এসেছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে। তিনি ছিলেন রাসূলের মুখপাত্র। তাঁর হয়ে বিভিন্ন গোত্র, প্রতিনিধি ইত্যাদির সাথে কথা বলতেন।