মেঘ বা অন্য কোন কারণে চাঁদ যথাসময়ে না দেখা গেলে মাসের তারিখে ৩০ পূর্ণ করে নিতে হবে। অবশ্য ঈদের চাঁদ প্রমাণ করার জন্য ২ জন মুসলিমের সাক্ষ্য প্রয়োজন। যেহেতু মহানবী (সঃ) বলেন, “তোমরা চাঁদ দেখে রোযা রাখ, চাঁদ দেখে রোযা ছাড়। যদি চাঁদ না দেখা যায়, তাহলে মাস ৩০ পূর্ণ করে নাও। কিন্তু যদি দুই জন মুসলিম সাক্ষ্য দেয়, তাহলে তোমরা রোযা রাখ ও রোযা ছাড়।” ২৪১ (আহমাদ ৪/৩২১, নাসাঈ, দারাকুত্বনী, ইগঃ ৯০৯ নং)
পক্ষান্তরে রোজার মাসের রোযা শুরু হওয়ার কথা প্রমাণ করার জন্য এ কথা প্রমাণীত যে, আল্লাহ্র রাসুল (সঃ) একজন লোকের সাক্ষী নিয়ে রোযা রেখেছেন। ২৪২ (আবূ দাঊদ ২৩৪২, দারেমী, দারাকুত্বনী, বাইহাক্বি ৪/২১২, ইরওয়াউল গালীল ৯০৮ নং)
ঈদের চাঁদ কেউ একা দেখলে সে কিন্তু একা একা ঈদ করতে পারে না। বরং চাঁদ দেখা সত্ত্বেও তাঁর জন্য রোযা রাখা ওয়াজেব। কেননা, শাওয়ালের চাঁদ দুই জন মুসলিম দেখার সাক্ষ্য না দেওয়া পর্যন্ত শরীয়তের দৃষ্টিতে প্রম হয় না। তা ছাড়া মহানবী (সঃ) বলেন, “ঈদ সেদিন, যেদিন লোকেরা ঈদ করে। কুরবানী সেদিন, যেদিন লোকেরা কুরবানী করে।” ২৪৩ (সহীহ তিরমিযী ৬৪৩, ইরওয়াউল গালীল ৯০৫ নং)
মতান্তরে যে ব্যক্তি একা চাঁদ দেখবে সে পরের দিন রোযা রাখবে না। যেহেতু মহানবী (সঃ)অয়াস বলেন, “তোমরা চাঁদ দেখে রোযা রাখো, চাঁদ দেখে রোযা ছাড়।” তবে প্রকাশ্যে নয়, বরং গোপনে ইফতার করবে না। যাতে সে জামাআত বিরোধী না হয়ে যায়। অথবা তাকে কেউ অসঙ্গত অপবাদ না দিয়ে বসে। আর আল্লহই অধিক জানেন। ২৪৪ (মুমতে ৬/৩২৯)
২৮ দিন রোযা রাখার পর যদি শাওয়ালের চাঁদ শরয়ী সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণিত হলে জানতে হবে যে, রমযান মাসের প্রথম দিন অবশ্যই ছুটে গেছে। সুতরাং সেই ক্ষেত্রে ঐ দিন ঈদের পড়ে কাযা করতে হবে। কারণ, চন্দ্র মাস ২৮ দিনের হতেই পারে না। হয় ৩০ দ্বীনে মাস হবে, নচেৎ ২৯ দিনে। ২৪৫ (ফাতাওয়াস সিয়াম, মুসনিদ ১৫ পৃঃ)
পূর্ব দিককার (প্র্যাচের) দেশগুলিতে চাঁদ এক অথবা দুই দিন পর দেখা যায়। এখন ২৯শে রমযান চাঁদ দেখার অথবা ৩০শে রমযান ঐ দিককার কোন দেশে সফর করলে সেখানে গিয়ে দেখবে তাঁর পরের দিনও রোযা। শে ক্ষেত্রে তাকে ঐ দেশের মুসলিমদের সাথে রোযা রাখতে হবে। অতঃপর তাঁরা ঈদ করলে তাঁদের সাথে সেও ঈদ করবে; যদিও তাঁর রোযা ৩১টি হয়ে যায়। কারণ, মহান আল্লাহ বলেন, “অতএব তোমাদের মধ্যে যে কেউ এ মাস পাবে শে যেন এ মাসে রোযা রাখে।” (সূরাহ বাক্বারাহ ২/১৮৫)
আর মহানবী (সঃ) বলেন, “রোযা সেদিন, যেদিন লোকেরা রোযা রাখে। ঈদ সেদিন, যেদিন লোকেরা ঈদ করে।” ২৪৬ (তিরমিযী, ইরওয়াউল গালীল ৯০৫, সিঃ সহীহাহ ২২৪ নং)
কিন্তু যদি কেউ পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে ২৮শে রমযান সফর করে, অতঃপর তাঁর পর দিনই সেখানে ঈদ হয়, তাহলে সেও রোযা ভেঙ্গে লকেদের সাথে ঈদ করবে। অবশ্য তাঁর পরে সে একটি রোযা কাযা রাখবে। কারণ, মাস ২৯ দিনের কম হয়না। পক্ষান্তরে যদি ২৯ শে রমযান সফর করে তাঁর পরের দিন ঈদ হয়, তাহলে তাঁদের সাথে ঈদ করার পর তাকে র কোনও রোযা কাযা করতে হবে না। কারণ, তাঁর ২৯ টি রোযা হয়ে গেছে এবং মাস ২৯ দিনেও হয়। ২৪৭ (ইবা, ফাতাওয়াস সিয়াম, মুসনিদ ১৬ পৃঃ)
অনুরূপ ৩০ শের সকালে রোযা অবস্থায় সফর করে নিজ দেশে ফিরে ঈদ দেখলে, তাঁদের সাথে ঈদ করবে। ২৪৮ (লাজনাহ, দায়েমাহ)
পরন্ত যদি কেউ ঈদের দিনে ঈদ করে প্রাচ্যের দেশে সফর করে এবং সেখানে গিয়ে দেখে সেখানকার লোকেদের রোযা চলছে, তাহলে শে ক্ষেত্রে তাকে পানাহার বন্ধ করতে হবে না এবং রোযা কাযাও করতে হবে না। কেননা, সে শরয়ী নিয়ম মতে রোযা ভেঙ্গেছে। অতএব এ দিন তাঁর জন্য পানাহার বৈধ হওয়ার দিন। ২৪৯ (আসইলাহ অআজবিবাহ ফী স্বালাতিল ঈদাইন ২৮ পৃঃ)
মহান আল্লাহ বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাসে উপনীত হবে, সে যেন রোযা রাখে।” (বাক্বারাহঃ ১৮৫) আর মহানবী (সঃ) বলেছেন, “তোমরা চাঁদ দেখলে রোযা রাখো।” ২৫০ (বুখারী ১৯০০, মুসলিম ১০৮০ নং)
এই নির্দেশ থেকে অনেকে বুঝেছেন যে, সারা বিশ্বের ২/১ জন মুসলিম চাঁদ দেখলেই সকল মুসলিমদের জন্য রোযা বা ঈদ করা জরুরী। কিন্তু সাহাবাগণ এরূপ বুঝেননি। তাঁরা উদয়স্থলের পার্থক্য মেনে নিয়ে শাম দেশের চাঁদের খবর নিয়ে মদিনায় ঈদ করেননি।
কুরাইব বলেন, একদা উম্মুল ফাযল বিন্তে হারেষ আমাকে শাম দেশে মু'আবিয়ার নিকট পাঠালেন। আমি শাম (সিরিয়া) পৌঁছে তাঁর প্রয়োজন পূর্ণ করলাম। অতঃপর আমার শামে থাকা কালেই রমযান শুরু হল। (বৃহস্পতিবার দিবাগত) জুমআর রাত্রে চাঁদ দেখলাম। অতঃপর মাসের শেষ দিকে মদিনায় এলাম। আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রঃ) আমাকে চাঁদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কবে চাঁদ দেখেছ?” আমি বললাম, “আমরা জুমআর রাত্রে দেখেছি।” তিনি বললেন, “তুমি নিজে দেখেছ?” আমি বললাম, “জি হ্যাঁ। আর লোকেরাও দেখে রোযা রেখেছে এবং মুআবিয়াও রোযা রেখেছেন।” ইবনে আব্বাস (রঃ) বললেন, “কিন্তু আমরা তো (শুক্রবার দিবাগত) শনিবার রাত্রে চাঁদ দেখেছি। অতএব আমরা ৩০ পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অথবা নতুন চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোযা রাখতে থাকবে।” আমি বললাম, “মুআবিয়ার দর্শন ও তাঁর রোযার খবর কি আপনার জন্য যথেষ্ট নয়?” তিনি বললেন, “না। আল্লাহ্র রাসূল (সঃ) আমাদেরকে এ রকমই আদেশ দিয়েছেন।” ২৫১ (মুসলিম ১০৭৮ নং)
আমরা মনে করি, আমরা সালাফী। অতএব সালাফীদের বুঝ নিয়েই আমাদের উচিৎ কুরআন-হাদীস বুঝা এবং উদয়স্থলের ভিন্নতা গণ্য করে নেওয়া। তাছাড়া আমভাবে শরীয়তের সকল নির্দেশ একই রকম সময়ে মান্য কয়া অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। যেমনঃ-
মহান আল্লাহ বলেছেন, “তোমরা পানাহার কর; যতক্ষণ কালো সুতা (রাতের কালো রেখা) হতে ঊষার সাদা সুতা (সাদা রেkotখা) স্পষ্টরূপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়। অতঃপর রাত্রি পর্যন্ত রোযা পূর্ণ কর।” (বাক্বারাহঃ ১৮৭) মহানবী (সঃ) বলেন, “রাত যখন এদিকে (পূর্ব গগন) থেকে আগত হবে, দিন যখন এদিকে (পশ্চিম গগন) থেকে বিদায় নেবে এবং সূর্য যখন অস্ত যাবে, তখন রোযাদার ইফতার করবে।” ২৫২ (বুখারী ১৯৪১, ১৯৫৪, মুসলিম ১১০০, ১১০১ আবূ দাঊদ ২৩৫১, ২৩৫২, তিরমিযী)
উক্ত নির্দেশ দুটি সাড়া বিশ্বের সকল মুসলিমদের জন্য একই সাথে মান্য করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে কেউ বলেন না যে, নির্দেশ ব্যাপক। অতঃএব সারা বিশ্বের ২/১ জন মুসলিম ফজর উদয় দেখলেই সকল মুসলিমদের জন্য পানাহার বন্ধ করা জরুরী। অথবা সাড়া বিশ্বের ২/১ জন মুসলিম সূর্যাস্ত দেখলেই সকল মুসলিমদের জন্য ইফতার করা জরুরী। বরং বিশ্বের প্রতীচ্যের লোক যখন ইফতার করে, প্রাচ্যের লোক ইফতার করে তাঁদের থেকে প্রায় ১২-১৫ ঘণ্টা পরে।
সুতরাং ঈদ সারা বিশ্বে একদিনে একই সময়ে হওয়া সম্ভব নয়। আর নাই-বা হল একই দিনে ঈদ। কি এমন ঐক্য আছে এতে? কত শত বিষয়ে মতভেদ ও মতানৈক্য। হৃদয়ে-হৃদয়ে, বিশ্বাসে ও আচরণে কত ভিন্নতা। কেবল ঈদের দিনের অভিন্নতা নিয়ে কোন ফল ফলবে? তবুও বলবে, এ বিষয়ে উলামাদের ‘ইজমা’ হলে দোষ নেই।
প্রকাশ থাকে যে, যারা উক্ত হাদীসের উপর আমল করতে গিয়ে সঊদী আরবের সাথে রোযা ঈদ করে থাকেন, তাঁরাও কিন্তু অনেক সময় ভুল করেন। কারণ সউদী আরব অন্য দেশের চাঁদ দেখে ঈদ করে না। তাঁর পশ্চিমে আফ্রিকার কোন দেশের চাঁদ দেখে সঊদীরা রোযা ঈদ করেন না। তাহলে উপমহাদেশ থেকে চোখ বুজে সাঊদিয়ার অনুকরণ করলে উক্ত হাদীসের উপর তাঁদের আমল হয় না, যে হাদীস পেশ করে তাঁরা মনে করেন যে, সারা বিশ্বের মুসলিমগণকে একই সাথে রোযা ঈদ করতে হবে।
অবশ্যই। রোযার নিয়তে রোযা রেখে গ্রাম বা শহর ছেড়ে বের হয়ে গিয়ে তারপর রোযা ভাঙ্গা চলবে। দুপুরে সফর করবে বলে সকাল থেকে বাড়িতে বসে রোযা বন্ধ করা বৈধ নয়।
বেনামাযীর রোযা কবুল হবে না। যেহেতু নামায ইসলামের খুঁটি, যা ব্যতিরেকে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। পরন্ত বেনামাযী কাফের ও ইসলামের মিল্লাত থেকে বহির্ভূত।
রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, “মানুষ ও কুফুরীর মধ্যে (পর্দা) হল, নামায ত্যাগ করা।” (মুসলিম)
তিনি আরো বলেছেন, “যে চুক্তি আমাদের ও তাঁদের (কাফেরদের) মধ্যে বিদ্যমান, তা হচ্ছে নামায (পড়া)। অতএব যে নামায ত্যাগ করবে, সে নিশ্চয় কাফের হয়ে যাবে।” (তিরমিযী)
শাক্বীক ইবনে আব্দুল্লাহ তাঁবেঈ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, “মুহাম্মাদ (সঃ) এর সহচরবৃন্দ নামায ছাড়া অন্য কোন আমল ত্যাগ করাকে কুফরীমূলক কাজ বলে মনে করতেন না।” (তিরমিযী) (ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ২/৬৮৭)
আর কাফেরের নিকট থেকে আল্লাহ রোযা, সাদকা, হজ্জ এবং অন্যান্য কোনও নেক আমল কবুল করেন না। যেহেতু আল্লাহ পাক বলেন, “ওদের অর্থ সাহায্য গৃহীত হতে কোন বাধা ছিল না। তবে বাধা এই ছিল যে, ওরা আল্লাহ ও তাদীয় রাসুলকে অস্বীকার (কুফরী) করে এবং নামাযে আলস্যের সঙ্গে উপস্থিত হয়। আর অনিচ্ছাকৃতভাবে অর্থদান করে।” (সূরা তাওবা ৫৪ আয়াত)
সুতরাং যদি কেউ রোযা রাখে এবং নামায না পড়ে, তাহলে তাঁর রোযা বাতিল ও অশুদ্ধ। আল্লাহ্র নিকট তা কোন উপকারে আসবে না এবং তা তাকে আল্লাহ্র সান্নিধ্য দান করেতেও পারবে না।
আর আর তাঁর অমূলক ধারনা যে, “এক রমযান থেকে অপর রমযান মধ্যবর্তী পাঁচ ওয়াক্ত নামায, জুমআহ থেকে জুমআহ এবং রমযান থেকে রমযান; এর মধ্যবর্তী সকল গোনাহকে মোচন করে দেয়--- যতক্ষণ পর্যন্ত কাবীরা গোনাহসমূহ থেকে দূরে থাকা হয়।” (মুসলিম, মিশকাত ৫৬৪ নং)
সুতরাং রমযান থেকে রমযানের মধ্যবর্তী পাপসমূহ মোচন হওয়ার জন্য মহানবী (সঃ) শর্তারোপ করেছেন যে, কাবীরা গোনাহসমূহ থেকে দূরে থাকতে হবে। কিন্তু সে তো নামাযই পড়ে না, আর রোযা রাখে। যাতে সে কাবীরা গোনাহ থেকে দূরে থাকতে পারে না। যেহেতু নামায ত্যাগ করার চেয়ে অধিক বড় কাবীরা গোনাহর কাজ আর কি আছে? বরং নামায ত্যাগ করা তো কুফরী। তাহলে কি করে সম্ভব যে, রোযা তাঁর পাপ মোচন করবে?
সুতরাং নিজ প্রভুর কাছে তাঁর জন্য তওবা (অনুশোচনার সাথে প্রত্যাবর্তন) করা ওয়াজেব। আল্লাহ যে তাঁর উপর নামায ফরয করেছেন, তা পালন করে তারপর রোযা রাখা উচিৎ। যেহেতু নবী (সঃ) মু'আয (রাঃ) কে ইয়ামান প্রেরণকালে বলেছিলেন, “ওদেরকে তোমার প্রথম দাওয়াত যেন ‘আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ তাঁর রাসুল’- এই সাক্ষ্যদানের প্রতি হয়। যদি ওরা তা তোমার নিকট থেকে গ্রহণ করে, তবে তাঁদেরকে জানিয়ে দাও যে, আল্লাহ ওদের উপর প্রত্যেক দিবা রাত্রে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন।” অতএব দুই সাক্ষ্যদানের পর নামায, অতঃপর যাকাত দিয়ে (দাওয়াত) শুরু করেছেন। (ইবনে উষাইমীন)
নিকৃষ্ট মানুষ সে, যে নিজ প্রভুকে কেবল রমযানে চেনে ও স্মরণ করে, বাকী এগারো মাস ভুলে থাকে! অথচ সে এক মাসের চেনা তাঁদের কোন কাজে লাগবে না। (লাজনাহ দায়েমাহ)
রোযাদারদের জন্য এমন দেশে সফর করে রোযা রাখা বৈধ, যেখানকার দিন ঠাণ্ডা ও ছোট।
এ সমস্যা যদি চির সমস্যা হয়, অর্থাৎ পড়ে কাযাও করতে না পারা যায়, তাহলে প্রত্যেক রোযার বিনিময়ে একটি করে মিসকীন খাওয়াতে হবে। মহান আল্লাহ, “(রোযা) নির্দিষ্ট কয়েক দিনের জন্য। তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে বা সফর অবস্থায় থাকলে অন্য দিনে এ সংখ্যা পূরণ করে নেব। আর যার রোযা রাখার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও রোযা রাখতে চায় না (যারা রোযা রাখতে অক্ষম), তাঁরা এর পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্য দান করবে।” (বাক্বারাহঃ ১৮৪)
এ মর্মে একটি হাদীস বর্ণিত আছে, যা সহীহ নয়। ২৬০ (সিঃ যয়ীফাহ ৪৩ নং)