ঝাড়ফুঁক করা অ করানো বৈধ। তবে তা কুরআনের আয়াত অথবা সহিহ হাদিসের দুয়া দ্বারা হতে হবে। সেই সাথে এ বিশ্বাস দৃঢ় রাখতে হবে যে, আরোগ্যদাতা কেবল মহান আল্লাহ।
নবী (সঃ) আপন পরিবারের কোন রোগী দর্শন করার সময় নিজের ডান হাত তার ব্যথার স্থানে ফিরাতেন এবং এ দুয়াটি পরতেন, “আযহিবিল বা’স, রাব্বানা-স, ইসফি আন্তাস শা- ফী, লা সিফা-আ ইল্লা সিফ-উক, সিফা-আল লা য়্যুগা-দিরু সাকামা।” অর্থাৎ, হয়ে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক! তুমি কষ্ট দুর কর এবং আরোগ্য দান কর। (যেহেতু) তুমি রোগ আরোগ্যকারী। তোমারই আরোগ্য দান হচ্ছে প্রকৃত আরোগ্য দান। তুমি এমন ভাবে রোগ নিরাময় কর, যে তা রোগকে নির্মূল করে দেয়। (বুখারি ও মুসলিম)
উসমান ইবনে আবুল আ’স (রঃ) রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর নিকট ঐ ব্যথার অভিযোগ করলেন, যা তিনি তার দেহে অনুভব করছিলেন। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সঃ) তাকে বললেন, “তুমি তোমার দেহের ব্যথিত স্থানে হাত রেখে তিনবার ‘বিসমিল্লাহ’ এবং সাতবার ‘আউযু বিইযযাতিল্লাহি অকদরাতিহি মিন সাররি মা আজিদু অউহাযিরু’ বল।” অর্থাৎ আল্লাহর ইজ্জত এবং কুদরতের আশ্রয় গ্রহণ করছি, সেই মন্দ থেকে যা আমি পাচ্ছি এবং যা থেকে আমি ভয় করছি। (মুসলিম)
উক্ত হাদিস দ্বয় থেকে বুঝা যায় যে, ব্যথার স্থানে হাত রেখে ঝাড়ফুঁক করা বিধেয়। তবে সতর্কতার বিষয় যে, যে মহিলাকে স্পর্শ করা বৈধ নয়, সে মহিলার ব্যথার জায়গায় হাত রাখাও বৈধ নয়।