দ্বীনী ইলম ও আমলের কোন কাজ দুনিয়া লাভের জন্য করা বৈধ নয়। যেহেতু আল্লাহর রাসুল (সঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি এমন কোন ইলম অনুসন্ধান করে যার দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়, ওই ইলম যদি কোন পার্থিব বিষয় লাভের উদ্দেশ্যেই শিক্ষা করে থাকে, তবে সে কিয়ামতের দিন বেহেশতর সুগন্ধ টুকুও পাবে না।” (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, ইবনে হিব্বান, হাকেম, সহিহ তারগিব ৯৯ নং)
তবুও পেটের জন্য অর্থের প্রয়োজন আছে। সুতরাং আসল নিয়ত দাওয়াতের রেখে প্রয়োজন মতো অর্থ নেওয়া দূষণীয় নয়। সত্য কথা এই যে, আল্লাহর তওফিকের পর যদি অর্থ না হত, তাহলে দাওয়াতের কাজে অগ্রগতি সহজ ছিল না। সুতরাং দ্বীনের দাঈ অর্থের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারলে দাওয়াতের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারবে। দাওয়াতের পথে অর্থ ব্যয় করতে পারলে দাওয়াত বড় ফলপ্রসূ হবে। তবে নিজ থেকে রেট বাঁধা ঠিক নয়।
উমার (রঃ) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সঃ) আমাকে দান দিতেন। কিন্তু আমি বলতাম, ‘আমার থেকে বেশী অভাবী মানুষকে দিন।’ তিনি বলতে, “তুমি তা নিয়ে নাও। যখন তোমার কাছে এই মাল আসে, আর তোমার মনে লোভ না থাকে এবং তুমি তা যাচ্ঞা না করে থাক, তাহলে তা গ্রহণ কর এবং তা নিজের মালের সাথে মিলিয়ে নাও। অতঃপর তোমরা ইচ্ছা হলে তা খাও, নতুবা দান করে দাও। এ ছাড়া তোমার মনকে তাতে ফেলে রেখো না।”
সালেম বিন আব্দুল্লাহ বিন উমার বলেন, ‘এ কারণেই (আমার আব্বা) আব্দুল্লাহ কারো কাছে কিছু চাইতেন না এবং তাঁকে কেউ কিছু দিতে চাইলে তা প্রত্যাখ্যান করতেন না। (বরং গ্রহণ করে নিতেন) (বুখারি, মুসলিম, নাসাই, সহিহ তারগিব ৫১০ পৃঃ )