রসিকতা যদি বাস্তব বা সত্য কথার মধ্যে হয় এবং তাতে অশ্লিনতা না থাকে, তাহলে দূষণীয় নয়। যেহেতু মহানবী (সঃ) এমন রসিকতা করেছেন। যেমন, আবু উমাইর নামক এক শিশুর খেলনা পাখী (নুগাইর) মারা গেলে সে দুঃখিত হয়। তা দেখে তিনি তাকে খোস করার জন্য মস্কারা করে বললেন, “এই যে উমাইর, কি করেছে নুগাইর?” (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত ৪৮৮৪ নং)
একদা এক ব্যক্তি তাঁর নিকট সওয়ারি উট চাইলে তিনি বললেন, “ তোমাকে একটি উটিনীর বাচ্চা দেব।” লোকটি বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল ! বাচ্চা নিয়ে কি করব?’ তিনি বললেন, “ উটনি ছাড়া উট কি আর কেউ জন্ম দেয়?” (অর্থাৎ সব উটই তো তাঁর মায়ের বাচ্চা)। (আবু দাউদ, তিরমিজি, মিশকাত ৪৮৮৬ নং)
একদা এক বৃদ্ধা এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আপনি দুয়া করে দিন যাতে আল্লাহ আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করান।’ তিনি মস্কারা করে বললেন, “বৃদ্ধারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” তা শুনে বৃদ্ধা কাঁদতে কাঁদতে প্রস্থান করলেন। তিনি সাহাবাদের বললেন, “ওকে বলে দাও যে, বৃদ্ধাবস্থায় ও জান্নাতে যাবে না।” (বরং যুবতী হয়ে যাবে)
পক্ষান্তরে মিথ্যা কথা বানিয়ে বলে হাস্য রসিকতা করা হারাম। রাসুল (সঃ) বলেছেন, “সর্বনাশ সেই ব্যক্তির , যে লোককে হাসাবার উদ্দেশ্যে মিথ্যা বলে। তাঁর জন্য সর্বনাশ, তাঁর জন্য সর্বনাশ।” (সহিহুল জামে ৭০১৩ নং)