যা কিছু রয়েছে আসমানসমূহে এবং যা কিছু রয়েছে যমীনে, সবই আল্লাহর জন্য পবিত্রতা ঘোষণা করে। বাদশাহী তাঁরই এবং প্রশংসা তাঁরই। তিনি সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান। আল-বায়ান
যা কিছু আসমানে আছে আর যা কিছু যমীনে আছে সবই আল্লাহর প্রশংসা ও মহিমা ঘোষণা করছে। রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা তাঁরই, আর তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। তাইসিরুল
আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবাই তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে, সার্বভৌমত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা তাঁরই; তিনি সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান। মুজিবুর রহমান
Whatever is in the heavens and whatever is on the earth is exalting Allah. To Him belongs dominion, and to Him belongs [all] praise, and He is over all things competent. Sahih International
১. আসমানসমূহে যা কিছু আছে এবং যমীনে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছে, আধিপত্য তারই এবং প্রশংসা তারই; আর তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১) আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে, [1] সার্বভৌমত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা তাঁরই, [2] তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।
[1] অর্থাৎ, আসমান ও যমীনে বিদ্যমান সকল সৃষ্টিকুল মহান আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করে; অবস্থার ভাষায় এবং মুখের ভাষাতেও। এ কথা পূর্বেও উল্লিখিত হয়েছে।
[2] অর্থাৎ, এই উভয় বৈশিষ্ট্যই কেবল তাঁরই জন্য। যদি কারো কোন এখতিয়ার থাকে, তবে তা তাঁরই প্রদত্ত এবং তা ক্ষণস্থায়ী। কেউ যদি কোন সৌন্দর্য ও পূর্ণতা লাভ করে থাকে, তবে তাও তাঁরই করুণার ভান্ডার থেকে অনুগ্রহ স্বরূপ লাভ করে। কাজেই প্রকৃতপক্ষে প্রশংসা পাওয়ার অধিকারী একমাত্র তিনিই।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানতিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তোমাদের মধ্যে কতক কাফির এবং কতক মু’মিন। আর তোমরা যে আমল করছ আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা। আল-বায়ান
তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউ কাফির, কেউ মু’মিন; তোমরা যা কর আল্লাহ তা দেখেন। তাইসিরুল
তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেহ হয় কাফির এবং কেহ মু’মিন। তোমরা যা কর আল্লাহ সম্যক দ্রষ্টা। মুজিবুর রহমান
It is He who created you, and among you is the disbeliever, and among you is the believer. And Allah, of what you do, is Seeing. Sahih International
২. তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউ হয় কাফির এবং তোমাদের মধ্যে কেউ হয় মুমিন।(১) আর তোমরা যে আমল করা আল্লাহ্ তার সম্যক দ্রষ্টা।
(১) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রতিটি মানুষই সেটার উপরই পুনরুত্থিত হবে, যার উপর তার মৃত্যু হয়। [মুস্তাদরাকে হাকিম: ২/৪৯০]
তাফসীরে জাকারিয়া(২) তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউ হয় অবিশ্বাসী এবং কেউ বিশ্বাসী। আর তোমরা যা কর, আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা। [1]
[1] অর্থাৎ, মানুষের জন্য ভাল-মন্দ, নেকী-বদী এবং কুফরী ও ঈমানের রাস্তাসমূহ পরিক্ককার বাতলে দেওয়ার পর মহান আল্লাহ মানুষকে ইচ্ছা ও এখতিয়ারের যে স্বাধীনতা দিয়েছেন, তারই ভিত্তিতে কেউ কুফরী এবং কেউ ঈমানের পথ অবলম্বন করেছে। তিনি কাউকে কোন কিছুর উপর বাধ্য করেননি। তিনি বাধ্য করলে, কোন ব্যক্তি কুফরী ও অবাধ্যতার রাস্তা অবলম্বন করতে সক্ষম হত না। কিন্তু এইভাবে মানুষকে পরীক্ষা করা সম্ভব হত না। অথচ আল্লাহ তাআলার ইচ্ছা হল মানুষকে পরীক্ষা করা। الَّذِي خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا (الملك: ২) অতএব যেমন কাফেরের স্রষ্টা আল্লাহ, তেমনি কুফরীর স্রষ্টাও তিনিই। কিন্তু এই কুফরী এই কাফেরের নিজের উপার্জিত। সে স্বেচ্ছায় তা অবলম্বন করেছে। অনুরূপ মু’মিন ও ঈমানের স্রষ্টা আল্লাহই, কিন্তু ঈমান এই মু’মিনের নিজের উপার্জন করা জিনিস। সে স্বেচ্ছায় এটা অবলম্বন করছে। আর এই উপার্জনের ভিত্তিতে উভয়কেই তাদের আমল অনুযায়ী বদলাও দেওয়া হবে। কারণ, তিনি সবারই আমল দেখছেন।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানতিনি আসমানসমূহ ও যমীনকে যথার্থভাবে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদেরকে আকৃতি দান করেছেন এবং সুন্দর করেছেন তোমাদের আকৃতি। আর প্রত্যাবর্তন তো তাঁরই নিকট। আল-বায়ান
তিনি (বিশেষ উদ্দেশে) সত্যিকারভাবে আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন, তিনি তোমাদেরকে আকৃতি দিয়েছেন, অতঃপর তোমাদের আকৃতি সুন্দর করেছেন আর (সব্বাইকে) ফিরে যেতে হবে তাঁরই দিকে। তাইসিরুল
তিনি সৃষ্টি করেছেন আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী যথাযথভাবে এবং তোমাদেরকে আকৃতি দান করেছেন। তোমাদের আকৃতি করেছেন সুশোভন এবং প্রত্যাবর্তনতো তাঁরই নিকট। মুজিবুর রহমান
He created the heavens and earth in truth and formed you and perfected your forms; and to Him is the [final] destination. Sahih International
৩. তিনি সৃষ্টি করেছেন আসমানসমূহ ও যমীন যথাযথভাবে এবং তোমাদেরকে আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর তোমাদের আকৃতি করেছেন সুশোভন।(১) আর যাওয়া তো তারই কাছে।
(১) যেমন অন্য আয়াতে এসেছে, “হে মানুষ! কিসে তোমাকে তোমার মহান রব সম্পর্কে বিভ্রান্ত করল? যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাকে সুঠাম করেছেন এবং সুসামঞ্জস্য করেছেন, যে আকৃতিতে চেয়েছেন, তিনি তোমাকে গঠন করেছেন।” [সূরা আল-ইনফিতার: ৬–৮]
তাফসীরে জাকারিয়া(৩) তিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী যথাযথভাবে সৃষ্টি করেছেন।[1] তিনি তোমাদেরকে আকৃতি দান করেছেন এবং তোমাদের আকৃতি সুন্দর করেছেন। [2] আর প্রত্যাবর্তন তো তাঁরই নিকট। [3]
[1] অর্থাৎ, তা তিনি অযথা সৃষ্টি করেননি। বরং এর সৃষ্টির পিছনে ন্যায়পরায়ণতা ও যুক্তি আছে। আর তার দাবী হল, নেককারকে তার নেকীর এবং বদকারকে তার বদীর বদলা দেওয়া হোক। সুতরাং তিনি এই ন্যায়পরায়ণতার (দাবীর) পরিপূর্ণ প্রকাশ ঘটাবেন কিয়ামতের দিন।
[2] তোমাদের আকৃতি, শারীরিক গঠন এবং চেহারার আকৃতি এত সুন্দর বানিয়েছেন যে, আল্লাহর অন্য সৃষ্টিকুল এ থেকে বঞ্চিত। যেমন, সূরা ইনফিত্বার ৬-৮ এবং সূরা মু’মিন ৬৪ আয়াতে আল্লাহ বলেছেন,
يَا أَيُّهَا الْأِنْسَانُ مَا غَرَّكَ بِرَبِّكَ الْكَرِيمِ * الَّذِي خَلَقَكَ فَسَوَّاكَ فَعَدَلَكَ* فِي أَيِّ صُورَةٍ مَا شَاءَ رَكَّبَكَ (الانفطار:৬-৮) وَصَوَّرَكُمْ فَأَحْسَنَ صُوَرَكُمْ وَرَزَقَكُمْ مِنَ الطَّيِّبَاتِ (المؤمن: ৬৪)
[3] অন্য কারো কাছে নয় যে, আল্লাহর পাকড়াও ও হিসাব-নিকাশ হতে বেঁচে যাবে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানআসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে তিনি তা জানেন এবং তিনি জানেন যা তোমরা গোপন কর এবং যা তোমরা প্রকাশ কর। আল্লাহ অন্তরসমূহে যা কিছু আছে সে বিষয়ে সম্যক জ্ঞাত। আল-বায়ান
তিনি জানেন যা কিছু আসমান ও যমীনে আছে, আর তিনি জানেন যা তোমরা গোপন কর আর প্রকাশ কর। অন্তরের বিষয়াদি সম্পর্কে তিনি পূর্ণরূপে অবগত। তাইসিরুল
আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই তিনি জানেন, তোমরা যা গোপন কর ও তোমরা যা প্রকাশ কর এবং তিনি অন্তর্যামী। মুজিবুর রহমান
He knows what is within the heavens and earth and knows what you conceal and what you declare. And Allah is Knowing of that within the breasts. Sahih International
৪. আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে সমস্তই তিনি জানেন এবং তিনি জানেন তোমরা যা গোপন কর ও তোমরা যা প্রকাশ কর। আর আল্লাহ অন্তরসমূহে যা কিছু আছে সে সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানী।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৪) আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সবই তিনি জানেন। তিনি জানেন তোমরা যা গোপন কর ও তোমরা যা প্রকাশ কর এবং আল্লাহ অন্তর্যামী। [1]
[1] অর্থাৎ, তাঁর জ্ঞান আসমান ও যমীনে সারা বিশ্বেই পরিব্যাপ্ত। বরং তোমাদের অন্তরের গোপনীয় বিষয় সম্পর্কেও তিনি সম্যক অবগত। ইতিপূর্বে যেসব প্রতিশ্রুতি ও ধমকের কথা বর্ণিত হয়েছে এটা হচ্ছে তারই তাকীদ স্বরূপ।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানইতঃপূর্বে যারা কুফরী করেছে, তাদের সংবাদ কি তোমাদের নিকট পৌঁছেনি। তারা তাদের কর্মের মন্দ পরিণাম আস্বাদন করেছিল এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব। আল-বায়ান
ইতোপূর্বে যারা কুফরী করেছিল তাদের খবর কি তোমার কাছে পৌঁছেছে? তারা তাদের মন্দ কর্মের ফল আস্বাদন করেছে, আর তাদের জন্য আছে মর্মান্তিক ‘আযাব। তাইসিরুল
তোমাদের নিকট কি পৌঁছেনি পূর্ববর্তী কাফিরদের বৃত্তান্ত? তারা তাদের কর্মের মন্দফল আস্বাদন করেছিল এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। মুজিবুর রহমান
Has there not come to you the news of those who disbelieved before? So they tasted the bad consequence of their affair, and they will have a painful punishment. Sahih International
৫. ইতোপূর্বে যারা কুফরী করেছে তাদের বৃত্তান্ত কি তোমাদের কাছে পৌঁছেনি? অতঃপর তারা তাদের কাজের মন্দ ফল আস্বাদন করেছিল। আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৫) তোমাদের নিকট কি পূর্ববর্তী অবিশ্বাসীদের বৃত্তান্ত পৌঁছেনি? তারা তাদের কর্মের মন্দফল আস্বাদন করেছিল[1] এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। [2]
[1] এখানে বিশেষ করে মক্কাবাসী এবং সাধারণভাবে আরবের কাফেরদেরকে সম্বোধন করা হয়েছে। আর পূর্বের কাফের বলতে নূহ (আঃ)-এর জাতি, আ’দ সম্প্রদায় এবং সামুদ সম্প্রদায় ইত্যাদিকে বুঝানো হয়েছে। যাদেরকে তাদের কুফরী ও অবাধ্যতার কারণে দুনিয়াতে আযাব দিয়ে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়েছে।
[2] অর্থাৎ, দুনিয়ার আযাব ছাড়াও আখেরাতের আযাবও তাদের জন্য প্রস্তুত আছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানএটি এ জন্য যে, তাদের রাসূলগণ তাদের নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী নিয়ে আসত, অথচ তারা বলত, মানুষই কি আমাদের পথ প্রদর্শন করবে? অতঃপর তারা কুফরী করল এবং মুখ ফিরিয়ে নিল। আর আল্লাহ বে-পরওয়াই দেখালেন এবং আল্লাহ অভাবমুক্ত পরম, প্রশংসিত। আল-বায়ান
এর কারণ এই যে, তাদের কাছে তাদের রসূলগণ স্পষ্ট নিদর্শনসহ এসেছিল, তখন তারা বলেছিল, ‘(আমাদের মতই) মানুষ কি আমাদেরকে সঠিক পথ দেখাবে?’ কাজেই তারা অস্বীকার করল আর মুখ ফিরিয়ে নিল। তখন আল্লাহও তাদের ব্যাপারে বেপরোয়া হয়ে গেলেন, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, প্রশংসিত। তাইসিরুল
তা এ জন্য যে, তাদের নিকট যখন তাদের রাসূলগণ স্পষ্ট নিদর্শনসহ আসতো তখন তারা বলতঃ মানুষই কি আমাদের পথের সন্ধান দিবে? অতঃপর তারা কুফরী করল ও মুখ ফিরিয়ে নিল; কিন্তু এতে আল্লাহর কিছু আসে যায়না। আল্লাহ অভাবমুক্ত, প্রশংসা। মুজিবুর রহমান
That is because their messengers used to come to them with clear evidences, but they said, "Shall human beings guide us?" and disbelieved and turned away. And Allah dispensed [with them]; and Allah is Free of need and Praiseworthy. Sahih International
৬. তা এজন্য যে, তাদের কাছে তাদের রাসূলগন সুস্পষ্ট প্রমাণাদিসহ আসত তখন তারা বলত, মানুষই কি আমাদের পথের সন্ধান দেবে? অতঃপর তারা কুফরী করল ও মুখ ফিরিয়ে নিল। আল্লাহ্ও (তাদের ঈমানের ব্যাপারে) ভ্রুক্ষেপহীন হলেন; আর আল্লাহ্ অভাবমুক্ত, সপ্রশংসিত।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৬) তা এ জন্য যে,[1] তাদের নিকট তাদের রসূলগণ স্পষ্ট নিদর্শনাবলীসহ আসত, তখন তারা বলত, ‘মানুষই কি আমাদেরকে পথের সন্ধান দেবে?’[2] অতঃপর তারা অবিশ্বাস করল[3] ও মুখ ফিরিয়ে নিল[4] এবং আল্লাহও কোন পরোয়া করলেন না।[5] আর আল্লাহ অভাবমুক্ত, [6] প্রশংসার্হ। [7]
[1] ذَلِكَ এ থেকে ইঙ্গিত হল সেই আযাবের প্রতি যা দুনিয়াতে তারা পেয়েছে। আর আখেরাতেও তা পাবে।
[2] এটা হল তাদের কুফরী করার কারণ। তারা এই কুফরী যা তাদের ইহকাল ও পরকালের আযাবের কারণ হয়ে দাঁড়াল তা এই জন্য অবলম্বন করেছিল যে, তারা একজন মানুষকে তাদের পথপ্রদর্শক মানতে অস্বীকার করল। অর্থাৎ, একজন মানুষের রসূল হয়ে লোকদের হিদায়াত ও পথপ্রদর্শনের জন্য আসার ব্যাপারটা তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না। যেমন, আজও বিদআতীদের কাছে রসূলকে মানুষ মনে করা বড়ই কষ্টকর মনে হয়। هَدَاهُمُ اللهُ تَعَالَى।
[3] সুতরাং উক্ত কারণে তারা রসূলদেরকে ‘রসূল’ বলে মেনে নিতে এবং তাঁদের উপর ঈমান আনতে অস্বীকার করল।
[4] অর্থাৎ, তাঁদের নিকট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল এবং যে দাওয়াত তাঁরা পেশ করতেন, সে ব্যাপারে তারা ভাবনা-চিন্তা করেও দেখল না।
[5] অর্থাৎ, তাদের ঈমান ও ইবাদতের।
[6] কারো ইবাদতে তাঁর লাভ কি এবং কেউ তাঁর ইবাদত না করলে তাঁর ক্ষতিই বা কি?
[7] অর্থাৎ, তিনি সকল সৃষ্টির কাছে প্রশংসনীয়। অর্থাৎ, সকল সৃষ্টিকুলের জবান সদা-সর্বদা তাঁর প্রশংসায় সিক্ত থাকে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানকাফিররা ধারণা করেছিল যে, তারা কখনোই পুনরুত্থিত হবে না। বল, ‘হ্যাঁ, আমার রবের কসম, তোমরা অবশ্যই পুনরুত্থিত হবে। অতঃপর তোমরা যা আমল করেছিলে তা অবশ্যই তোমাদের জানানো হবে। আর এটি আল্লাহর পক্ষে খুবই সহজ। আল-বায়ান
কাফিররা ধারণা করে যে, তাদেরকে কক্ষনো আবার জীবিত করে উঠানো হবে না। বল, নিশ্চয়ই (উঠানো) হবে, আমার প্রতিপালকের শপথ! তোমাদেরকে অবশ্য অবশ্যই আবার জীবিত করে উঠানো হবে, অতঃপর তোমাদেরকে অবশ্য অবশ্যই জানিয়ে দেয়া হবে তোমরা (দুনিয়ায়) কী কাজ করেছ। এ কাজ (করা) আল্লাহর জন্য খুবই সহজ। তাইসিরুল
কাফিরেরা দাবী করে যে, তারা কখনও পুনরুত্থিত হবেনা। বলঃ নিশ্চয়ই হবে, আমার রবের শপথ! তোমরা অবশ্যই পুনরুত্থিত হবে। অতঃপর তোমরা যা করতে তোমাদের সেই সম্বন্ধে অবশ্যই অবহিত করা হবে। এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ। মুজিবুর রহমান
Those who disbelieve have claimed that they will never be resurrected. Say, "Yes, by my Lord, you will surely be resurrected; then you will surely be informed of what you did. And that, for Allah, is easy." Sahih International
৭. কাফিররা ধারণা করে যে, তাদেরকে কখনো পুনরুত্থিত করা হবে না। বলুন, অবশ্যই হ্যাঁ, আমার রবের শপথ! তোমাদেরকে অবশ্যই পুনরুত্থিত করা হবে। তারপর তোমরা যা করতে সে সম্বন্ধে তোমাদেরকে অবশ্যই অবহিত করা হবে। আর এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৭) অবিশ্বাসীরা ধারণা করে যে, তারা কখনোই পুনরুত্থিত হবে না।[1] তুমি বল, ‘অবশ্যই হবে, আমার প্রতিপালকের কসম! তোমরা অবশ্য-অবশ্যই পুনরুত্থিত হবে।[2] অতঃপর তোমরা যা করতে তোমাদেরকে সে সম্বন্ধে অবশ্যই অবহিত করা হবে।[3] আর এটা আল্লাহর পক্ষে অতি সহজ।’ [4]
[1] অর্থাৎ, এই বিশ্বাস রাখে যে, কিয়ামতের দিন তাদেরকে পুনরায় জীবিত করা হবে না। এটা কাফেরদের কেবল ধারণা ছিল। যে ধারণার পিছনে তাদের কোন দলীল নেই। ধারণা শব্দের প্রয়োগ মিথ্যার উপরেও হয়ে থাকে।
[2] কুরআন মাজীদের তিন জায়গায় মহান আল্লাহ তাঁর রসূলকে এই নির্দেশ দিয়েছেন যে, তুমি তোমার প্রতিপালকের কসম খেয়ে ঘোষণা দাও যে, মহান আল্লাহ অবশ্যই তোমাদেরকে পুনর্জীবিত করবেন। তার মধ্যে একটি জায়গা হল এই আয়াতে। দ্বিতীয়টি হল সূরা ইউনুসের ৫৩ নং আয়াতে এবং তৃতীয়টি হল, সূরা সাবার ৩নং আয়াতে।
[3] এটা হল কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার যৌক্তিকতা। অর্থাৎ, মহান আল্লাহ মানুষকে পুনরায় জীবিত এই জন্য করবেন যে, যাতে সেখানে প্রত্যেককে তার কৃতকর্মের বদলা দেওয়া যায়। কেননা, দুনিয়াতে আমরা দেখি যে, এই বদলা পূর্ণরূপে পাওয়া যায় না। না নেককার পায়, না বদকার। এখন কিয়ামতেও যদি পূর্ণ প্রতিদানের কোন ব্যবস্থা না থাকে, তবে দুনিয়া খেলোয়াড়দের খেলার স্থান এবং একটি অনর্থক জিনিসই বিবেচিত হবে। অথচ মহান আল্লাহর সত্তা এ সব থেকে অনেক ঊর্ধ্বে। তাঁর তো কোন কাজই অনর্থক নয়। তাহলে জ্বিন ও ইনসানের সৃষ্টি বিনা উদ্দেশ্যে কেবল এক প্রকার খেল-তামাশা কিভাবে হতে পারে? تَعَالَى اللهُ عَنْ ذَلِكَ عُلُوًّا كَبِيْرًا
[4] এই দ্বিতীয়বার জীবিত করা মানুষদের কাছে যতই কঠিন অথবা অসম্ভব মনে হোক না কেন, আল্লাহর কাছে তা অতি সহজ ব্যাপার।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানঅতএব তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের এবং আমি যে নূর অবতীর্ণ করেছি তার প্রতি ঈমান আন। আর তোমরা যে আমল করছ আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত। আল-বায়ান
কাজেই (এ অবস্থার কথা চিন্তা ক’রে) তোমরা ঈমান আনো আল্লাহর প্রতি ও তাঁর রসূলের প্রতি আর সেই নূর (কুরআন)-এর প্রতি যা আমি অবতীর্ণ করেছি। তোমরা যা কর সে ব্যাপারে আল্লাহ পুরোপুরি অবগত। তাইসিরুল
অতএব তোমরা আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও যে জ্যোতি আমি অবতীর্ণ করেছি তাতে বিশ্বাস স্থাপন কর। তোমাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত। মুজিবুর রহমান
So believe in Allah and His Messenger and the Qur'an which We have sent down. And Allah is Acquainted with what you do. Sahih International
৮. অতএব তোমরা আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও যে নূর আমরা নাযিল করেছি তাতে ঈমান আন(১)। আর তোমাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে আল্লাহ্ সবিশেষ অবহিত।
(১) এখানে নূর বা জ্যোতি বলে কুরআনকে বোঝানো হয়েছে। [কুরতুবী]
তাফসীরে জাকারিয়া(৮) অতএব[1] তোমরা আল্লাহ, তাঁর রসূল ও যে জ্যোতি আমি অবতীর্ণ করেছি, তাতে বিশ্বাস স্থাপন কর।[2] তোমাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত।
[1] فَآمِنُوا তে ‘ফা’ অক্ষরটিকে বলা হয় ‘ফা ফাসীহাহ’ (যার অর্থঃ অতএব, সুতরাং, তাহলে) যা প্রমাণ করছে যে, এর পূর্বে কোন শর্ত ঊহ্য আছে। অর্থাৎ, ব্যাপার যখন এই রকমই যা বর্ণিত হয়েছে, সুতরাং তোমরা আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের উপর ঈমান আন এবং তাঁকে সত্য বলে মানো।
[2] নবী (সাঃ)-এর সাথে যে নূর অবতীর্ণ করা হয়েছে, তা হল এই কুরআন মাজীদ। যার দ্বারা ভ্রষ্টতার অন্ধকার দূরীভূত হয় এবং ঈমানের জ্যোতি বিচ্ছুরিত হয়।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানস্মরণ কর, যেদিন সমাবেশ দিবসের উদ্দেশ্যে আল্লাহ তোমাদের সমবেত করবেন, ঐ দিনই হচ্ছে লাভ-ক্ষতির দিন। আর যে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তিনি তার পাপসমূহ মোচন করে দিবেন এবং তাকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতসমূহে, যার পাদদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হয়, তথায় তারা স্থায়ী হবে। এটাই মহাসাফল্য। আল-বায়ান
যখন একত্র করার দিন তিনি তোমাদেরকে একত্রিত করবেন, সে দিনটি হবে তোমাদের হার জিতের দিন। যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে আর সৎ কাজ করবে, আল্লাহ তার পাপ মোচন করে দিবেন, আর তাকে জান্নাতে দাখিল করবেন যার নীচ দিয়ে নির্ঝরিণী প্রবাহিত। সেখানে তারা থাকবে চিরকাল সর্বকাল। এটাই মহা সাফল্য। তাইসিরুল
স্মরণ কর, যেদিন তিনি তোমাদেরকে সমবেত করবেন সমাবেশ দিনে, সেদিন হবে লাভ লোকসানের দিন। যে ব্যক্তি আল্লাহয় বিশ্বাস করে ও সৎ কাজ করে তিনি তার পাপ মোচন করবেন এবং তাকে দাখিল করবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা হবে চিরস্থায়ী। এটাই মহা সাফল্য। মুজিবুর রহমান
The Day He will assemble you for the Day of Assembly - that is the Day of Deprivation. And whoever believes in Allah and does righteousness - He will remove from him his misdeeds and admit him to gardens beneath which rivers flow, wherein they will abide forever. That is the great attainment. Sahih International
৯. স্মরণ করুন, যেদিন তিনি তোমাদেরকে সমবেত করবেন সমাবেশ দিনে সেদিন হবে লোকসানের দিন।(১) আর যে আল্লাহর উপর ঈমান রাখে এবং সৎকাজ করে তিনি তার পাপসমূহ মোচন করবেন এবং তাকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতসমূহে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা হবে চিরস্থায়ী। এটাই মহাসাফল্য।
(১) যেদিন আল্লাহ তোমাদেরকে একত্রিত করবেন একত্রিত করার দিবসে। এই দিনটি হবে লোকসানের। (لِيَوْمِ الْجَمْعِ) বা একত্রিত হওয়ার দিবস ও (يَوْمُ التَّغَابُنِ) লোকসানের দিবস- এই উভয়টি কেয়ামতের নাম। একত্রিত হওয়ার দিন এ কারণে যে, সেদিন পূৰ্ববতী ও পরবর্তী সকল জিন এবং মানবকে হিসাব-নিকাশের জন্যে একত্রিত করা হবে। [ইবন কাসীর] পক্ষান্তরে التَّغَابُن শব্দটি غبن থেকে উৎপন্ন। এর অর্থ লোকসান। আর্থিক লোকসান এবং মত ও বুদ্ধির লোকসান উভয়কে غبن বলা হয়। تَغَابُن শব্দটি আভিধানিক দিক দিয়ে দুই তরফা কাজের জন্যে বলা হয়, অর্থাৎ একজন অন্যজনের এবং অন্যজন তার লোকসান করবে, অথবা তার লোকসান প্রকাশ করবে।
হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “যে ব্যক্তির কাছে কারও কোন পাওনা থাকে, তার উচিত দুনিয়াতেই তা পরিশোধ করে অথবা মাফ করিয়ে নিয়ে মুক্ত হয়ে যাওয়া। নতুবা কেয়ামতের দিন দিরহাম ও দীনার থাকবে না। কারও কোন দাবি থাকলে তা সে ব্যক্তির সৎকর্ম দিয়ে পরিশোধ করা হবে। সৎকর্ম শেষ হয়ে গেলে পাওনাদারের গোনাহ প্রাপ্য পরিমাণে তার ওপর চাপিয়ে দেয়া হবে।” [বুখারী: ২৪৪৯]
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা ও অন্যান্য তফসীরবিদ কেয়ামতকে লোকসানের দিবস বলার উপরোক্ত কারণই বর্ণনা করেছেন। আবার অনেকের মতে সেদিন কেবল কাফের, পাপাচারী ও হতভাগাই লোকসান অনুভব করবে না; বরং সৎকর্মপরায়ণ মুমিনগণও এভাবে লোকসান অনুভব করবে যে, হায়! আমরা যদি আরও বেশি সৎকর্ম করতাম, তবে জান্নাতের সুউচ্চ মর্তবা লাভ করতাম। সেদিন প্রত্যেকেই জীবনের সেই সময়ের জন্যে পরিতাপ করবে; যা অযথা ব্যয় করেছে। হাদীসে আছে, “যে ব্যক্তি কোন মজলিসে বসে এবং সমগ্র মজলিসে আল্লাহকে স্মরণ না করে, কেয়ামতের দিন সেই মজলিস তার জন্য পরিতাপের কারণ হবে।” [৪৮৫৮]
অন্য এক হাদীসে বলা হয়েছে, “কোন জান্নাতী জান্নাতে প্রবেশের পর তাকে জাহান্নামে তার জন্য যে জায়গা রাখা হয়েছিল তা দেখানো হবে। ফলে তার কৃতজ্ঞতা বেড়ে যাবে, পক্ষান্তরে কোন জাহান্নামী জাহান্নামে প্রবেশ করলে তাকে জান্নাতে তার জন্য যে স্থান ছিল তা দেখানো হবে, ফলে তার আফসোস বেড়ে যাবে।” [বুখারী: ৬৫৬৯]
তাফসীরে জাকারিয়া(৯) (স্মরণ কর,) যেদিন তিনি তোমাদেরকে সমবেত করবেন সমাবেশ দিবসে[1] সেদিন হবে হার-জিতের দিন।[2] যে ব্যক্তি আল্লাহকে বিশ্বাস করবে এবং সৎকর্ম করবে, তিনি তার পাপরাশি মোচন করবেন এবং তাকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার নিম্নদেশে নদীমালা প্রবাহিত, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে। এটাই মহা সাফল্য।
[1] কিয়ামতকে (সমাবেশ-দিবস বা একত্রিত হওয়ার দিন) এই কারণে বলা হয় যে, সেদিন পূর্বাপর সকলেই একই ময়দানে একত্রিত হবে। ফিরিশতা ডাক পাড়লে সকলেই তাঁর ডাকের শব্দ শুনতে পাবে। প্রত্যেকের দৃষ্টি শেষ পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। কেননা, মধ্যে কোন জিনিসের আড়াল থাকবে না। যেমন অন্যত্র বলেছেন, ذَلِكَ يَوْمٌ مَجْمُوعٌ لَهُ النَّاسُ وَذَلِكَ يَوْمٌمَشْهُودٌأَيْ: إِذَا كَانَ الأَمْرُ هَكَذَا فَصَدِّقُوْا بِاللهِ الجَمْع ‘‘এটা এমন একদিন, যেদিন সব মানুষই সমবেত হবে, সেদিনটি হাজিরের দিন।’’ (সূরা হুদ ১০৩ আয়াত) قُلْ إِنَّ الْأَوَّلِينَ وَالْآخِرِينَ* لَمَجْمُوعُونَ إِلَى مِيقَاتِ يَوْمٍ مَعْلُومٍ অর্থাৎ, বল, অবশ্যই পূর্ববর্তিগণ ও পরবর্তিগণ; সকলকে একত্রিত করা হবে এক নির্ধারিত দিনের নির্ধারিত সময়ে। (সূরা ওয়াক্বিআহ ৪৯-৫০ আয়াত)
[2] অর্থাৎ, একটি দল তো সাফল্য লাভ করবে আর একটি দল হবে ব্যর্থ। হকপন্থীরা বাতিলপন্থীদের উপর, ঈমানদাররা কাফেরদের উপর এবং আনুগত্যশীলরা অবাধ্যজনদের উপর জয়লাভ করবে। ঈমানদারদের সব থেকে বড় জিত এই হবে যে, তাঁরা জান্নাতে প্রবেশ করবেন এবং সেখানে সেই বাসস্থানগুলোও তাঁদের অধিকারে চলে আসবে, যেগুলো জাহান্নামীদের জন্য ছিল, যদি তারা জাহান্নামে যাওয়ার মত কাজ না করত। আর জাহান্নামীদের সব চেয়ে বড় হার হল, তাদের জাহান্নামে প্রবেশ করা। জাহান্নামীরা ভালকে মন্দ দ্বারা, উৎকৃষ্ট জিনিসকে নিকৃষ্ট জিনিস দ্বারা এবং নিয়ামতসমূহকে আযাব দ্বারা পরিবর্তন করে নিয়েছে। غَبن অর্থ নোকসান ও ক্ষতি। অর্থাৎ, নোকসানের দিন। সেদিন কাফেরদের তো নোকসানের অনুভূতি হবেই, ঈমানদাররাও এই দিক দিয়ে নোকসান অনুভব করবেন যে, তাঁরা আরো অধিক সৎকর্ম করে আরো বেশী মর্যাদা কেন অর্জন করলেন না।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানকিন্তু যারা কুফরী করে এবং আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করে তারাই জাহান্নামের অধিবাসী। তথায় তারা স্থায়ী হবে। আর তা কতইনা নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল। আল-বায়ান
আর যারা কুফুরী করে আর আমার নিদর্শনগুলোকে অস্বীকার করে, তারাই জাহান্নামের অধিবাসী, তাতে তারা চিরকাল থাকবে। কতই না নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল! তাইসিরুল
কিন্তু যারা কুফরী করে এবং আমার নিদর্শনসমূহকে অস্বীকার করে তারাই জাহান্নামের অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে, কত মন্দ ঐ প্রত্যাবর্তনস্থল! মুজিবুর রহমান
But the ones who disbelieved and denied Our verses - those are the companions of the Fire, abiding eternally therein; and wretched is the destination. Sahih International
১০. কিন্তু যারা কুফরী করে এবং আমাদের (আয়াত) নিদর্শনসমূহে মিথ্যারোপ করে তারাই আগুনের অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে। কত মন্দ সে ফিরে যাওয়ার স্থান!
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১০) আর যারা কুফরী করবে এবং আমার নিদর্শনসমূহকে অস্বীকার করবে, তারাই জাহান্নামের অধিবাসী; সেখানে তারা স্থায়ী হবে। কত মন্দ ঐ প্রত্যাবর্তনস্থল!
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান