যাদেরকে মানুষেরা বলেছিল যে, ‘নিশ্চয় লোকেরা তোমাদের বিরুদ্ধে সমবেত হয়েছে। সুতরাং তাদেরকে ভয় কর’। কিন্তু তা তাদের ঈমান বাড়িয়ে দিয়েছিল এবং তারা বলেছিল, ‘আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি কতই না উত্তম কর্মবিধায়ক’! আল-বায়ান
যাদেরকে লোকে খবর দিয়েছিল যে, একটা বড় বাহিনী তোমাদের বিরুদ্ধে জড় হচ্ছে, কাজেই তাদেরকে ভয় কর। তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে দিল এবং তারা বলল, ‘আমাদের জন্যে আল্লাহ্ই যথেষ্ট এবং তিনি কতই না উত্তম কর্মবিধায়ক!’ তাইসিরুল
যাদেরকে লোকেরা বলেছিলঃ নিশ্চয়ই তোমাদের বিরুদ্ধে সেই সব লোক সমবেত হয়েছে; অতএব তোমরা তাদেরকে ভয় কর; কিন্তু এতে তাদের বিশ্বাস পরিবর্ধিত হয়েছিল এবং তারা বলেছিলঃ আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি মঙ্গলময়, কর্মবিধায়ক। মুজিবুর রহমান
Those to whom hypocrites said, "Indeed, the people have gathered against you, so fear them." But it [merely] increased them in faith, and they said, "Sufficient for us is Allah, and [He is] the best Disposer of affairs." Sahih International
১৭৩. এদেরকে লোকেরা বলেছিল, তোমাদের বিরুদ্ধে লোক জড়ো হয়েছে, কাজেই তোমরা তাদেরকে ভয় কর; কিন্তু এ কথা তাদের ঈমানকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল এবং তারা বলেছিল, 'আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি কত উত্তম কর্মবিধায়ক।(১)
(১) যখন সাহাবায়ে কিরাম হামরাউল আসাদ নামক স্থানে গিয়ে পৌছালেন, তখন সেখানে নু'আইম ইবনে মাসউদের সাথে সাক্ষাত হল। সে সংবাদ দিল যে, আবু সুফিয়ান নিজের সাথে আরও সৈন্য সংগ্রহ করে পুনরায় মদীনা আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আহত-দুর্বল সাহাবায়ে কেরাম এই ভীতিজনক সংবাদ শুনে সমস্বরে বলে উঠলেন, আমরা তা জানি না 'আল্লাহ আমাদের জন্যে যথেষ্ট এবং তিনিই উত্তম সাহায্যকারী’৷ আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেনঃ আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, আর তিনিই আমাদের জন্য উত্তম যিম্মাদার’। এ কথাটি ইবরাহীম আলাইহিস সালামকে যখন আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছিল তখন তিনি বলেছিলেন। আর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথাই বলেছিলেন, যখন লোকজন তাকে এসে খবর দিলো যে, তোমাদের বিরুদ্ধে বিরাট সেনাদল প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদেরকে ভয় করো। এ কথা শুনে তাদের ঈমান আরো মজবুত হলো, তারা বললঃ আল্লাহ্ই আমাদের জন্য যথেষ্ট। আর আমাদের পক্ষ থেকে কাজের জন্য তিনিই উত্তম যিম্মাদার। [বুখারীঃ ৪৫৬৩]
তাফসীরে জাকারিয়া(১৭৩) যাদেরকে লোকেরা বলেছিল যে, তোমাদের বিরুদ্ধে লোক জমায়েত হয়েছে। সুতরাং তোমরা তাদেরকে ভয় কর। কিন্তু এ (কথা) তাদের বিশ্বাস বর্ধিত করেছিল এবং তারা বলেছিল, আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি উত্তম কর্মবিধায়ক। [1]
[1] ‘হামরাউল আসাদ’ এবং বলা হয় যে, ‘বদর সুগরা’র সময়ে আবূ সুফিয়ান মালের বিনিময়ে কিছু মানুষের খিদমত গ্রহণ করে। সে তাদের মাধ্যমে গুজব রটায় যে, মক্কার মুশরিকগণ যুদ্ধের জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। তার (আবূ সুফিয়ানের) উদ্দেশ্য ছিল, এ খবর শুনে মুসলিমদের উৎসাহ-উদ্দীপনা হ্রাস পাবে। কোন কোন বর্ণনা অনুয়াযী এই কাজ নাকি শয়তান তার সহচরদের দিয়ে করিয়েছিল। তবে এই ধরনের গুজব শুনে ভয় পাওয়ার পরিবর্তে মুসলিমদের উৎসাহ ও সংকল্প আরো বেড়ে যায়। যেটাকে এখানে (আয়াতে) ‘ঈমান ও বিশ্বাস বর্ধিত করেছিল’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কেননা ঈমান যত বলিষ্ঠ হবে, জিহাদের উদ্দীপনা ও সংকল্প ততই বৃদ্ধি পাবে। এই আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ঈমান জমাট ধরনের কোন জিনিস নয়, বরং তাতে কম-বেশী হতে থাকে। আর এটাই হল মুহাদ্দিসগণের মত। অনুরূপ আয়াত দ্বারা জানা যায় যে, পরীক্ষা ও বিপদের সময় মু’মিনদের নীতি হল, আল্লাহর উপর ভরসা করা। আর এই কারণেই হাদীসে حَسْبُنَا اللهُ وَنِعْمَ الْوَكِيْل পড়ার অনেক ফযীলত এসেছে। সহীহ বুখারী ইত্যাদি হাদীস গ্রন্থে এসেছে যে, যখন ইবরাহীম (আঃ)-কে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়, তখন তাঁর জবান দ্বারা এই (হাসবুনাল্লাহু অনি’মাল অকীল) শব্দই উচ্চারিত হয়েছিল। (ফাতহুল ক্বাদীর)
তাফসীরে আহসানুল বায়ানআর তারা বলে, ‘আনুগত্য (করি)’; অতঃপর যখন তারা তোমার কাছ থেকে বের হয়ে যায়, তাদের একদল যা বলে, রাতে তার বিপরীত পরিকল্পনা করে। আর আল্লাহ লিখে রাখেন, তারা রাতে যা পরিকল্পনা করে। সুতরাং তুমি তাদেরকে এড়িয়ে চল এবং আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল কর। কর্মবিধায়ক হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। আল-বায়ান
তারা মুখেই আনুগত্য করে, কিন্তু যখন তোমার নিকট থেকে চলে যায়, তখন তাদের মধ্যে একটা দল রাত্রিবেলা একত্রিত হয়ে তোমার কথার বিরুদ্ধে সলা পরামর্শ করে, আল্লাহ তাদের রাত্রিকালীন মন্ত্রণাগুলো লিখে রাখছেন, কাজেই তাদের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করো না, আল্লাহর উপর ভরসা কর এবং আল্লাহ্ই কর্মবিধায়ক হিসেবে যথেষ্ট। তাইসিরুল
আর তারা বলেঃ আমরা অনুগত। কিন্তু যখন তারা তোমার নিকট হতে বের হয়ে যায় তখন তাদের একদল, তুমি যা বল তার বিরুদ্ধে পরামর্শ করে; এবং তারা যা পরামর্শ করে আল্লাহ তা লিপিবদ্ধ করেন; অতএব তাদের প্রতি নিস্পৃহ হও এবং আল্লাহর উপর নির্ভর কর; এবং আল্লাহই কার্য সম্পাদনে যথেষ্ট। মুজিবুর রহমান
And they say, "[We pledge] obedience." But when they leave you, a group of them spend the night determining to do other than what you say. But Allah records what they plan by night. So leave them alone and rely upon Allah. And sufficient is Allah as Disposer of affairs. Sahih International
৮১. আর তারা বলে, ‘আনুগত্য করি’, তারপর যখন তারা আপনার কাছ থেকে চলে যায় তখন রাতে তাদের একদল যা বলে তার বিপরীত পরামর্শ করে। তারা যা রাতে পরামর্শ করে আল্লাহ তা লিপিবদ্ধ করে রাখেন। কাজেই আপনি তাদেরকে উপেক্ষা করুন এবং আল্লাহর প্রতি ভরসা করুন; আর কাজ উদ্ধারের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।(১)
(১) মুনাফিকরা যখন আপনার নিকট আসে, তখন বলে যে, আমরা আপনার নির্দেশ কবুল করে নিয়েছি। কিন্তু যখন তারা নাফরমানী করার উদ্দেশ্যে নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করে, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বড় কষ্ট হয়। এ ব্যাপারে আল্লাহ্ তা'আলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হেদায়াত দান করছেন যে, এসব বিষয়ে আপনি কোন পরোয়া করবেন না। আপনি আপনার যাবতীয় কাজ আল্লাহর উপর ভরসা করে চালিয়ে যেতে থাকুন। কারণ, আপনার জন্য তিনিই যথেষ্ট। এতে প্রতীয়মান হয় যে, যারা মানুষকে হেদায়াতের জন্য দাওয়াত দেবে তাদেরকে নানারকম জটিলতা অতিক্রম করতেই হবে। মানুষ তাদের প্রতি নানারকম উল্টা-সিধা অপবাদ আরোপ করবে। বন্ধুরূপী বহু শত্রুও থাকবে। এসব সত্বেও সে সংকল্প ও দৃঢ়তার সাথে আল্লাহর উপর ভরসা করে নিজের কাজে নিয়োজিত থাকা উচিত। যদি তার লক্ষ্য ও কর্মপন্থা সঠিক হয়, তবে ইনশাআল্লাহ তারা কৃতকার্য হবেই।
তাফসীরে জাকারিয়া(৮১) আর তারা বলে, (আমাদের কর্তব্য) আনুগত্য। অতঃপর যখন তারা তোমার নিকট থেকে চলে যায়, তখন রাত্রে তাদের একদল তারা যা বলে (বা তুমি যা বল) তার বিপরীত পরামর্শ করে। [1] তারা রাত্রে যা পরামর্শ করে আল্লাহ তা লিপিবদ্ধ করে রাখেন। সুতরাং তুমি তাদের উপেক্ষা কর এবং আল্লাহর প্রতি ভরসা কর। আর কর্ম-বিধানে আল্লাহই যথেষ্ট।
[1] অর্থাৎ, এই মুনাফিকরা তোমার মজলিসে যে কথা প্রকাশ করে, রাতে তার বিপরীত কথা বলে এবং ষড়যন্ত্রের জাল বুনে। তুমি তাদের ব্যাপারে বিমুখতা অবলম্বন কর এবং আল্লাহর উপর ভরসা রাখ। তাদের কথা এবং ষড়যন্ত্র তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। কারণ, তোমার রক্ষাকর্তা হলেন আল্লাহ এবং তিনিই হলেন মহাশক্তিধর।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানআর আল্লাহর জন্যই রয়েছে, যা আছে আসমানসমূহে এবং যা আছে যমীনে। আর কর্মবিধায়ক হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। আল-বায়ান
আসমানে যা আছে আর যমীনে যা আছে সব আল্লাহরই, কার্যনির্বাহক হিসেবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট। তাইসিরুল
এবং আকাশসমূহে যা কিছু রয়েছে ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা আল্লাহরই; এবং কর্মবিধানে (ওয়াকিল) আল্লাহই যথেষ্ট। মুজিবুর রহমান
And to Allah belongs whatever is in the heavens and whatever is on the earth. And sufficient is Allah as Disposer of affairs. Sahih International
১৩২. আসমানে যা আছে ও যমীনে যা আছে সব আল্লাহরই এবং কার্যোদ্ধারে আল্লাহই যথেষ্ট।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১৩২) আর আকাশমন্ডল ও ভূ-মন্ডলে যা কিছু আছে সব আল্লাহরই এবং কর্ম-বিধায়ক হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ানতিনিই আল্লাহ, তোমাদের রব। তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। তিনি প্রতিটি জিনিসের স্রষ্টা। সুতরাং তোমরা তাঁর ইবাদাত কর। আর তিনি প্রতিটি জিনিসের উপর তত্ত্বাবধায়ক। আল-বায়ান
এই হলেন তোমাদের প্রতিপালক, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, সব কিছুর স্রষ্টা; কাজেই তোমরা তাঁরই ‘ইবাদাত কর, তিনি সমস্ত বিষয়ের র্কমবিধায়ক। তাইসিরুল
তিনি আল্লাহ, তোমাদের পরওয়ারদিগার। তিনি ছাড়া অন্য কেহই মা‘বূদ নেই, প্রত্যেক বস্তুরই স্রষ্টা তিনি, অতএব তোমরা তাঁরই ইবাদাত কর, তিনিই সব জিনিসের উপর দায়িত্বশীল। মুজিবুর রহমান
That is Allah, your Lord; there is no deity except Him, the Creator of all things, so worship Him. And He is Disposer of all things. Sahih International
১০২. তিনিই তো আল্লাহ, তোমাদের রব; তিনি ছাড়া কোন সত্য ইলাহ নেই। তিনিই সবকিছুর স্রষ্টা; কাজেই তোমরা তাঁর ইবাদত কর; তিনি সবকিছুর তত্ত্বাবধায়ক।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১০২) এই তো আল্লাহ তোমাদের প্রতিপালক! তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তিনিই সব কিছুরই স্রষ্টা। সুতরাং তোমরা তাঁর উপাসনা কর। তিনি সব কিছুরই তত্ত্বাবধায়ক।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ানতাহলে সম্ভবত তুমি তোমার উপর অবতীর্ণ ওহীর কিছু বিষয় ছেড়ে দেবে এবং তোমার বুক সঙ্কুচিত হবে এ কারণে যে, তারা বলে, ‘কেন তার উপর ধন-ভান্ডার অবতীর্ণ হয়নি, কিংবা তার সাথে ফেরেশতা আসেনি’? তুমি তো শুধু সতর্ককারী আর আল্লাহ সব কিছুর তত্ত্বাবধায়ক। আল-বায়ান
তুমি কি তোমার প্রতি যা ওয়াহী করা হয়েছে তার কিছু অংশ পরিত্যাগ করতে চাও আর তোমার মন সংকুচিত করতে চাও তাদের এ কথা বলার কারণে যে ‘‘তার কাছে ধনভান্ডার অবতীর্ণ হয় না কেন, কিংবা তার কাছে ফেরেশতা আসে না কেন?’’ তুমি তো কেবল ভয় প্রদর্শনকারী, যাবতীয় কাজ পরিচালনার দায়িত্ব আল্লাহর। তাইসিরুল
তুমি কি অংশবিশেষ বর্জন করতে চাও ঐ নির্দেশাবলী হতে যা তোমার প্রতি অহী যোগে প্রেরিত হয়? আর তোমার মন সংকুচিত হয় এই কথায় যে, তারা বলেঃ তার প্রতি কোন ধন-ভান্ডার কেন নাযিল হলনা, অথবা কেন তার সাথে একজন (মালাইকা/ফেরেশতা) আসেনা? তুমিতো একজন সতর্ককারী মাত্র, আল্লাহই সবকিছু পরিবেষ্টনকারী। মুজিবুর রহমান
Then would you possibly leave [out] some of what is revealed to you, or is your breast constrained by it because they say, "Why has there not been sent down to him a treasure or come with him an angel?" But you are only a warner. And Allah is Disposer of all things. Sahih International
১২. তবে কি আপনার প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তার কিছু আপনি বর্জন করবেন এবং তাতে আপনার মন সংকুচিত হবে এ জন্যে যে, তারা বলে, তার কাছে ধন-ভান্ডার নামানো হয় না কেন অথবা তার সাথে ফিরিশতা আসে না কেন? আপনি তো কেবল সতর্ককারী এবং আল্লাহ সবকিছুর কর্মবিধায়ক।(১)
(১) এ আয়াতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি কাফেরদের কিছু অন্যায় আদারের কারণে তার মনের যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল তার জবাব দিয়ে সান্ত্বনা দেয়া হয়েছে। [ইবন কাসীর] মূলতঃ তাদের আবদার ছিল নিরেট মুর্খতা ও চরম অজ্ঞতাপ্রসূত। যেমন এক আয়াতে এসেছে, “আরও তারা বলে , এ কেমন রাসূল যে খাওয়া-দাওয়া করে এবং হাটে-বাজারে চলাফেরা করে; তার কাছে কোন ফিরিশতা কেন নাযিল করা হল না, যে তার সংগে থাকত সতর্ককারীরূপে? অথবা তার কাছে কোন ধনভাণ্ডার এসে পড়ল না কেন অথবা তার একটি বাগান নেই কেন, যা থেকে সে খেতো? যালিমরা আরো বলে, তোমরা তো এক জাদুগ্রস্ত ব্যক্তিরই অনুসরণ করছ।” [সূরা আল-ফুরকান ৭–৮] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মু'জিযাস্বরূপ সাথে সাথে যদি কোন ফেরেশতা থাকতেন, তবে যখনই কেউ তাকে অমান্য করত তৎক্ষনাৎ গযবে পতিত হয়ে ধ্বংস হত।
তাফসীরে জাকারিয়া(১২) তোমার নিকট যা অহী (প্রত্যাদেশ) করা হয়, সম্ভবতঃ তুমি হয়তো তার কিছু অংশ বর্জন করবে এবং ‘তার প্রতি কোন ধনভান্ডার অবতীর্ণ করা হয়নি কেন? অথবা তার সাথে কোন ফিরিশতা আসেনি কেন?’ তাদের এই কথায় তোমার মন সঙ্কুচিত হবে। (কিন্তু হে নবী!) তুমি তো শুধুমাত্র একজন সতর্ককারী।[1] আর আল্লাহই হচ্ছেন প্রত্যেক বস্তুর উপর দায়িত্বশীল।
[1] মুশরিকরা নবী (সাঃ) সম্পর্কে বলত যে, তাঁর উপর কোন ফিরিশতা অবতীর্ণ করা হয় না কেন? কিংবা তাঁর নিকট কোন ধনভান্ডার অবতীর্ণ করা হয় না কেন। (সূরা ফুরক্বান ৮) অন্য এক স্থানে বলা হয়েছে ‘‘আমি জানি যে, তারা তোমার ব্যাপারে যে কথা বলে, তাতে তোমার হৃদয় সংকুচিত হয়।’’ (সূরা হিজর ৯৭) এই আয়াতে ঐ সকল উক্তি সম্পর্কে বলা হচ্ছে যে, সম্ভবতঃ তাতে তোমার হৃদয় সংকুচিত হয়, আর কিছু কথা যা তোমার নিকট অহী করা হয়, তা মুশরিকদের উপর কষ্টকর মনে হয়, হতে পারে যে, তুমি তা তাদেরকে শুনাতে পছন্দ করবে না। কিন্তু তোমার কাজ শুধু সতর্ক ও তবলীগ করা, তা তুমি সর্বাবস্থায় চালিয়ে যাও।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানআর তোমার রবের কাছ থেকে তোমার প্রতি যা ওহী করা হয় তুমি তার অনুসরণ কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত। আল-বায়ান
তোমার প্রতি তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে যা ওয়াহী করা হয় তুমি তার অনুসরণ কর। তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ পূর্ণরূপে অবহিত। তাইসিরুল
তোমার রবের নিকট হতে তোমার প্রতি যা অহী হয় উহার অনুসরণ কর; তোমরা যা কর আল্লাহ সেই বিষয়ে সম্যক অবহিত। মুজিবুর রহমান
And follow that which is revealed to you from your Lord. Indeed Allah is ever, with what you do, Acquainted. Sahih International
২. আর আপনার রবের কাছ থেকে আপনার প্রতি যা ওহী হয় তার অনুসরণ করুন(১); নিশ্চয় তোমরা যা কর আল্লাহ তা সম্বন্ধে সম্যক অবহিত।
(১) এটা পূর্ববর্তী হুকুমেরই অবশিষ্টাংশ-যেন আপনি কাফের ও মুনাফেকদের কথায় পড়ে তাদের অনুসরণ না করেন, বরং ওহীর মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষ থেকে যা কিছু পৌছেছে, আপনি কেবল তাই অনুসরণ করুন। [ফাতহুল কাদীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(২) তোমার প্রতিপালকের নিকট থেকে তোমার প্রতি যা অহী (প্রত্যাদেশ) করা হচ্ছে তার অনুসরণ কর;[1] নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমরা যা কর, সে বিষয়ে সম্যক অবহিত। [2]
[1] অর্থাৎ, কুরআন ও হাদীসের অনুসরণ কর। কারণ হাদীসের শব্দ যদিও নবী (সাঃ)-এর বরকতময় মুখনিঃসৃত বাণী, কিন্তু তার অর্থ ও ভাব আল্লাহর পক্ষ থেকেই এসেছে। এই জন্য হাদীসকে ‘অহী খাফী’ বা ‘অহী গায়র মাতলু’ বলা হয়েছে।
[2] সুতরাং তাঁর নিকটে তোমাদের কোন কথাই গোপন থাকবে না।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানআর তুমি আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল কর এবং কর্মবিধায়ক হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। আল-বায়ান
আর তুমি নির্ভর কর আল্লাহর উপর, কর্ম সম্পাদনে আল্লাহই যথেষ্ট। তাইসিরুল
আর তুমি নির্ভর কর আল্লাহর উপর এবং কর্মবিধায়ক হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট। মুজিবুর রহমান
And rely upon Allah; and sufficient is Allah as Disposer of affairs. Sahih International
৩. এবং আপনি নির্ভর করুন আল্লাহর উপর। আর কর্মবিধায়ক হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৩) তুমি আল্লাহর ওপর নির্ভর কর,[1] কর্মবিধানে আল্লাহই যথেষ্ট।[2]
[1] সকল ব্যাপারে ও সকল অবস্থাতে।
[2] ঐ সকল মানুষের জন্য যারা তাঁর উপর ভরসা রাখে এবং তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তন করে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানআর তুমি কাফির ও মুনাফিকদের আনুগত্য করো না এবং তাদের নির্যাতন উপেক্ষা কর আর আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল কর; তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। আল-বায়ান
তুমি কাফির ও মুনাফিকদের কথা মান্য করো না। তাদের যন্ত্রণাকে মনে স্থান দিও না, আর নির্ভর কর আল্লাহর উপর, কার্যনির্বাহীরূপে আল্লাহ্ই যথেষ্ট। তাইসিরুল
আর তুমি কাফির ও মুনাফিকদের কথা শোননা; তাদের নির্যাতন উপেক্ষা কর এবং নির্ভর কর আল্লাহর উপর; কর্মবিধায়ক রূপে আল্লাহই যথেষ্ট। মুজিবুর রহমান
And do not obey the disbelievers and the hypocrites but do not harm them, and rely upon Allah. And sufficient is Allah as Disposer of affairs. Sahih International
৪৮. আর আপনি কাফির ও মুনাফিকদের আনুগত্য করবেন না, তাদের নির্যাতন উপেক্ষা করুন এবং নির্ভর করুন আল্লাহর উপর এবং কর্মবিধায়করূপে আল্লাহই যথেষ্ট।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৪৮) আর তুমি অবিশ্বাসী ও কপটাচারীদের কথা মান্য করো না ; ওদের নির্যাতন উপেক্ষা কর এবং আল্লাহর ওপর নির্ভর কর। কর্মবিধায়করূপে আল্লাহই যথেষ্ট।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ানআল্লাহ সব কিছুর স্রষ্টা এবং তিনি সব কিছুর তত্ত্বাবধায়ক। আল-বায়ান
আল্লাহ সব কিছুর স্রষ্টা আর তিনি সব কিছুর অভিভাবক এবং কর্ম সম্পাদনকারী। তাইসিরুল
আল্লাহ সব কিছুর স্রষ্টা এবং তিনি সব কিছুর কর্মবিধায়ক। মুজিবুর রহমান
Allah is the Creator of all things, and He is, over all things, Disposer of affairs. Sahih International
৬২. আল্লাহ্ সব কিছুর স্রষ্টা এবং তিনি সমস্ত কিছুর তত্ত্বাবধায়ক।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৬২) আল্লাহ সমস্ত কিছুর স্রষ্টা এবং তিনি সমস্ত কিছুর কর্মবিধায়ক। [1]
[1] অর্থাৎ, প্রত্যেক জিনিসের স্রষ্টাও তিনি এবং মালিকও তিনিই। তিনি যেভাবে চান, পরিচালনা করেন। প্রতিটি জিনিস তাঁর আয়ত্তে ও তাঁর পরিচালনার অধীনে বন্দী। কারো অবাধ্যতা করার অথবা অস্বীকার করার কোন অবকাশ নেই। وكيل (উকীল) অর্থ, দায়িত্বপ্রাপ্ত, কর্মবিধায়ক। প্রতিটি জিনিসই তাঁরই অধীনে এবং তিনি কারো অংশীদারী ছাড়াই সমস্ত কিছুর হেফাযত ও পরিচালনা করেন।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান