আর প্রত্যেক জাতির রয়েছে একটি নির্দিষ্ট সময়। অতঃপর যখন তাদের সময় আসবে, তখন তারা এক মুহূর্ত বিলম্ব করতে পারবে না এবং এগিয়েও আনতে পারবে না। আল-বায়ান
প্রতিটি জাতির জন্য সময় নির্ধারিত আছে। তাদের নির্ধারিত সময় যখন এসে যাবে তখন এক মুহূর্তকাল পশ্চাৎ-অগ্র হবে না। তাইসিরুল
প্রত্যেক জাতির জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে, সুতরাং যখন সেই নির্দিষ্ট সময় সমুপস্থিত হবে তখন তা এক মুহুর্তকালও আগে কিংবা পরে হবেনা। মুজিবুর রহমান
And for every nation is a [specified] term. So when their time has come, they will not remain behind an hour, nor will they precede [it]. Sahih International
৩৪. আর প্রত্যেক জাতির জন্য এক নির্দিষ্ট সময় আছে।(১) অতঃপর যখন তাদের সময় আসবে তখন তারা মুহুর্তকাল দেরি করতে পারবে না এবং এগিয়েও আনতে পারবে না।
(১) এ সুনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তারা দুনিয়াতে ভোগ-বিলাসে থাকতে পারবে। কিন্তু এরপর যখন আল্লাহ তা'আলা তাদের পাকড়াও করতে চাইবেন তখন তাদের আর সময় দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে বিভিন্ন সূরায় অনুরূপ আলোচনা এসেছে, যেমনঃ সূরা আল-হিজরঃ ৫ ও সূরা নূহঃ ৪, সূরা আল-মুনাফিকূনঃ ১১।
তাফসীরে জাকারিয়া(৩৪) আর প্রত্যেক জাতির এক নির্দিষ্ট সময় আছে।[1] সুতরাং যখন তাদের সময় আসবে, তখন তারা মুহূর্তকালও বিলম্ব বা ত্বরা করতে পারবে না।
[1] ‘নির্দিষ্ট সময় বা মেয়াদ’ বলতে আমল করার সেই অবসর ও সুযোগ, যা মহান আল্লাহ পরীক্ষা করার জন্য প্রত্যেককে দান করেন। তিনি দেখতে চান যে, সে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার প্রতি যত্ন নেয়, না তার অবাধ্যতা ও ধৃষ্টতা আরো বেড়ে যায়। এই অবসর কখনো কখনো তার পুরো জীবন পর্যন্ত প্রসারিত থাকে। অর্থাৎ, পার্থিব জীবনে আল্লাহ তাকে পাকড়াও করেন না। বরং কেবল আখেরাতেই তিনি শাস্তি দেবেন। তার নির্দিষ্ট মেয়াদ হল কিয়ামতেরই দিন। আর যাকে দুনিয়াতে তিনি শাস্তি দেন, তার নির্দিষ্ট মেয়াদ তখনই হয়, যখন তাকে পাকড়াও করেন।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান