বল, ‘আমি কি তোমাদেরকে আল্লাহর নিকট পরিণতির বিচারে এর চেয়ে মন্দ কিছুর সংবাদ দেব? যাকে আল্লাহ লা‘নত দিয়েছেন এবং যার উপর তিনি ক্রোধান্বিত হয়েছেন? আর যাদের মধ্য থেকে বাঁদর ও শূকর বানিয়েছেন এবং তারা তাগূতের উপাসনা করেছে। তারাই অবস্থানে মন্দ এবং সোজা পথ থেকে সর্বাধিক বিচ্যুত’। আল-বায়ান
বল, আমি তোমাদেরকে কি এর চেয়ে খারাপ কিছুর সংবাদ দেব যা আল্লাহর নিকট প্রতিদান হিসেবে আছে? (আর তা হল) যাকে আল্লাহ লা‘নাত করেছেন, যার উপর তিনি ক্রোধান্বিত হয়েছেন, যাদের কতককে তিনি বানর ও শুকরে পরিণত করেছেন আর যারা তাগুতের ‘ইবাদাত করেছে তারাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানের লোক এবং সরল সত্য পথ হতে সবচেয়ে বিচ্যুত। তাইসিরুল
তুমি বলে দাওঃ আমি কি তোমাদেরকে এরূপ পন্থা হিসাবে ওটা হতেও (যাকে তোমরা মন্দ বলে জান) এরূপ সংবাদ দিব যা আল্লাহর কাছে অধিক নিকৃষ্ট? ওটা ঐ সব লোকের পন্থা, যাদেরকে আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন এবং যাদের প্রতি গযব নাযিল করেছেন ও যাদেরকে বানর ও শুকরে রূপান্তরিত করেছেন এবং যারা তাগুতের ইবাদাত করছে তারা মর্যাদার দিক দিয়ে নিকৃষ্টতর এবং সরল পথ হতে সর্বাধিক বিচ্যুত । মুজিবুর রহমান
Say, "Shall I inform you of [what is] worse than that as penalty from Allah? [It is that of] those whom Allah has cursed and with whom He became angry and made of them apes and pigs and slaves of Taghut. Those are worse in position and further astray from the sound way." Sahih International
৬০. বলুন, 'আমি কি তোমাদেরকে এর নিকৃষ্ট পরিণামের সংবাদ দেব যা আল্লাহ্র কাছে আছে? যাকে আল্লাহ্ লা'নত করেছেন এবং যার উপর তিনি ক্রোধাম্বিত হয়েছেন। আর যাদের কাউকে তিনি বানর ও কাউকে শূকর করেছেন(১) এবং (তাদের কেউ) তাগূতের ইবাদাত করেছে। তারাই অবস্থানের দিক থেকে নিকৃষ্ট এবং সরল পথ থেকে সবচেয়ে বেশী বিচ্যুত।
(১) হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয় আল্লাহ কোন বিকৃতদের বংশ বা উত্তরাধিকার রাখেন নি। এর আগেও বানর ও শূকর ছিল।” [মুসলিম: ২৬৬৩] সুতরাং বনী ইসরাঈলের মধ্যে যারা এভাবে বানর ও শূকরে রুপান্তরিত হয়েছিল তাদের বংশবৃদ্ধি ঘটে নি। বানর ও শুকর এ ঘটনার আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে। বর্তমান বানর ও শূকরের সাথে বিকৃতদের কোন সম্পর্ক নেই।
তাফসীরে জাকারিয়া(৬০) বল, ‘আমি কি তোমাদেরকে এ অপেক্ষা নিকৃষ্ট পরিণামের সংবাদ দেব, যা আল্লাহর নিকট আছে? যাকে আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন, যার উপর তিনি ক্রোধান্বিত, যাদের কতককে তিনি বানর ও কতককে শূকর বানিয়েছেন এবং যারা তাগূত (গায়রুল্লাহ)র উপাসনা করে, মর্যাদায় তারাই নিকৃষ্ট এবং সরল পথ হতে সর্বাধিক বিচ্যুত।’[1]
[1] অর্থাৎ, হে আহলে কিতাব! তোমরা আমাদের প্রতি যে বৈরীভাব পোষণ করছো তার কারণ তো এটা ছাড়া আর কিছুই নয় যে, আমরা আল্লাহর উপর, কুরআনের উপর এবং কুরআনের পূর্বে অবতীর্ণ সমুদয় কিতাবের উপর ঈমান এনেছি। এটাও কি কোন দোষের কথা? অর্থাৎ, এটা কোন দোষ ও নিন্দার কারণ হতে পারে না; যেমনটি তোমাদের মনে হয়েছে। এখানে استثناء منقطع হয়েছে। অবশ্য আমরা তোমাদেরকে বলে দিই, (আল্লাহর নিকট) অধিক নিকৃষ্ট ও পথভ্রষ্ট এবং ঘৃণার পাত্র ও তিরস্কারযোগ্য লোক কারা? এরা তারাই, যাদের প্রতি আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন, যাদের উপর তিনি রাগান্বিত হয়েছেন, আর তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যককে বানর ও শূকরে পরিণত করেছেন এবং যারা তাগূত (গায়রুল্লাহ)এর পূজা করেছে। সুতরাং এই আয়নায় তোমরা নিজেদের চেহারা দেখে নাও। আর বল যে, যাদের ইতিহাস এই, তারা কারা? তারা কি তোমরাই নও?
তাফসীরে আহসানুল বায়ান