৯৩ সূরাঃ আদ-দুহা | Ad-Dhuha | سورة الضحى - আয়াতঃ ১০
৯৩:১০ وَ اَمَّا السَّآئِلَ فَلَا تَنۡهَرۡ ﴿ؕ۱۰﴾
و اما السآئل فلا تنهر ﴿۱۰﴾

আর ভিক্ষুককে তুমি ধমক দিওনা। আল-বায়ান

এবং ভিক্ষুককে ধমক দিবে না। তাইসিরুল

আর সওয়ালকারীকে ভৎর্সনা করনা। মুজিবুর রহমান

And as for the petitioner, do not repel [him]. Sahih International

১০. আর প্রার্থীকে ভর্ৎসনা করবেন না।(১)

(১) দ্বিতীয় নির্দেশ হচ্ছে, অর্থগত ও জ্ঞানগত প্রার্থীকে ধমক বা ভর্ৎসনা করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে নিষেধ করা হয়েছে। যদি ‘প্রার্থী’ বলে এখানে সাহায্য প্রার্থনাকারী অভাবী ধরা হয় তাহলে এর অর্থ হয়, তাকে সাহায্য করতে পারলে করুক আর না করতে পারলে কোমল স্বরে তাকে নিজের অক্ষমতা বুঝিয়ে দিন। কিন্তু কোনক্রমে তার সাথে রূঢ় ব্যবহার করবেন না। এই অর্থের দিক দিয়ে এই নির্দেশটিকে আল্লাহর সেই অনুগ্রহের জবাবে দেয়া হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে “আপনি অভাবী ছিলেন তারপর আল্লাহ আপনাকে ধনী করে দিয়েছেন।” আর যদি ‘প্রার্থীকে’ জিজ্ঞেসকারী অর্থাৎ দ্বীনের কোন বিষয় বা বিধান জিজ্ঞেসকারী অর্থে ধরা হয় তাহলে এর অর্থ হয়, এই ধরনের লোক যতই মূর্খ ও অজ্ঞ হোক না কেন এবং যতই অযৌক্তিক পদ্ধতিতে সে প্রশ্ন করুক বা নিজের মানসিক সংকট উপস্থাপন করুক না কেন, সকল অবস্থায়ই স্নেহশীলতা ও কোমলতা সহকারে তাকে জবাব দিন এবং ধমক দিয়ে বা কড়া কথা বলে তাদেরকে তাড়িয়ে দিবেন না। এই অর্থের দিক দিয়ে এই বাণীটিকে আল্লাহর সেই অনুগ্রহের জবাবে দেয়া হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে “আপনি পথের খোঁজ জানতেন না তারপর তিনিই আপনাকে পথনির্দেশনা দিয়েছেন।” আয়াত থেকে বোঝা গেল যে, সাহায্য প্রার্থীকে কিছু দিয়ে বিদায় করা এবং দিতে না পারলে নরম ভাষায় অক্ষমতা প্রকাশ করা উচিত। এমনিভাবে যে ব্যক্তি কোন শিক্ষণীয় বিষয় জানতে চায় তার জওয়াবেও কঠোরতা ও দুর্ব্যবহার করা নিষেধ। [দেখুন: সা’দী; আদওয়াউল বায়ান]

তাফসীরে জাকারিয়া

১০। এবং ভিক্ষুককে ধমক দিও না। [1]

[1] তার প্রতি কোন প্রকার কঠোরতা প্রদর্শন করো না এবং অহংকারও নয়। কর্কশ ও কড়া ভাষা ব্যবহার করো না। বরং (ভিক্ষা না দিয়ে) জওয়াব দিলেও স্নেহ ও মহব্বতের সাথে (মিষ্টি কথায়) জওয়াব দাও।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান