কসম বিদীর্ণ যমীনের। আল-বায়ান
এবং গাছপালার চারা গজানোর সময় বক্ষ দীর্ণকারী যমীনের শপথ, (বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে বৃক্ষলতার উৎপাদন যেমন অকাট্য সত্য, তেমনি কুরআন যা ঘোষণা করে তাও অকাট্য সত্য) তাইসিরুল
এবং শপথ যমীনের যা বিদীর্ণ হয়, মুজিবুর রহমান
And [by] the earth which cracks open, Sahih International
১২. এবং শপথ যমীনের, যা বিদীর্ণ হয়(১),
(১) যমীন বিদীর্ণ হওয়ার অর্থ উদ্ভিদ উৎপন্ন হওয়া। [ইবন কাসীর; সা’দী] মুজাহিদ বলেন, পথবিশিষ্ট যমীন যা পানি দ্বারা বিদীর্ণ হয়। অথবা যমীন যা বিদীর্ণ হয়ে মৃতরা পুনরুত্থানের জন্য বের হবে। [ফাতহুল কাদীর; সা’দী] তবে প্রথম তাফসীরটিই বেশী প্ৰসিদ্ধ।
তাফসীরে জাকারিয়া১২। এবং শপথ বিদীর্ণশীল পৃথিবীর। [1]
[1] অর্থাৎ, মাটি ফেটে তা হতে শস্যদানা অঙ্কুরিত হয়। মাটি ফেটে ঝরনাধারা প্রবাহিত হয়। আর এইভাবে একদিন এমন আসবে যেদিন মাটি ফেটে সমস্ত মৃত জীব-জন্তু জীবিত হয়ে ভূগর্ভ থেকে বের হয়ে আসবে। এই জন্যই যমীন, মাটি ও পৃথিবীকে ‘বিদীর্ণশীল’ বলা হয়েছে। (এ ছাড়া সমুদ্রগর্ভেও বড় বড় ফাটল রয়েছে বলে বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে।)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান