৫৬ সূরাঃ আল-ওয়াকিয়া | Al-Waqi'a | سورة الواقعة - আয়াতঃ ৮১
৫৬:৮১ اَفَبِهٰذَا الۡحَدِیۡثِ اَنۡتُمۡ مُّدۡهِنُوۡنَ ﴿ۙ۸۱﴾
افبهذا الحدیث انتم مدهنون ﴿۸۱﴾

তবে কি তোমরা এই বাণী তুচ্ছ গণ্য করছ? আল-বায়ান

তবুও কি তোমরা এ বাণীকে তুচ্ছ মনে করছ? তাইসিরুল

তবুও কি তোমরা এই বাণীকে তুচ্ছ গণ্য করবে? মুজিবুর রহমান

Then is it to this statement that you are indifferent Sahih International

৮১. তবুও কি তোমরা এ বাণীকে তুচ্ছ গণ্য করছ?(১)

(১) আয়াতে مُدْهِنُونَ শব্দটি শৈথিল্য প্রদর্শন করা ও কপটতা করা, তুচ্ছ জ্ঞান করা, খোশামোদ ও তোয়াজ করার নীতি গ্ৰহণ করা, গুরুত্ব না দেয়া এবং যথাযোগ্য মনোযোগের উপযুক্ত মনে না করার অর্থে ব্যবহৃত হয়। এখানেও কুরআনী আয়াতের ব্যাপারে কপটতা, মিথ্যারোপ, গুরুত্বহীন ও তুচ্ছ জ্ঞান করার অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। [কুরতুবী]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৮১) তবুও কি তোমরা এই বাণীকে তুচ্ছজ্ঞান করবে? [1]

[1] حَدِيث থেকে কুরআন কারীম উদ্দেশ্য। مُدَاهَنَةٌ বলা হয় এমন নম্রতা ও শৈথিল্য ভাবকে, যা বিরোধীর বিপক্ষে অবলম্বন করা হয়। (এখানে সম্বোধন মুশরিক ও মুনাফিকদেরকে করা হয়েছে, বলা হয়েছে তোমরা কি এই কুরআনকে মানতে তোষামোদ, চাটুবৃত্তি ও মোসাহেবির পথ অবলম্বন করবে অথবা তা মিথ্যা ও তুচ্ছজ্ঞান করবে?) অথবা মু’মিনদেরকে সম্বোধন করে বলা হচ্ছে যে, তোমরা কি এই কুরআনকে মানতে কাফের ও মুনাফিকদের বিপক্ষে নম্রতা ও শৈথিল্য ভাব প্রকাশ করবে? অথচ প্রয়োজন হল তাদের বিরুদ্ধে চরম কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার। অর্থাৎ, এই কুরআনকে অবলম্বন করার ব্যাপারে সমস্ত কাফেরদেরকে সন্তুষ্ট করার জন্য নরম ভাব ও বিমুখতার পথ অবলম্বন করছ। অথচ এই কুরআন যা উল্লিখিত গুণাবলীর অধিকারী, তা এই দাবী রাখে যে, তাকে সানন্দে (গর্বের সাথে) অবলম্বন করা হোক।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান