তোমাদের সঙ্গী পথভ্রষ্ট হয়নি এবং বিপথগামীও হয়নি। আল-বায়ান
তোমাদের (মাঝে ছোট থেকে বড় হয়েছে সেই) সঙ্গী গুমরাহও নয় আর ভুলপথে পরিচালিতও নয়, তাইসিরুল
তোমাদের সঙ্গী বিভ্রান্ত নয়, বিপথগামীও নয়, মুজিবুর রহমান
Your companion [Muhammad] has not strayed, nor has he erred, Sahih International
২. তোমাদের সঙ্গী(১) বিভ্রান্ত নয়, বিপথগামীও নয়,
(১) মূল শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে صَاحِبُكُمْ বা তোমাদের বন্ধু। এর দ্বারা রাসূলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বুঝানো হয়েছে এবং কুরাইশদের সম্বোধন করা হয়েছে। আরবী ভাষায় صَاحِب বলতে বন্ধু, সাথী, নিকটে অবস্থানকারী এবং সাথে উঠা-বসা করে এমন লোককে বুঝায়। এ স্থলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম অথবা নবী শব্দ ব্যবহার করার পরিবর্তে “তোমাদের সঙ্গী” বলে ব্যক্ত করার মধ্যে ইঙ্গিত রয়েছে যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাইরে থেকে আগত কোন অপরিচিত ব্যক্তি নন, যার সত্যবাদিতায় তোমরা সন্দিগ্ধ হবে। বরং তিনি তোমাদের সার্বক্ষণিক সঙ্গী। [দেখুন: কুরতুবী; আত-তাহরীর ওয়াত তানওয়ীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(২) তোমাদের সঙ্গী বিভ্রান্ত নয়, বিপথগামীও নয়। [1]
[1] এটা হল কসমের জওয়াব। صَاحِبُكُمْ (তোমাদের সঙ্গী) বলে এখানে নবী করীম (সাঃ)-এর সত্যতাকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, নবুঅতের পূর্বে তিনি চল্লিশ বছর তোমাদের সঙ্গে এবং তোমাদের মাঝে কাটিয়েছেন। তাঁর দিবা-রাত্রির কার্যকলাপ ও আচার-আচরণ তোমাদের সামনে বিদ্যমান। তাঁর চরিত্র ও নৈতিকতা তোমাদের জানা ও চেনা। সততা ও বিশ্বস্ততা ছাড়া তোমরা তাঁর আচরণে অন্য কিছু কি দেখেছ? এখন চল্লিশ বছর পর যখন তিনি নবুঅতের দাবী করছেন, তখন একটু ভেবে দেখ যে, তিনি কি মিথ্যাবাদী হতে পারেন? অতএব, বাস্তব এটাই যে, তিনি পথভ্রষ্টও নন এবং বিপথগামীও নন। ضَلالة বলা হয়, অজ্ঞতার কারণে সত্য পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়াকে। আর غَوى বলা হয়, এমন বক্রতাকে, যা জেনে-বুঝে সত্যকে বর্জন করে অবলম্বন করা হয়। মহান আল্লাহ এই উভয় ভ্রষ্টতা থেকে তাঁর নবীকে পাক-পবিত্র ঘোষণা করেছেন।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান